কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা গিলানির কাছে মোদির দূত!

সৈয়দ আলী শাহ গিলানি
কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন হুররিয়ত কনফারেন্সের একাংশের নেতা সৈয়দ আলী শাহ গিলানি দাবি করেছেন, তাঁর কাছে গোপনে দূত পাঠিয়েছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদি। তবে বিজেপি তাঁর দাবি অস্বীকার করে বলেছে, মিথ্যা বিবৃতির জন্য গিলানির ক্ষমা চাওয়া উচিত। মোদি কাশ্মীরের জামায়াতে ইসলামীসহ দুটি মধ্যপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপের কাছেও দূত পাঠিয়েছিলন বলে দাবি করেন গিলানি। তবে জামায়াত এ ধরনের খবর নাকচ করে দিয়েছে। কাশ্মীরের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগরে নিজ বাসভবনে গত শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে হুররিয়ত নেতা গিলানি বলেন, নরেন্দ্র মোদি কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে একটি প্রতিশ্রুতি পেতে গত ২২ মার্চ তাঁর কাছে গোপনে দুজন দূত পাঠিয়েছিলেন। তবে ওই প্রস্তাব তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন এবং মোদির দূতদের বলে দিয়েছেন, মোদি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সদস্য ছিলেন। তাঁর দলের নীতি তাঁরা জানেন। তবে গিলানির দাবিকে ভিত্তিহীন মন্তব্য করে বিজেপির এক বিবৃতিতে বলা হয়, মোদির কোনো দূত গিলানির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেনি বা করার চেষ্টাও করেনি। জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ—এ বিষয়ে বিজেপির অবস্থান একেবারে স্পষ্ট। এ বিষয়ে ছাড় দেওয়া বা আলোচনা করার কোনো সুযোগ নেই।
বিজেপির জ্যেষ্ঠ নেতা রবি শঙ্কর প্রসাদ বলেন, ‘গিলানির বক্তব্য মিথ্যা। আমি আশ্বস্ত করছি, বিজেপির কোনো প্রতিনিধি তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি।’ অন্যদিকে কাশ্মীর জামায়াতের প্রধান মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ওয়ানি বলেন, ‘মোদি বা বিজেপির কোনো প্রতিনিধি আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি। তবে তাঁরা গিলানির সঙ্গে দেখা করে থাকতে পারেন। কারণ, তিনি একজন বড় নেতা।’ ‘পেছন থেকে সরকার চালানোর খেসারত সোনিয়া-রাহুলকে দিতে হবে’: প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সাবেক উপদেষ্টা সঞ্জয় বারুর আলোচিত বই দি অ্যাকসিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার-এ করা দাবি নিয়ে কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী ও তাঁর ছেলে রাহুল গান্ধীর কড়া সমালোচনা করেছেন মোদি। আসামে গতকাল এক নির্বাচনী সভায় তিনি বলেন, ‘কে প্রকৃত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, (বইটিতে) সেটা পরিষ্কার। মনমোহন সিং কী বলেছেন, তাতে কিছু যায়-আসে না। এ জন্য মা-ছেলে (সোনিয়া-রাহুল) উভয়কে খেসারত দিতে হবে।’ মমতার সহযোগিতার প্রত্যাশা মোদির: ‘আমি আশা করছি, সিঙ্গুর সমস্যা সমাধানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর (মমতা বন্দ্যোপাধায়ের) কাছ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা পাব। কেবল সিঙ্গুরই নয়, রাজ্যটিতে একটি শিল্পবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির জন্য রাজ্য সরকারের কাছ থেকে সহযোগিতা পাওয়ার আশা করছি।’ একটি বাংলা দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মোদি এ কথা বলেছেন। টাইমস অব ইন্ডিয়া, পিটিআই ও আইএএনএস।

No comments

Powered by Blogger.