মঙ্গলে হ্রদের অস্তিত্ব

মঙ্গলগ্রহে প্রাণ কিংবা প্রাণের উপযোগী পরিবেশের সম্ভাবনা নিয়ে পৃথিবীর বিজ্ঞানীদের গবেষণা বহু দিনের। ১৯৬৪ সাল থেকে সফল-বিফল মিলে তিন ডজনেরও বেশি মহাকাশযানকে অভিযানে পাঠানো হয় এ লক্ষ্যে।
এক সময় মঙ্গলে বিপুল প্রাণ-প্রাচুর্য্য ছিল বলেই সায় দিচ্ছে মহাকাশযান মার্স রিকনিস্যান্স অরবিটারের (এমআরও) পাঠানো সর্বশেষ তথ্য।
গত রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল অ্যারোনটিকস অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (নাসা) পক্ষ থেকে বলা হয়, এমআরও মঙ্গলের বুকে এমন একটি হ্রদ আকৃতির খাদের সন্ধান পেয়েছে, যা কি না এক সময় ভূগর্ভস্থ পানিতে পূর্ণ ছিল। যা এই লাল গ্রহে এক সময় প্রাণের অস্তিত্ব থাকার পক্ষেই ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে নাসা দাবি করেছে। এমআরওতে স্থাপিত স্পেকট্রোমিটার থেকে পাঠানো তথ্যে সেখানে কার্বনেট ও কাদামাটিসহ খনিজদ্রব্যের চিহ্ন দেখা গেছে। ৫৭ মাইল প্রশস্ত ম্যাকলাখ্লিন নামের ওই খাদের দুই দশমিক দুই কিলোমিটার গভীরে সাধারণত পানির সাহায্যে এ খনিজ গঠিত হয়েছিল বলে বিজ্ঞানীরা বলছেন।
নাসার ন্যাচার জিওসায়েন্স পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে আরো বলা হয়, ভূগর্ভস্থ পানির কারণে একটা আর্দ্র এবং প্রাণীর বাসযোগ্য পরিবেশ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভূপৃষ্ঠ থেকে খাদটির মধ্যে পানি প্রবাহের পথ না থাকায় বিজ্ঞানীরা ভূগর্ভস্থ পানির সম্ভাবনাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন।
এমআরও-র বিজ্ঞানী রিচ জুরেক জানান, সর্বশেষ এ তথ্য অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে আরো জটিল এক মঙ্গলকে আমাদের সামনে হাজির করে; যাতে আমরা কিছু এলাকার সন্ধান পাই, যেখানে অন্যান্য এলাকার তুলনায় আদি জীবের অস্তিত্বের লক্ষণ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
উল্লেখ্য, এমআরও মহাকাশযানটি ২০০৫ সালের আগস্টে উৎক্ষেপণ করা হয় এবং ২০০৬ সালের মার্চে মঙ্গলের কক্ষপথে পৌঁছে। মঙ্গলকে প্রদক্ষিণ করে অনুসন্ধান কাজ করে থাকে এ মহাকাশযান। সূত্র : এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.