অবসরের ব্যস্ততা

ব্যস্ত জীবনে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ খুব একটা পাওয়া যায় না। সে ক্ষেত্রে ছুটির দিনে দেখা করা হলে মন্দ কি? অফ-ডেতে নির্দিষ্ট কোন ড্রেস কোড মানার প্রয়োজন নেই।
তবে এমন পোশাক বেছে নিন যাতে আপনি কম্ফোর্টেবল ফিল করেন। অফ-ডে মানে যেহেতু গোটাদিনের ব্যাপার। সুতরাং আপনি যদি পোশাকে সহজবোধ না করেন তাহলে ঠিকমতো মজা করতে পারবেন না। পোশাক হওয়া উচিত ক্যাজুয়াল অথচ স্টাইলিশ। সে ক্ষেত্রে রোজ যে ধরনের পোশাক পরেন তার থেকে একটু আলাদা করে ভাবা প্রয়োজন। লো কাট বা র‌্যাম্প ড্রেস পরতে পারেন। শিপন কাপড় একেবারে পারফেক্ট, লিলেন ট্রাউজার, তাগা বা স্কার্ট এবং তার সঙ্গে স্পার্ট টাই পরতেও অসুবিধে নেই। সঙ্গে স্কার্ফ বা স্টাইলিশ জ্যাকেট পরতে পারেন। যেহেতু দুপুরবেলায় হয় তাই পোশাকের রং সম্পর্কে সচেতন থাকা প্রয়োজন। সাদা রঙের কোন জুড়ি নেই। সাদা না পরতে চাইলে প্যাস্টেল শেড যেমন পিচ, রোজ, বেজ রঙের পোশাক বেছে নিন। এক্সপেরিমেন্টাল হতে চাইলে ডেনিমের হট প্যান্ট ট্রাই করতে পারে। ব্র্যান্ডে আপনি কার সঙ্গে যাচ্ছেন সেটা মাথায় রেখে পোশাক নির্বাচন করুন। অফিসের ব্রাঞ্চ পার্টি হলে আপনার বস এবং সহকর্মীরা উপস্থিত থাকবেন। সে ক্ষেত্রে পোশাক নিয়ে সচেতন থাকা প্রয়োজন। শুধু যদি বন্ধু-বান্ধবরা থাকে তা হলে পোশাক নিয়ে বেশি না ভাবলেও চলবে। পোশাকের পাশাপাশি জুতো এবং অন্য এক্সেসরিজের প্রতি নজর দেয়ার প্রয়োজন। স্টাইলিশ ফ্ল্যাট স্যান্ডেল, ব্লক হিল বা ওয়েজ হিল পরতে পারেন। পোশাকের সঙ্গে মানানসই ব্যাগ নিন। বেশি মেপআপ করবেন না। ব্রাঞ্চের জন্য ফ্রেশ লুক আইডিয়াল। গয়নাগাটি সিম্পল রাখুন। গলায় ছোট পেন্ডেন্ট, কানে ছোট স্টাড এবং হাতে ব্রেসলেট, রিসলেট পরতে পারেন। মানানসই ঘড়ি পরতে ভুলবেন না। সঙ্গে হ্যাট এবং সানগ্লাস রাখতে পারেন।
খাওয়াদাওয়া
* কাঁটাচামচ ব্যবহার করে খাবেন।
* খেতে খেতে শব্দ করবেন না। মুখে খাবার নিয়ে কথা বলবেন না। একবারে অনেকটা পরিমাণ খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন না।
* অতিরিক্ত মাত্রায় ড্রিংক করবেন না। জুস, সফট ড্রিংক, আইস টি ট্রাই করতে পারেন।
* ইমারজেন্সি ছাড়া খেতে ভেতে উঠে যাবেন না। যদি বাথরুমে যেতে হয় অথবা হঠাৎ করে আপনার শরীর খারাপ লাগে নিজেকে এক্সকিউজ করে নিন।
* দাঁতের ফাঁকে যদি খাবার আটকে যায়, সবার সামনে দাঁত খোঁচাবেন না।
* কোন খাবার পচ্ছন্দ না হলে আস্তে করে তা পাশে সরিয়ে রাখুন। কমপ্লেন করবেন না।
সবার আগে যার বাড়িতে গিয়েছেন তাকে অভিনন্দন জানান। একলা একলা বসে থাকবেন না। সবার সঙ্গে সহজভাবে মিশুন। হতে পারে বিশেষ কাউকে আপনার পছন্দ নয়। তাই বলে সবার সামনে প্রকাশ করা একেবারেই অনুচিত। কোনভাবেই সেই ব্যক্তিকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন না, তা হলে পরিবেশ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সবার সঙ্গে হেসে কথা বলবেন। একা কথা না বলে সবাইকে কথা বলার সুযোগ দিন। সবাইকে নিয়ে আনন্দ করার চেষ্টা করুন। কারও কোন কখা পছন্দ না হলে সেটা নিয়ে অশালীন মন্তব্য করবেন না। রাগ দেখিয়ে নিজের মত প্রকাশ করবেন না। সমালোচনা থেকে দূরে থাকুন। একটি বিষয়ের ওপর কেন্দ্র না করে বিভিন্ন বিষয়ের ব্যাপারে কথা বলার চেষ্টা করবেন। বিতর্কিত বিষয় নিয়ে কথা না বলাই ভাল। কেউ আপনাকে কোন কমপ্লিমেন্ট দিলে, ধন্যবাদ জানান এবং রিটার্ন কমপ্লিমেন্ট দিন।
সময়মতো পৌঁছে যাবেন। অযথা দেরি করে অন্যদের অপেক্ষা করাবেন না। ফেরার সময় হোস্টকে ধন্যবাদ জানাতে ভুলবেন না। এ্যারেঞ্জমেন্টের প্রশংসা অতি অবশ্যই করবেন। হোস্টের জন্য উপহার নিয়ে যেতে পারেন। ভাল ডেলিকেসির গিফট বাস্কেটও গিফট করতে পারেন। চকোলেট, কুকিজ, কফি, ফুল উপহার দিতে পারেন। কথা বলার সময় গলার স্বর নিচে রাখবেন। চিৎকার করে কথা বলা একেবারেই অশোভন। কারও অনুপস্থিতিতে তাঁর নামে নিন্দা করবেন না। গসিপ এবং ব্যাকবাইটিংয়ে নিজেকে না জড়ানোই ভাল।
রীমা

No comments

Powered by Blogger.