সিরিয়ায় পশ্চিমারা যুদ্ধকরছে

দামেস্কোর আকাশে বোমা-বারুদের ঝলকানি। দুই দিনের মধ্যে দ্বিতীয়বার আরেকটি ইসরায়েলি বিমান হামলা—ইসরায়েলের সমর্থকেরা তো বলবেনই ‘কী দুঃসাহসী’ অভিযান। বাশার আল-আসাদের অস্ত্রভান্ডার আর সামরিক স্থাপনায় বোমা পড়ল। আর ইসরায়েলিদের বলা গল্পটা ইতিমধ্যে সর্বত্র প্রচারিত হওয়ার সুবাদে সবার জানা: ইসরায়েলিরা নাকি ইরানের তৈরি ফতেহ-১১০ মিসাইল লেবাননের হিজবুল্লাহর কাছে পাঠানোর উদ্দেশ্যে জাহাজের একটা চালান ঠেকাতে চেয়েছিল; এই চালানটা নাকি পাঠাচ্ছিল সিরিয়ার সরকার। এই অভিযোগের পক্ষে তারা কমপক্ষে একটি তথ্যসূত্র উল্লেখ করেছে। সেটা হলো একটি ‘পশ্চিমা গোয়েন্দাসূত্র’। যদিও তাদের নাম বলা হয়নি। নাম বলার আসলে দরকার হয় না। এবং এখান থেকে পুরোনো প্রশ্নটা আবার উঠল যে যখন সিরীয় সরকার নিজের জীবনের জন্য স্বদেশেই লড়াই করে যাচ্ছে, তখন কী কারণে তারা উন্নত ধরনের মিসাইল সিরিয়ার বাইরে পাঠাতে যাবে? এদিকে সিরীয়রা নিজেরাই নিশ্চিত করেছে যে হামলা হয়েছে তাদের সামরিক স্থাপনায় আর হামলা করেছে ইসরায়েল। সিরিয়ায় বিদ্রোহ শুরুর পর এ রকম ঘটনা এটাই প্রথম নয়। ফতেহ ১১০ মিসাইল—কমপক্ষে নতুন সংস্করণ তো হবেই—আড়াই শ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে পারে। তাহলে তা অবশ্যই দক্ষিণ লেবানন থেকে উড়ে তেলআবিবে হামলা করতে পারবে। তার আগে অবশ্য হিজবুল্লাহকে বাস্তবিক পক্ষেই এ রকম মিসাইল পেতে হবে। গত পরশু মার্কিন কর্তৃপক্ষও দাবি করেছে যে সিরিয়া এ রকম মিসাইল লেবাননে পাঠাতে চায়। গত ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছিল, সিরিয়ানরা সিরিয়ার বিদ্রোহীদের ওপর ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য এ রকম মিসাইল ছুড়ছে। এসব অভিযোগের অর্থ হলো, সিরীয় সরকার যখন নিজের দেশের ভয়াবহ যুদ্ধে এসব অস্ত্র ব্যবহার করছে, সে রকম সময়ে তারা অস্ত্রগুলো দেশের বাইরে পাঠাতে চাইছে। তাহলে আরও প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে অভিযোগকারীদের। সিরীয় সেনাবাহিনী যখন তাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে ব্যাপক হারে মিগ বিমান ব্যবহার করছে, যাতে বেসামরিক জনসাধারণেরও ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে, তাহলে কেন তারা তাদের জেট বিমানগুলো ইসরায়েলি বিমানের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে নিজেদের রক্ষা করছে না? সিরিয়ার আকাশকে ইসরায়েলি হামলার হাত থেকে রক্ষার দায়িত্বটা তো সিরীয় বিমানবাহিনীরই হওয়ার কথা? নাকি সিরিয়ার মিগগুলো আমেরিকায় নির্মিত প্রযুক্তিগতভাবে সেরা ইসরায়েলি বিমানগুলোর সঙ্গে টেক্কা দিতে পারেনি? নাকি ইসরায়েলিরা এ ব্যাপারে অনেক এগিয়ে? আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো, ইসরায়েল যে সিরিয়ার যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করেছে, সেটা তো এখন বাস্তবতা। ইসরায়েল বলতে পারে, তারা কেবল হিজবুল্লাহগামী অস্ত্রগুলোকেই নিশানা করেছে। আসলে এই অস্ত্রগুলোই তো বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হতো। সরকারি বাহিনীর অস্ত্রভান্ডার ধ্বংস করার উদ্দেশ্য একটাই, বিদ্রোহী জঙ্গিরা যাতে বাশার আল-আসাদের সরকারকে উচ্ছেদ করতে পারে, তার পথ সুগম করা। আর যেহেতু ইসরায়েল নিজেকে পশ্চিমা রাষ্ট্র মনে করে—মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর জিগরি দোস্ত, পরম বন্ধু ইত্যাদি ইত্যাদি—এর মানে হচ্ছে ‘আমরা পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো’ এই যুদ্ধে জড়িয়ে গেছি, সরাসরি আকাশ থেকে হামলা চালাচ্ছি। দেখি এবার, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইসরায়েলি বিমান হামলার নিন্দা করে কি না। আমার সন্দেহ আছে। যদি আমাদের সরকারগুলো নীরব থাকে, তাহলে এর মানে দাঁড়াবে যে এই হামলায় তাদের সায় আছে। নীরবতা, স্যার টমাস ম্যুরের ভাষায়, সম্মতির সমার্থক। অথচ কিনা ইরান আর হিজবুল্লাহকে অভিযোগ করা হচ্ছে যে তারা সিরিয়ায় হস্তক্ষেপ করছে। সত্যি করছে বটে, কিন্তু আমরা যতটা ভাবি ততটা নয়। এবং কাতার আর সৌদি আরব বিদ্রোহী জঙ্গিদের অস্ত্রের জোগান দিয়ে যাচ্ছে, এটাও সত্যি, কিন্তু সিরীয় বিদ্রোহীরা বলবে, পাচ্ছি বটে তবে ততটা নয়। এবং এ-ও সত্যি, ইসরায়েল এই যুদ্ধে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেছে। আমরা পশ্চিমারা এখন সিরীয় সরকারের বিরুদ্ধে সামরিকভাবে জড়িত হয়ে গেছি। ব্রিটেনের দি ইনডিপেনডেন্ট থেকে নেওয়া, ইংরেজি থেকে অনূদিত রবার্ট ফিস্ক: ব্রিটিশসাংবাদিক। � < � � �?� �� করা হয়েছে। বাকি সাড়ে পাঁচ সহস্রাধিক গ্রন্থাগারিকের চাকরি এখন পর্যন্ত এমপিওভুক্ত করা হয়নি। ইতিমধ্যে এমপিওবিহীন অনেক সহকারী গ্রন্থাগারিকের সরকারি চাকরির বয়সসীমা শেষ হয়ে যাওয়ায় তাঁরা অত্যন্ত হতাশ হয়ে পড়েছেন।এ অবস্থায় এমপিওবিহীন সহকারী গ্রন্থাগারিকদের চাকরি যাতে অতি শিগগির এমপিওভুক্ত করা হয়, সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। হাফিজুর রহমান ফুলজোড় রহিম জাফর উচ্চবিদ্যালয় মাদারগঞ্জ, জামালপুর।

No comments

Powered by Blogger.