নাগরিকত্ব পেতে নাবালক সন্তানদের মার্কিন সীমান্তে ফেলে আসছেন ভারতীয়রা!
এই ধরনের ক্ষেত্রে পরিত্যক্ত ওই শিশুদের মানবিকতার খাতিরে ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে গ্রিন কার্ড দেয় আদালত। এরপর আমেরিকায় থাকা তাদের আত্মীয়রা ওই শিশুদের দত্তক নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে। সেক্ষেত্রে শিশুর বাবা-মা শিশুর দেখভালের জন্য গ্রিন কার্ড পেয়ে যান। বহু ক্ষেত্রে দেখা গেছে, বাবা-মা মার্কিন নাগরিক হওয়ায় সন্তানরাও যাতে মার্কিন নাগরিকত্ব পায় তার জন্য এই পন্থা অবলম্বন করা হচ্ছে।
অবৈধ অভিবাসনের বিষয়ে পরিচিত একজন টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে বলেছেন যে, 'প্রায়শই অবৈধ অভিভাবকরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাদের অবস্থানকে বৈধতা দেয়ার জন্য শিশুদের ব্যবহার করে। সাধারণত বাবা-মা প্রথমে অবৈধভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে সক্ষম হন। পরবর্তীতে, তারা তাদের সন্তানদের অন্যান্য অনিবন্ধিত অভিবাসীদের সাথে ভ্রমণের ব্যবস্থা করে। যখন শিশুরা সীমান্তে ধরা পড়ে, তখন পরিবারগুলো আশ্রয়ের জন্য আবেদন করে এবং প্রায়শই মানবিক কারণে তাদের থাকার অনুমতি দেয়া হয়।
দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদন অনুসারে, মার্কিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখন একা যুক্তরাষ্ট্রে আসা শিশুদের পরীক্ষা করছে। এটিকে ‘ব্যাকডোর পারিবারিক বিচ্ছেদ’ বলে অভিহিত করেছেন তারা।২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, মার্কিন সীমান্তে ৭৭ জন পরিবারচুত ভারতীয় নাবালককে আটক করা হয়েছিল। এই শিশুদের ‘কৌশলগতভাবে’ মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্তে অথবা কানাডার মধ্য দিয়ে পরিত্যক্ত করা হয়েছিল। তথ্য থেকে দেখা যায় যে, ৭৭টি শিশুর মধ্যে ৫৩ জন মেক্সিকোর দক্ষিণ সীমান্তে ধরা পড়েছিল এবং ২২ জনকে কানাডা থেকে সীমান্ত পার হওয়ার সময় পাওয়া গিয়েছিল। তাদের দেশের মধ্যেই আটক করা হয়েছিল।
২০২৪ সালে ৫১৭ জন সঙ্গীহীন ভারতীয় অভিবাসী শিশুকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আটক করা হয়েছিল। ২০২৩ -এ সংখ্যাটি ছিল সর্বাধিক ৭৩০ জন। করোনা মহামারীতে তুলনামূলকভাবে সংখ্যাটি কম ছিল। ভ্রমণ বিধিনিষেধের কারণে ২০২০ সালে ২১৯ জন এবং ২০২১ সালে ২৩৭ জন নাবালককে পাওয়া গেছে। ২০২৪ সালের এপ্রিলে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের এক প্রতিবেদন অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আনুমানিক ২.২ লক্ষ অবৈধ ভারতীয় বসবাস করছেন। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ৩৩২ জনেরও বেশি ভারতীয়কে নির্বাসিত করা হয়েছে।
সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে
![]() |
| প্রতীকী ছবি |

No comments