হতাশ লুইজিয়ানাবাসী নিজেরাই তেল পরিষ্কারে নেমেছে
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার ও তেলক্ষেত্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ পেট্রোলিয়ামের (বিপি) ব্যর্থতায় হতাশ লুইজিয়ানাবাসী নিজেরাই সৈকত ও উপকূলীয় এলাকা থেকে তেল পরিষ্কারের কাজ শুরু করেছে। গত রোববার নৌকায় করে তেলযুক্ত ঢেউ ঠেকানোর উপকরণ ‘বুম’ স্থাপনের কাজ শুরু করে তারা। এদিকে তেলক্ষেত্রের দায়িত্ব বিপির কাছ থেকে নিজেদের হাতে তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।
যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের কাছে মেক্সিকো উপসাগরে গত ২২ এপ্রিল ওই তেলক্ষেত্রে বিস্ফোরণ হয়। এর পর থেকে তেলক্ষেত্রের ক্ষতিগ্রস্ত পাইপ দিয়ে অনবরত তেল বেরিয়ে সাগরের পানিতে মিশছে। এতে সাগরের জীববৈচিত্র্য ও উপকূলীয় এলাকার পরিবেশ হুমকির মুখে পড়েছে।
লুইজিয়ানার উপকূলীয় প্ল্যাকুয়েমিন্জ প্যারিশের সভাপতি বিলি নানগেসার বলেন, ‘তেল ছড়িয়ে পড়া নিয়ন্ত্রণে আমরা ক্যাট দ্বীপে যাচ্ছি। সেখানে জলচর পাখিরা ডিম দিচ্ছে। দ্বীপের বেশ কিছু পাখির শরীরে এরই মধ্যে তেল লেগেছে। সেগুলো শরীরে তেল নিয়েই দ্বীপের আবাসস্থলে ফিরে যাচ্ছে।’ তিনি জানান, স্থানীয় বাসিন্দারা চুপচাপ বসে না থেকে তেল ঠেকানোর কাজে নেমে পড়েছে। প্ল্যাকুয়েমিন্জ প্যারিশ হলো প্ল্যাকুয়েমিনজ এলাকার প্রশাসনিক পরিষদ।
ক্ষুব্ধ নানগেসার বলেন, ‘আমাদের কর্মীরা তেল ঠেকানোর জন্য প্রতিরোধকারী ‘বুম’ স্থাপন করতে শুরু করেছে। উপকূলীয় এলাকা রক্ষায় বিপি ও কোস্টগার্ড কেন আরও পদক্ষেপ নিচ্ছে না তা বোধগম্য হচ্ছে না।’ এদিকে পার্শ্ববর্তী জেফারসন প্যারিশের একজন জরুরি অবস্থা বিষয়ক ব্যবস্থাপক বিপির ভাড়া করা ৪০টি বুম স্থাপনকারী নৌকাকে উপকূলীয় এলাকা রক্ষায় কাজে লাগিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে হতাশা চরমে পৌঁছেছে। কারণ বিপি তেলক্ষেত্র থেকে তেল ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করতে এখনো কার্যকর কোনো উদ্যোগ নিতে পারেনি। তেলক্ষেত্রের পাইপের ছিদ্র বন্ধ করতে ‘টপ কিল’ নামের একটি কার্যক্রম গত রোববার শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা আগামীকাল বুধবার পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে স্থানীয় লোকজন আরও ক্ষেপে উঠেছে। বাতাস ও বিপরীতমুখী স্রোত রোববার সাগরে ছড়িয়ে পড়া তেল উপকূল স্পর্শ করা ঠেকিয়ে রাখলেও লুইজিয়ানার জলাভূমিতে তেল প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এ ছাড়া সৈকতের অনেক স্থানেই বালুতে কালো রঙের তেলের প্রলেপ পড়েছে।
এদিকে তেল বেরিয়ে আসা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান বিপির কাছ থেকে তেলক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টেরিয়র সেক্রেটারি কেন স্যালাজার বলেন, ‘যদি আমরা দেখতে পাই যে তাদের (বিপি) যা করণীয় তা করছে না, তাহলে তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে।’ বারবার সময়সীমা মেনে চলতে ব্যর্থ হওয়ায় বিপি কর্তৃপক্ষের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
স্যালাজার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার সন্দেহ নেই, বিপি তেল বেরিয়ে আসা বন্ধ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। এটা তাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন। কিন্তু তাদের উদ্যোগ সফল হবে বলে আমি মনে করি না।’ লুইজিয়ানার গভর্নর ববি জিন্দাল উপকূলীয় জলাভূমি ও সৈকত রক্ষায় দ্রুততম সময়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
ওবামাকে দুষলেন পেলিন: যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যের সাবেক গভর্নর সারাহ পেলিন বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তেলক্ষেত্র বিপর্যয় নিয়ে ঢিলেমি করছেন। কারণ বড় তেল কোম্পানিগুলোর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। রোববার যুক্তরাষ্ট্রের ফক্স নিউজকে রিপাবলিকান দলীয় সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী পেলিন বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি না কেন মূলধারার সংবাদমাধ্যমগুলো প্রশ্ন তুলছে না, এই ঢিলেঢালা ভাব দেখানোর পেছনে ওবামা ও তাঁর প্রশাসনকে বড় তেল কোম্পানির দেওয়া চাঁদার কোনো প্রভাব রয়েছে কি না।’
তবে এই বক্তব্যের জবাবে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র রবার্ট গিবস বলেছেন, ‘আমি মনে করি না, ওবামার প্রশাসনের সঙ্গে তেল কোম্পানিগুলোর ভালো সখ্য রয়েছে। ২০০৮ সালে নির্বাচনী প্রচারের সময় ওবামা তেল কেম্পানিগুলোর মুনাফার ওপর কর আরোপের প্রস্তাব করেছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের কাছে মেক্সিকো উপসাগরে গত ২২ এপ্রিল ওই তেলক্ষেত্রে বিস্ফোরণ হয়। এর পর থেকে তেলক্ষেত্রের ক্ষতিগ্রস্ত পাইপ দিয়ে অনবরত তেল বেরিয়ে সাগরের পানিতে মিশছে। এতে সাগরের জীববৈচিত্র্য ও উপকূলীয় এলাকার পরিবেশ হুমকির মুখে পড়েছে।
লুইজিয়ানার উপকূলীয় প্ল্যাকুয়েমিন্জ প্যারিশের সভাপতি বিলি নানগেসার বলেন, ‘তেল ছড়িয়ে পড়া নিয়ন্ত্রণে আমরা ক্যাট দ্বীপে যাচ্ছি। সেখানে জলচর পাখিরা ডিম দিচ্ছে। দ্বীপের বেশ কিছু পাখির শরীরে এরই মধ্যে তেল লেগেছে। সেগুলো শরীরে তেল নিয়েই দ্বীপের আবাসস্থলে ফিরে যাচ্ছে।’ তিনি জানান, স্থানীয় বাসিন্দারা চুপচাপ বসে না থেকে তেল ঠেকানোর কাজে নেমে পড়েছে। প্ল্যাকুয়েমিন্জ প্যারিশ হলো প্ল্যাকুয়েমিনজ এলাকার প্রশাসনিক পরিষদ।
ক্ষুব্ধ নানগেসার বলেন, ‘আমাদের কর্মীরা তেল ঠেকানোর জন্য প্রতিরোধকারী ‘বুম’ স্থাপন করতে শুরু করেছে। উপকূলীয় এলাকা রক্ষায় বিপি ও কোস্টগার্ড কেন আরও পদক্ষেপ নিচ্ছে না তা বোধগম্য হচ্ছে না।’ এদিকে পার্শ্ববর্তী জেফারসন প্যারিশের একজন জরুরি অবস্থা বিষয়ক ব্যবস্থাপক বিপির ভাড়া করা ৪০টি বুম স্থাপনকারী নৌকাকে উপকূলীয় এলাকা রক্ষায় কাজে লাগিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে হতাশা চরমে পৌঁছেছে। কারণ বিপি তেলক্ষেত্র থেকে তেল ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করতে এখনো কার্যকর কোনো উদ্যোগ নিতে পারেনি। তেলক্ষেত্রের পাইপের ছিদ্র বন্ধ করতে ‘টপ কিল’ নামের একটি কার্যক্রম গত রোববার শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা আগামীকাল বুধবার পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে স্থানীয় লোকজন আরও ক্ষেপে উঠেছে। বাতাস ও বিপরীতমুখী স্রোত রোববার সাগরে ছড়িয়ে পড়া তেল উপকূল স্পর্শ করা ঠেকিয়ে রাখলেও লুইজিয়ানার জলাভূমিতে তেল প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এ ছাড়া সৈকতের অনেক স্থানেই বালুতে কালো রঙের তেলের প্রলেপ পড়েছে।
এদিকে তেল বেরিয়ে আসা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান বিপির কাছ থেকে তেলক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টেরিয়র সেক্রেটারি কেন স্যালাজার বলেন, ‘যদি আমরা দেখতে পাই যে তাদের (বিপি) যা করণীয় তা করছে না, তাহলে তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে।’ বারবার সময়সীমা মেনে চলতে ব্যর্থ হওয়ায় বিপি কর্তৃপক্ষের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
স্যালাজার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার সন্দেহ নেই, বিপি তেল বেরিয়ে আসা বন্ধ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। এটা তাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন। কিন্তু তাদের উদ্যোগ সফল হবে বলে আমি মনে করি না।’ লুইজিয়ানার গভর্নর ববি জিন্দাল উপকূলীয় জলাভূমি ও সৈকত রক্ষায় দ্রুততম সময়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
ওবামাকে দুষলেন পেলিন: যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যের সাবেক গভর্নর সারাহ পেলিন বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তেলক্ষেত্র বিপর্যয় নিয়ে ঢিলেমি করছেন। কারণ বড় তেল কোম্পানিগুলোর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। রোববার যুক্তরাষ্ট্রের ফক্স নিউজকে রিপাবলিকান দলীয় সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী পেলিন বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি না কেন মূলধারার সংবাদমাধ্যমগুলো প্রশ্ন তুলছে না, এই ঢিলেঢালা ভাব দেখানোর পেছনে ওবামা ও তাঁর প্রশাসনকে বড় তেল কোম্পানির দেওয়া চাঁদার কোনো প্রভাব রয়েছে কি না।’
তবে এই বক্তব্যের জবাবে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র রবার্ট গিবস বলেছেন, ‘আমি মনে করি না, ওবামার প্রশাসনের সঙ্গে তেল কোম্পানিগুলোর ভালো সখ্য রয়েছে। ২০০৮ সালে নির্বাচনী প্রচারের সময় ওবামা তেল কেম্পানিগুলোর মুনাফার ওপর কর আরোপের প্রস্তাব করেছিলেন।
No comments