আ.লীগের নতুন কমিটি- সভাপতিমণ্ডলীর দুটি পদে কারা আসছেন

আওয়ামী লীগের সংস্কারপন্থী জ্যেষ্ঠ ও মধ্যম সারির নেতারা কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান না পাওয়ায় দলে নানা ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া আছে। বিশেষ করে সভাপতিমণ্ডলীতে দুটি খালি পদ নিয়ে নানা কথা হচ্ছে।
তবে এ পদে কাদের নেওয়া হচ্ছে বা জ্যেষ্ঠ নেতাদের নেওয়া হবে কি না, তা কেউ স্পষ্ট করে বলতে পারছেন না।
আওয়ামী লীগের সংস্কারপন্থী নেতাদের নিয়ে দলে নানা আলোচনা থাকলেও এ বিষয়ে সংবাদপত্রে উদ্ধৃত হয়ে কেউ কথা বলতে চান না। অনানুষ্ঠানিক আলাপচারিতায় নানা রকম বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করে, কৌশলগত কারণে সভাপতিমণ্ডলীর দুটি পদ খালি রাখা হয়েছে। বিরোধী দলের আন্দোলন মোকাবিলা ও আগামী নির্বাচন সামনে রেখে এ কৌশল নেওয়া হয়েছে। জ্যেষ্ঠ নেতা আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদকে সভাপতিমণ্ডলীতে না নিয়ে উপদেষ্টামণ্ডলী ও সংসদীয় বোর্ডেই বহাল রাখা হয়েছে।
ওই শূন্য দুটি পদে কাকে নেওয়া হবে, এ বিষয়ে দলের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এবং কাউন্সিলরদের দ্বারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত হওয়ায় দলীয় সভানেত্রী উপদেষ্টামণ্ডলী থেকেও কাউকে সভাপতিমণ্ডলীতে নিতে পারেন। দলের বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলে জানা যায়, সভাপতিমণ্ডলীর খালি দুটি পদ শেষ পর্যন্ত দুই জ্যেষ্ঠ নেতাকে দেওয়া হতে পারে।
দলীয় প্রধান সময়মতো তাঁদের নাম ঘোষণা করবেন। আবার দলে এ নিয়ে ভিন্নমতও আছে। দলের একটি অংশ মনে করে, সংস্কারপন্থীদের ব্যাপারে দলীয় সভানেত্রী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। তাঁদের কেন্দ্রীয় কমিটিতে নেওয়ার ইচ্ছা থাকলে প্রথম দিনেই ঘোষণা দেওয়া হতো। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা প্রথম আলোকে বলেন, সংস্কারপন্থীদের দলে ফেরার আর সম্ভাবনা নেই।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক হারুন অর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, যেকোনো গণতান্ত্রিক দেশের রাজনৈতিক দলে নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্যের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। হয়তো সেটি বিবেচনা করেই কমিটি করা হয়েছে। তাই এ বিষয়ে বাইরে থেকে মন্তব্য করা কঠিন। তবে অনেকেই মনে করেছিলেন, সংস্কারপন্থীরা এবার কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পাবেন। সামনে নির্বাচন, তাই এ বিষয়টি যত উদারভাবে নেওয়া যায়, ততই মঙ্গল।
এদিকে মন্ত্রিত্ব যাওয়ার পর সৈয়দ আবুল হোসেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকেও বাদ পড়েছেন। শুধু তা-ই নয়, আবুলের নির্বাচনী এলাকা কালকিনি থেকে নির্বাচন করতে আগ্রহী আবদুস সোবহানকে দলীয় কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে। দলীয় নেতারা মনে করেন, আবুল হোসেনের জন্য বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সরকারের দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। ফলে পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.