নিরাপত্তার দায়িত্ব পাচ্ছে দেশি সংস্থা by আশরাফুল হক রাজীব

বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব বিদেশি কোনো কম্পানির কাছে নয়, দেওয়া হচ্ছে বিশেষ বাহিনীর হাতে। জঙ্গি হামলা, সন্ত্রাসী তৎপরতা, বিমান ছিনতাইসহ বিমানবন্দরের সব ধরনের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করার জন্য গঠন করা হচ্ছে এভিয়েশন সিকিউরিটি ফোর্স (এএসএফ)। বিমান বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে এলিট ফোর্স গঠন করে তাদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হবে দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তার দায়িত্ব।


এ-সংক্রান্ত একটি খসড়া প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে। খসড়াটি শিগগিরই মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে। সিভিল এভিয়েশন এবং বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী জি এম কাদের কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বিমানবন্দরের নিরাপত্তার বিষয়টি দিন দিনই বড় ইস্যুতে পরিণত হচ্ছে। অনেক বড় এয়ারলাইনস বাংলাদেশে আসতে চায় না নিরাপত্তার অজুহাতে। তা ছাড়া আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল সংস্থা (আইকাও) বিমানবন্দরের নিরাপত্তার ওপর জোর দিচ্ছে। সব মিলিয়ে একটি এলিট ফোর্স গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। খসড়া তৈরি হয়েছে। কিছু পর্যালোচনা শেষে বিষয়টি শিগগিরই মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে। এলিট ফোর্স নিরাপত্তা-সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি স্থাপন থেকে শুরু করে সব ধরনের নিরাপত্তা দেবে।'
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সমন্বিত নিরাপত্তাব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য কানাডিয়ান কম্পানি ভিডিআইর প্রস্তাব অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি অনুমোদন করেছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জি এম কাদের বলেন, 'মন্ত্রিসভা কমিটি যে প্রস্তাব অনুমোদন করেছে, তা ছিল ত্রুটিপূর্ণ। প্রস্তাবটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য সচিবকে নির্দেশ দিয়েছি।'
অবশ্য ভিডিআই নিজেরাও প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নিয়েছে। নিরাপত্তা যন্ত্রপাতি সরবরাহে তাদের প্রস্তাব গত ২৭ অক্টোবর অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি অনুমোদন দেয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী চূড়ান্ত অনুমোদন দেন ১৮ নভেম্বর। তবে প্রস্তাব নিয়ে বিতর্ক ওঠায় কম্পানিটি এর তিন দিন আগেই ১৫ নভেম্বর শর্ত সাপেক্ষে তাদের প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে জানায়।
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বাড়ানোর দায়িত্ব কানাডিয়ান কম্পানি ভিজ্যুয়াল ডিফেন্স ইনকরপোরেশনকে (ভিডিআই) দেওয়ার সিদ্ধান্তে তোলপাড় শুরু হয়। বিদেশি এ কম্পানি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য ২৮০ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি স্থাপনের প্রস্তাব দেয়। তার বিনিময়ে ২৫ বছরে ৪০ হাজার কোটি টাকা উঠিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে কম্পানিটি। সরকারের দুজন মন্ত্রী কম্পানিটির বিপক্ষে অবস্থান নিলেও একটি বড় শক্তি কাজটি তাদের পাইয়ে দেওয়ার জন্য তৎপরতা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বাড়ানোর বিষয়ে সবাই একমত হলেও বিদেশি কম্পানির হাতে জিম্মি হতে কেউ রাজি নয়। এ কারণে একটি এলিট ফোর্স গঠন করে তাদের হাতে নিরাপত্তার দায়িত্ব তুলে দেওয়ার প্রস্তাব নিয়ে কাজ করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এভিয়েশন সিকিউরিটি ফোর্সের (এএসএফ) প্রাথমিক খসড়া তৈরি করে গত ২৪ মে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন অথরিটি-সিএএবি। নতুন করে একটি বাহিনী গঠন করে কেন তাদের ওপর বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া দরকার_তার একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে সিএএবি। তাদের মতে, বর্তমানে দেশের বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তার দায়িত্ব যে তিনটি সংস্থার ওপর রয়েছে, তাদের মধ্যে আজও কোনো সমন্বিত নেতৃত্ব এবং নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হয়নি।
এএসএফ গঠনের খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে_এই এলিট ফোর্স সিএএবির চেয়ারম্যানের অধীনে থাকবে। তিন হাজার সদস্যের এ এলিট ফোর্সের প্রধান থাকবেন বিমানবাহিনীর এয়ার কমোডর পদ মর্যাদার একজন কর্মকর্তা। যাঁর পদবি হবে মহাপরিচালক বা ডিজি। তাঁর অধীনে ১০ জন সহকারী মহাপরিচালক বা ডিডিজি থাকবেন। এসব ডিডিজির অধীনে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রামের শাহ আমানত, সিলেটের ওসমানী, রাজশাহীর শাহ মখদুম, যশোর, সৈয়দপুর, ঈশ্বরদী, বরিশাল, কঙ্বাজার ও কুমিল্লা বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকবে। এসব ডিডিজি হবেন বিমানবাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন মর্যাদার। ডিডিজিদের অধীনে প্রতিটি বিমানবন্দরে উইং কমান্ডার মর্যাদার দুজন করে ডিরেক্টর এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি-ডিএএস থাকবেন। এ ছাড়া বিমানবাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট পদমর্যাদার পদও রয়েছে এভিয়েশন সিকিউরিটি ফোর্সে। একই সঙ্গে বেসামরিক প্রশাসনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদেরও সুপারিশ রয়েছে। তিন ধাপে পাঁচ বছরের মধ্যে এ বাহিনী গঠনের কাজ শেষ করা হবে। সিএএবির নিজস্ব অবকাঠামো তৈরির আগ পর্যন্ত এভিয়েশন সিকিউরিটি ফোর্সের প্রশিক্ষণ হবে বিমান বাহিনীতে। বিভিন্ন ফোর্স থেকে ডেপুটেশনে বা প্রেষণে আসা সদস্যদের মেয়াদ তিন থেকে পাঁচ বছর করারও সুপারিশ রয়েছে। বর্তমানে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আনসার, এপিবিএন সদস্যরাও এএসএফ বাহিনীর সঙ্গে কাজ করবেন। তবে তাঁদের নিয়ন্ত্রণ থাকবে এএসএফের হাতে। মোট তিন হাজার সদস্যের এ বাহিনীর এক হাজার জন আসবেন বিমানবাহিনী থেকে অবশিষ্টরা সিএএবির নিজস্ব জনবল।
জাতিসংঘের বিমান চলাচল তদারকি কর্তৃপক্ষ আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা-আইকাও বাংলাদেশকে উড্ডয়ন নিরাপত্তা উদ্বেগের তালিকাভুক্ত (সিগনিফিকেন্ট সেফটি কনসার্ন) করেছে। ভবিষ্যতে বিমানবন্দর নিরাপত্তা উদ্বেগের (সিগনিফিকেন্ট সিকিউরিটি কনসার্ন) তালিকায় পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় বিমানবন্দরের নিরাপত্তাব্যবস্থা আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল সংস্থা-আইকাও, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এফএএ এবং ট্রান্সপোর্টেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অনুমোদিত মানে নিয়ে যাওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। আইকাওয়ের মতো যুক্তরাষ্ট্রের এফএএ এবং টিএসএ বাংলাদেশের বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। যুক্তরাষ্ট্র যেসব কারণে বাংলাদেশের সরকারি বিমান সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে নিউ ইয়র্কে ফ্লাইট পরিচালনা করতে দিচ্ছে না, তার মধ্যে অন্যতম হলো_বাংলাদেশের বিমানবন্দরের নিরাপত্তা। এসব সংস্থাগুলোর মতে, শাহজালালসহ বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তাব্যবস্থা ভালো নয়। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং কম্পানি থেকে অত্যাধুনিক মডেলের উড়োজাহাজ কেনার পরও ঢাকা-নিউ ইয়র্ক ফ্লাইট চালাতে পারছে না বিমান। এ পরিস্থিতিতে এভিয়েশন সিকিউরিটি ফোর্স (এএসএফ) গঠনের প্রস্তাব পাঠিয়েছে সিএএবি। এর ওপর ভিত্তি করে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় খসড়া তৈরি করেছে।
দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা সিএএবির নিজস্ব নিরাপত্তা, আনসার ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবি) ওপর ন্যস্ত রয়েছে। এসব সংস্থা সিএএবির অধীনে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে।
সূত্র মতে, দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক ও সাতটি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরের নিরাপত্তা দিচ্ছেন সিএএবির এক হাজার ৪৪, আনসারের এক হাজার আট এবং আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের তিন হাজার ১৫২ জনসহ মোট পাঁচ হাজার ২০৪ জন নিরাপত্তাকর্মী। এর মধ্যে তিন হাজার ৯৯৮ জন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। সিএএবির এক হাজার ৪৪ নিরাপত্তাকর্মীর মধ্যে ৪৫১ জন দৈনিক ভিত্তিতে কাজ করেন। তাঁদের মধ্যে ৩৯২ জন কাজ করেন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে, ৩৫ জন চট্টগ্রামের শাহ আমানত ও সাত জন সিলেটের ওসমানী বিমানবন্দরে। অন্যরা রয়েছেন আরো তিনটি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে। বিমানবন্দর দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা (কেপিআই)। এসব স্থাপনার নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য নিরাপত্তাকর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তা যাদের হাতে রয়েছে, তাদের এ ধরনের কোনো প্রশিক্ষণ নেই।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও আবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সৈয়দ মোঃ ইবরাহিম কালের কণ্ঠকে বলেন, বর্তমান বিশ্বে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে যারা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা দেয় তারা পেশাগতভাবে দক্ষ নয়। তাদের এ সংক্রান্ত কোন প্রশিক্ষণও নেই। সব কিছু মিলে একটি প্রশিক্ষিত বাহিনীর কাছে বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেয়া হলে তা হবে সময় উপযোগী। এ বাহিনীকে পর্যাপ্ত ক্ষমতা দিতে হবে। কারিগরি সরঞ্জাম দিয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে হবে। তাদেরকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা যাবে না। তাহলেই এ বাহিনী গঠন করে সফলতা পাওয়া যাবে। প্রথম পর্যায়ে বিমান বাহিনী থেকে প্রেষণে লোক নিয়ে এ বাহিনী গঠন করা হলেও একটি নির্দিষ্ট সময় পর এটাকে স্বাধীন বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা উচিত।
বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, দেশের সবগুলো বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব এভিয়েশন সিকিউরিটি ফোর্সের হাতে ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব করা হলেও তা বাস্তবসম্মত না বলে অনেকে মনে করছেন। কারণ ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের বিমানবন্দর ছাড়া অন্য বিমানবন্দর থেকে বিমান তেমন চলাচল করে না। তাই আপাতত এ তিনটি বিমানবন্দরের নিরাপত্তাই চিন্তার কারণ। এর মধ্যে কেবল ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরের দায়িত্ব এএসএফর হাতে দেওয়া হতে পারে। তবে এ নিয়ে দ্বিমতও রয়েছে সরকারের মধ্যে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, যদি বিমানবাহিনীর কর্মকর্তা প্রেষণে এসে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন, তাহলে আলাদা বাহিনী করার কোনো অর্থ হয় না। বাহিনী করা হলে তা পুরোপুরি স্বাধীন হওয়াই বাঞ্ছনীয়। তাদের নিয়োগ ও পদোন্নতির সব কিছুই একই কর্তৃপক্ষের তদারকিতে থাকা উচিত। মন্ত্রিসভায় পাঠানোর আগে এ বিষয়টি ফয়সলা করতে হবে। অথবা মন্ত্রিসভায়ও এ বিষয়টির নিষ্পত্তি হতে পারে।
জানা গেছে, শাহজালাল বিমানবন্দরে ৩৫টি সংস্থার প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করেন। তাঁদের নিয়ন্ত্রণের একক কোনো সংস্থা নেই। তাঁরা কারো একক তদারকিতে নেই। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন বিমান সংস্থা, বাংলাদেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, বিভিন্ন সেবা সংস্থার এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাঁদের মূল সংস্থার কাছে জবাবদিহি করেন। এ কারণে শাহজালাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ গঠনের পক্ষেও অভিমত রয়েছে। সিভিল এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহেদুল আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বড় বড় বিমানবন্দরের জন্য আলাদা কর্তৃপক্ষ রয়েছে। আমাদের দেশেও কর্তৃপক্ষ গঠন করা হলে, বিমানবন্দরের পরিস্থিতি উন্নত হতে পারে।'
জানা গেছে, বাংলাদেশের বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে সন্তুষ্ট নয় বিদেশি এয়ারলাইনসগুলো। এমনকি আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ সংস্থাও সরকারকে বারবার তাগাদা দিচ্ছে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা উন্নত করার জন্য। নিরাপত্তার অজুহাতে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ বাংলাদেশ থেকে তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিয়েছে। লাভজনক হওয়া সত্ত্বেও এয়ার ইন্ডিয়া বাংলাদেশে থেকে কোনো কার্গো বহন করে না। ভারত সরকার তাদের বাংলাদেশগামী ও এ দেশ থেকে ছেড়ে যাওয়া সব ফ্লাইটের নিরাপত্তার জন্য উড়োজাহাজে 'স্কাই মার্শাল' নিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে। তাদের এ প্রস্তাবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার রাজি থাকলেও রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য ভারতকে স্কাই মার্শাল নিয়োগের অনুমোদন দেয়নি।
এদিকে বিমানবন্দরে লাগেজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে যাত্রীদের অসন্তোষ বাড়ছে। যাত্রীরা প্রায়ই উত্তেজিত ও সহিংস আচরণ করছেন। এ অসন্তোষকে পুঁজি করে কোনো স্বার্থন্বেষী মহল বিমানবন্দরে ব্যাপক নাশকতা সৃষ্টি করতে পারে বলে সরকারকে শতর্ক করেছেন বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বরত আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ড. হাসান উল হায়দার। গত ১৫ নভেম্বর তিনি স্বরাষ্ট্রসচিব, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন সচিবসহ সরকারের সংশ্লিষ্টদের এ আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।

No comments

Powered by Blogger.