বড় জয়ই পেল পাকিস্তান

অর্ধেক কাজ এগিয়ে রেখেছিল আগের দিনই। বাকিটুকু সারতে কাল খুব বেশি সময় নেয়নি পাকিস্তান। মধ্যাহ্নবিরতির আগেই গুটিয়ে দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। ক্যারিবিয়ানে প্রথম সিরিজ জয়ের স্বপ্ন পূরণ হয়নি, তবে ১৯৬ রানের জয়ে সিরিজটা অন্তত ১-১-এ ড্র করতে পারল পাকিস্তান। ওয়েস্ট ইন্ডিজে সর্বশেষ সিরিজও ১-১ ড্র করে ফিরেছিল পাকিস্তান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ যে ম্যাচটাকে খুব বেশি দূর টানতে পারছে না, কাল তৃতীয় ওভারেই নিশ্চিত হয়ে যায় সেটা। আজমলের টার্ন ও বাউন্সে ফিরে যান ব্রেন্ডন ন্যাশ। ম্যাচ হয়তো জেতাতে পারতেন না ন্যাশ, তবে উইকেটে পড়ে থেকে লড়াই চালিয়ে যেতে পারতেন। আজমল এরপর শেষ করেছেন ড্যারেন স্যামির অ্যাডভেঞ্চার। আগের দিনের তিনটির সঙ্গে আবদুর রেহমান কাল যোগ করেছেন কার্লটন বাফের উইকেট।
এই রেহমানই আগের দিন ম্যাচটাকে এনে দিয়েছিল পাকিস্তানের হাতের মুঠোয়। দারুণ এক ইনসুইঙ্গারে ক্রেইগ ব্রাফেটকে ফিরিয়ে শুরুটা করে দিয়েছিলেন তানভির আহমদে। ১৫ ও ০, দুঃস্বপ্নই হয়ে রইল ১৮ বছর বয়সী ওপেনারের অভিষেক। দ্বিতীয় উইকেটে সিমন্সকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েছিলেন ড্যারেন ব্রাভো। চতুর্থ দিনের উইকেট বা পাকিস্তানের স্পিন আক্রমণকেও খুব একটা কঠিন মনে হচ্ছিল না এই জুটির সামনে। চা-বিরতির পর সব পাল্টে দিলেন রেহমান।
সর্বশেষ দুই টেস্ট সিরিজে তিনিই ছিলেন পাকিস্তানের মূল স্পিনার। কিন্তু আজমলের ঔজ্জ্বল্যে এই সিরিজে ছিলেন অনেকটাই ম্লান। জ্বলে উঠলেন সিরিজের শেষ ইনিংসটায়। প্রথম ৩ ওভারে দুটো ছয় হজম করেছিলেন। পরে ১১ ওভারের টানা স্পেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ডই ভেঙে দিয়েছেন। সিমন্সকে আউট করেছেন একটু বেশি লাফিয়ে ওঠা বলে, সারওয়ানকে সোজা বলে আর স্যামুয়েলসকে নিখুঁত টার্নে।
তৌফিক উমরের পর মিসবাহ-উল-হকের সেঞ্চুরিতে এর আগে পাকিস্তান পেয়েছিল প্রায় ভুলে যাওয়া এক স্বাদ। ১৭ ম্যাচ আর ৩৫ ইনিংস পর ইনিংস ঘোষণা! ম্যাচ জিততে হলে রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ডটা নতুন করে লিখতে হতো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। এই সিরিজের বাস্তবতায় যে এটা প্রায় অলীক, সে তো প্রমাণ হয়েই গেছে!

No comments

Powered by Blogger.