অভিজিৎ-অনন্ত হত্যার হোতাসহ গ্রেপ্তার ৩

ব্লগার অভিজিৎ রায় ও সিলেটের অনন্ত বিজয় দাশের হত্যার
মূল পরিকল্পনাকারী আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সক্রিয় সদস্য
তৌহিদুর রহমান (বাঁয়ে), সাদেক আলী (মাঝে) ও আমিনুল
মল্লিককে (ডানে) গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। মঙ্গলবার দুপুরে তাদের
সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়। ছবি: আবদুস সালাম
বিজ্ঞানমনস্ক লেখক-ব্লগার অভিজিৎ রায় ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারীসহ তিন জ​ঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে বলে দাবি করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)-৩। গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর দুটি স্থান থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন তৌহিদুর রহমান, সাদেক আলী ও আমিনুল মল্লিক। র‍্যাবের দাবি, তাঁরা নিষিদ্ধ সংগঠন আনসারউল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য। এর মধ্যে তৌহিদ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। র‍্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান আজ মঙ্গলবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর নীলক্ষেত থেকে প্রথমে সাদেককে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে, তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাত সাড়ে ১২টার দিকে ধানমন্ডির স্টার কাবাবের সামনে থেকে তৌহিদুর ও আমিনুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র‍্যাবের ওই কর্মকর্তার দাবি, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তৌহিদ ও সাদেক অভিজিৎ ও অনন্ত হত্যায় পরিকল্পনা ও হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। আনসারউল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান জসিমউদ্দিন রহমানীর কাছ থেকে হত্যার নির্দেশনা পেতেন সাদিক ও তাঁর ছোট ভাই আবুল বাশার। সেই অনুযায়ী তৌহিদুর হত্যার পরিকল্পনা করতেন। আর সাদিকসহ আরও চারজন হত্যাকাণ্ডে অংশ নিতেন।
মুফতি মাহমুদ খানের ভাষ্য, অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডে রমজান, নাঈম, জুলহাস, জাফরান ও সাদিক অংশ নেন। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি অভিজিৎকে হত্যা করা হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের তিন ঘণ্টা আগে মুহসীন হলের মাঠে ওই পাঁচজন জড়ো হন। সেখানে দেড় ঘণ্টার বৈঠক শেষে রমজান ও নাঈম বইমেলায় গিয়ে অভিজিৎকে অনুসরণ করেন। পরে অভিজিৎকে তাঁরা কুপিয়ে হত্যা করেন।

No comments

Powered by Blogger.