আইনের শাসন না থাকলে যা হয়

এই গাড়িতেই একরামুল হককে পুড়িয়ে মারে সন্ত্রাসীরা
নিজেদের বাঁচিয়ে শামীম ও নূরের দিকে আঙুল
নারায়ণগঞ্জে সাতজনকে অপহরণ ও খুনের ঘটনার সঙ্গে সাংসদ শামীম ওসমান ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেন জড়িত থাকতে পারেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছেন র‌্যাব-১১-এর সাবেক অধিনায়ক তারেক সাঈদ মোহাম্মাদ। তবে এই হত্যাকাণ্ডে তাঁর নিজের বা র‌্যাব-১১-এর কারও জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন তিনি। এ ব্যাপারে জুবায়ের হোসেইন লিখেছেন: সরকারের সদিচ্ছা থাকলেই এসব খুনের রহস্য উদ্ঘাটন হবে, না হয় সাগর-রুনির, ত্বকী, মিল্কি, ইলিয়াস আলীর মতো এঁদের স্বজনেরাও প্রকৃত বিচার পাবেন না। ফুয়াদ: আওয়ামী লীগের সময়: নারায়ণগঞ্জের সাত খুনে মন্ত্রীর জামাই গ্রেপ্তার। পাঁচ দিনের রিমান্ডে। বিএনপির সময়: বাঁশখালীর ১১ খুন: কেউ গ্রেপ্তার নয়। বিএনপির পতনের পর মন্ত্রীর ভাইয়ের পাকিস্তান পলায়ন। অদ্যাবধি পলাতক। পার্থক্যটা এখানেই। মুন্না: কেউ বাঁচতে পারবে না। এরা এভাবে একে অপরের জারিজুরি ফাঁস করে দেবে।
শামীমের সহায়তায় পালান নূর হোসেন?
নারায়ণগঞ্জের সাতজনকে খুনের মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে বিদেশে পালাতে সাহায্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাংসদ শামীম ওসমান। এর কঠোর সমালোচনা করে পাঠক আসিফ উল হক লিখেছেন: শামীম ওসমান দাবি করেছেন, ‘আমি জানি, ঘটনা অন্য কেউ ঘটাইয়া এক ঢিলে দুই পাখি মারতেছে।’ তাহলে শামীম ওসমানকে রিমান্ডে নিলেই তো সব বের হয়ে আসবে। বিল্পব: আমরা বুঝতে পারছি না, শামীম ওসমানের মতো লোক আওয়ামী লীগের কী উপকারে আসছেন? বরং তাঁর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শুধু নারায়ণগঞ্জে নয়, সমগ্র বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের অস্তিত্বকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে! এ ডব্লিউ হক: এই সবকিছুর জন্য দায়ী আওয়ামী লীগের একতরফা অগণতান্ত্রিক নির্বাচন ও স্বঘোষিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সারা দেশে খুন, গুম, হত্যা হাজার গুণ বেড়েছে আওয়ামী লীগের একতরফা নির্বাচনের পরপরই। সবাই জানে শেখ হাসিনার আশীর্বাদপুষ্ট শামীম ওসমানের পৃষ্ঠপোষকতায় নূর হোসেনরা গোটা নারায়ণগঞ্জে পুলিশের সামনে চাঁদাবাজি, খুন, গুম হত্যা করছেন।
শেখ হাসিনা-কামাল হোসেন বিতর্ক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর কার্যালয় এবং ড. কামাল হোসেনের মধ্যে যে বিতর্ক দেখা দিয়েছে,তা নিয়েই এই কলাম। এ ব্যাপারে পাঠক শামসুল আমিন লিখেছেন: ড. কামাল স্যার, হাসিনার এই একনায়কতন্ত্রে ভালো এবং ভদ্র মানুষের মূল্য নেই...। মো. নূর ইসলাম: ড. কামাল হোসেন আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কাছে এখন ভাঙা কুলাসম। যখন কাজে লেগেছিলেন, তখন খুব ভালো ছিলেন। আর আজ দেশে প্রচলিত অপশাসনের বিপক্ষে যে-ই কথা বলবেন, তাঁরই সমালোচনা হচ্ছে। কামাল সাহেবকে সমালোচনা দিয়ে শুরু করা হলো। দেখা যাক শেষটায় গিয়ে কোথায় ঠেকে। শাহিদুল ইসলাম: গায়ের জোরে বা চাপার জোরে কিছুদিন ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় কিন্তু কখনোই মানুষের মন জয় করা যায় না। সোহাগ: যারা শেখ মুজিব ও তাজউদ্দীনের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করেছিল, সেই সুবিধাভোগী দল আজও আছে। হয়তো তারাই নতুন ইতিহাস রচনার চেষ্টা করছে। কারণ, সবকিছুই হয় ম্যাডামকে খুশি করার জন্য৷ আর এ কথা সবাই জানে, সুসময়ে বা ক্ষমতায় থাকাকালে অনেকেই তার অতীতটা ইচ্ছে করেই স্মরণ না করার চেষ্টা করে। তার ওপর তেলবাজরা তো আছেই...।
ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যানকে গুলি করে ও পুড়িয়ে হত্যা
ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একরামুল হককে গাড়ির ভেতরে গুলি করে ও আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। একরামুল হক ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। এ ব্যাপারে পাঠক কিরণ আহমেদ লিখেছেন: কিচ্ছু করার নাই। সরকার ঘুমাইতেছে। মন চাইলে এ দেশে থাকেন, নইলে পটেন।আব্দুল্লাহ আল-মামুন: কী কারণে এবং কারা এসব ঘটাচ্ছে, তা খঁুজে বের করতে হবে। রাসেল: কী ভয়াবহ! এ দেশটা কি এখনো বসবাসের উপযোগী আছে? সময় হয়েছে ভাবার। আইনের শাসন না থাকলে যা হয় আর কি! কঠোর আইন প্রণয়ন করে হলেও এগুলো বন্ধে সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি এবং শাস্তি যেন জনসমক্ষে কার্যকর করা হয়। মনিরুল রিয়াদ: নারায়ণগঞ্জের পর ফেনী। এটাও সম্ভবত অন্তর্কোন্দলের ফল। সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের সমর্থনের সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে না থাকলে যা হয়। এরশাদের শাসনামলে যা হয়েছিল। তানভীর সিদ্দিকী: এবার কি জনগণ আবার গণজাগরণ মঞ্চ তৈরি করবে? দেশের সরকার পতন কি জনগণ করবে? এম এইচ কবির পল্লব: অসভ্যতার শেষ পর্যায়ে! আর কতটা পথ পেরোলে বলা যাবে আমরা অসভ্য! রাসেল: দেশে স্বাভাবিক মৃত্যুর কোনো গ্যারান্টি নেই। আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি। এভাবে চলতে পারে না।
জামায়াতের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি বন্ধ
মুক্তিযুদ্ধকালে অপরাধী সংগঠন হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে মামলা করা এবং তার নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিদের অন্তর্দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে৷ এ কারণে জামায়াতের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর প্রায় দুই মাস পার হতে চললেও দলটির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা যায়নি। এ ব্যাপারে পাঠক নিশিতার মন্তব্য: ভেবেছিলাম অন্তত জামায়াতের কবল থেকে আমরা বাঁচব। আমরা আম জনতা। আমাদের আশা করতে নেই। ওনাদের ব্যক্তি স্বার্থ হলো আসল। সেগুলো পূরণ হলেই হলো। মো. এস আলম: মনে হয় না যে সরকার এই মামলার পরিণতি দেখতে চায়। যদি তা-ই হয়, তবে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে দেওয়া হোক, আমরা বিচার করব সেই একাত্তরের কায়দায়। সুমন: যেভাবে দলে দলে জামায়াতিরা আওয়ামী লীগে যোগদান করেছে, তাতে কি বিচার চলে? শাহরিয়ার কবির: গণজাগরণ মঞ্চকে ধাক্কা দেওয়ার পরই বোঝা গিয়েছিল কোথাকার পানি কোন দিকে গড়াচ্ছে।

No comments

Powered by Blogger.