লিফট ছিঁড়ে আহত নেপালি খেলোয়াড়

মাঠে তখন চলছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বর্ণিল আয়োজন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের টিম গ্যালারিতে বসে সেটা উপভোগ করতে পারছিলেন না নেপাল দলের ডেপুটি শেফ ডি মিশন রানা ভাট খড়কা। দুপুরে যে দলের হোটেলে ঘটে গেছে এক দুর্ঘটনা! স্টেডিয়ামের পাশেই ইমপেরিয়াল হোটেলের লিফট ছিঁড়ে আহত হয়েছেন নেপাল দলের ৭ জন খেলোয়াড় ও কর্মকর্তা।
বেলা সাড়ে ১১টায় বাইরে বেরোনোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন নেপাল দলের ওই খেলোয়াড়-কর্মকর্তারা। তৃতীয় তলা থেকে তাঁরা নামছিলেন নিচে। লিফট চলতে শুরু করার পর হঠাত্ই ধপাস করে সবাই নিচে!
গুরুতর আহত জুডো খেলোয়াড় কালু মান থামাং, মহিলা জুডো খেলোয়াড় দেবু থাপা, রাধা দেবী রায়, রমেশ মাগের, টিম অফিসিয়াল ডেম বাসনেত, ভারোত্তোলক জ্ঞান বাহাদুর শ্রেষ্ঠ ও গোপাল শ্রেষ্ঠ।
কালু মান থামাং, দেবু থাপা ও রাধা দেবীর অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে তাঁদের ভর্তি করা হয়েছে। আশঙ্কা, কালু মানের এসএ গেমস হয়তো শেষই হয়ে গেছে। বাকি চারজনকে প্রাথমিক চিকিত্সা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনায় নেপাল দলের ডেপুটি শেফ ডি মিশন রানা ভাট বললেন, ‘দুর্ঘটনার ওপর তো কারও হাত নেই। তবে আমাদের আত্মবিশ্বাসে কোনো রকম চিড় ধরেনি। আমরা এখানে সোনা জিততে চাই।’ মুখে এই কথা বললেও তিনি যে ক্ষুব্ধ সেটা বোঝা যায় পরের কথায়, ‘এখানে হোটেলের স্টাফদের ব্যবহার ভালো না। এক রুমে ৬ জনকে থাকতে দেওয়া হয়েছে। ভাড়া নিচ্ছে ১৫০০ টাকা করে। আর এখানে থাকাও নিরাপদ মনে হচ্ছে না। আয়োজকদের উচিত তাড়াতাড়ি আমাদের অন্য হোটেলে স্থানান্তর করা। না হলে আরও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
দুর্ঘটনার ব্যাপারে হোটেলের মার্কেটিং ম্যানেজার মাহবুবউল্লাহ দাবি করলেন লিফট ছিঁড়ে পড়েনি, ‘লিফট ছিঁড়েনি। আমার মনে হয় অতিরিক্ত ওজনের কারণে একটু দ্রুত এবং খুব বেশি জোরে লিফট টার্ন করেছে। এটা মনে হয় টেকনিক্যাল সমস্যা।’
এই ঘটনায় গেমস আয়োজকেরা বিব্রত। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ দলের শেফ ডি মিশন মিজানুর রহমান মানু বললেন, ‘ঘটনাটা আমাদের জন্য বিব্রতকর অবশ্যই। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে ওদের হোটেলটা বদলানো যায় কি না দেখব।’

No comments

Powered by Blogger.