খালেদার সমাবেশ শেষে লুটপাট, মধ্যরাতে ৩২টি মাইক উদ্ধার by হামিদ উল্লাহ

ট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডের সমাবেশে গত সোমবার বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার বক্তব্য শেষ হওয়ার পর লুটপাট হয়েছে। দুর্বৃত্তরা মঞ্চের আসবাব, সভাস্থলের বৈদ্যুতিক বাতি, মাইক, চেয়ারসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র লুট করে। এর মধ্যে পুলিশ সোমবার দিবাগত রাতে ৩২টি মাইক উদ্ধার করলেও অন্য জিনিসপত্র উদ্ধার করতে পারেনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খালেদা জিয়ার বক্তব্য শেষ হওয়ার কয়েক মিনিট আগে থেকে লোকজন সভাস্থলে টানানো ব্যানার খুলতে থাকে। বক্তব্য শেষ করে খালেদা জিয়া মঞ্চ ত্যাগ করার পর গণলুটপাট শুরু হয়।


মঞ্চ তৈরি, চেয়ার ও আলো সরবরাহের কাজে নিয়োজিত সাহাবউদ্দিন ডেকোরেশনের ব্যবস্থাপক খন্দকার মানিক আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, খালেদা জিয়া মঞ্চ ত্যাগ করার পর খালেদা জিয়ার চেয়ারে দেওয়া বালিশ থেকে শুরু করে মঞ্চ সজ্জার কাপড়, মেটাল বাতি এমনকি মঞ্চের শত শত বাঁশ খুলে নিয়ে যায় স্থানীয় লোকজন। তারা মাঠের সীমানা দেয়ালের বাইরে এসব জিনিসপত্র ছুড়ে মারে। কেউ বাধা দিলে তাকে ছুরি দেখানো হয়।
তিনি বলেন, দুর্বৃত্তরা তাঁদের ভাড়া দেওয়া ৫৭টি চেয়ার নিয়ে যায়।
জানা যায়, ঢাকার তাহের মাইক হাউসের ৩২টি মাইকও লুট হয়। পরে পুলিশ মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে নগরের আইস ফ্যাক্টরি সড়ক থেকে মাইকগুলো উদ্ধার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সমাবেশে ব্যবহারের জন্য তাহের মাইক হাউস থেকে ২০০টি মাইক ভাড়া নেওয়া হয়। আর চট্টগ্রামের মুরাদ মাইক সার্ভিস থেকে নেওয়া হয় আরও ৬০টি। অভিযোগ ওঠে, মুরাদ মাইক সার্ভিসের লোকজন নিজেদের যন্ত্রপাতি ব্যবহার না করে তাহের মাইক হাউসের যন্ত্রের সঙ্গে তাদের মাইকের সংযোগ দিয়ে দেয়। এতে তাহের মাইক হাউসের শব্দবর্ধক যন্ত্রের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। ফলে জনসভা শুরুর পর থেকেই অনেক মাইক বারবার বন্ধ হয়ে যায়। এ নিয়ে সমাবেশে আসা লোকজনের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। মুরাদ মাইক সার্ভিসের লোকজন তা ঠিক করতে গিয়ে লোকজনের পিটুনির শিকার হয়। লোকজন মুরাদ মাইক সার্ভিসের দুটি মেশিনও ভাঙচুর করে।
কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক আরিফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে মুরাদ মাইক সার্ভিসের কর্মীরা তাহের মাইক হাউসের ৩২টি মাইক নিয়ে যায়।
তবে মুরাদ মাইক সার্ভিসের কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, দুর্বৃত্তরা এসব মাইক চুরি করে। কিন্তু চুরির বদনাম থেকে বাঁচতে তিনি নিজে উদ্যোগী হয়ে তাহেরের মাইক উদ্ধার করে দেন।
এ বিষয়ে তাহের মাইকের দায়িত্বশীল কারও সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, চুরির অভিযোগে মুরাদ মাইক সার্ভিসের লোকজনকে ধরে থানায় নিয়ে আসার পর উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়। তাই এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।

No comments

Powered by Blogger.