চকবাজার ট্রাজেডি- এ পর্যন্ত ৭৮ লাশ উদ্ধার

পুরান ঢাকার চকবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৭৮ জনের মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের। রাত তিনটায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও সকালে ভবনগুলো থেকে ধোয়া উড়ছিল। আগুন পুরো নেভানোর পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তল্লাশি চালিয়ে নিহতদের লাশ বের করে আনছেন। সকাল আটটা পর্যন্ত ৬৯ জনের লাশ পাওয়া গেছে। আগুনে মৃতদেহগুলো ঝলসে গেছে। গত রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুনের সূত্রপাত। আগুনে পুড়ে যাওয়া একটি ভবনের কমিউনিটি সেন্টারে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল।
পাশের ভবনগুলোতে আবাসিক বাসিন্দাও ছিলেন। চকবাজারের নন্দ কুমার দত্ত রোডের শেষ মাথায় মসজিদের পাশে ৬৪ নম্বর হোল্ডিংয়ের ওয়াহিদ ম্যানসনে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এলাকাবাসী বলছে, ওই ভবনের কারখানা থেকে আগুন ছড়িয়েছে। কারও কারও মতে, বিকট শব্দে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর আগুন ছড়ায়। ওয়াহিদ ম্যানসনের নিচতলায় প্লাস্টিকের গোডাউন ছিল। ওপরে ছিল পারফিউমের গুদাম। আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিট। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রাত ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন বলে জানানো হয়। সাড়ে ৩টার দিকে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান বলেন, এখানে আসার রাস্তাটির দু’পাশই সরু। ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি সহজে ঢুকতে পারেনি। তবে শেষ পর্যন্ত কয়েকঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছি। ভবনে দাহ্য পদার্থ থাকার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। মোট পাঁচটি ভবনে আগুন লেগে যায়। এদিকে সকালে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার থেকে আগুনে পোড়া ভবনে পানি দেয়া হচ্ছে। এদিকে ঘটনায় আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাতেই ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অগ্নিদগ্ধ চার জনের অবস্থা গুরুতর। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে লাশ রাখা হয়েছে। সেখানে ভিড় করছেন উদ্বিঘ্ন স্বজনরা। তাদের কান্নায় ঢামেক মর্গের আশপাশে এক হৃদয়বিদারক অবস্থা তৈরি হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.