ফারজানার স্বপ্ন পূরণ হবে তো by মনোজ সাহা

উচ্চশিক্ষার প্রতি অকৃত্রিম অনুরাগ এতিম ও মেধাবী ফারজানাকে এগিয়ে নিচ্ছে সামনের দিকে। টিউশনি করে যা আয় করেছে তা দিয়ে নিজের পড়াশোনার খরচ চালিয়ে আলিম পরীক্ষায় সে গোল্ডেন জিপিএ পেয়েছে। দাখিল পরীক্ষায়ও সে গোল্ডেন জিপিএ পেয়েছিল। গোপালগঞ্জ মহিলা আলিম মাদ্রাসার ছাত্রী ফারজানা ভবিষ্যতে অধ্যাপনা করতে চায়।


কিন্তু তার স্বপ্ন পূরণে অন্তহীন সমস্যা রয়েছে। উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সামর্থ্য তার নেই।
পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ার সময় ফারজানার বাবা-মা মারা যায়। ভাইয়ের সংসারে থেকে ষষ্ঠ শ্রেণীতে থাকাকালে সে নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে টিউশনি শুরু করে। অষ্টম শ্রেণীতে পড়ার সময় তাকে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। সে বিয়ে না করে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে। একদিন ভাইয়ের সংসার থেকে বের হয়ে এসে মাদ্রাসার হোস্টেলে উঠে পড়ে। এখানে থেকেই সে পড়াশোনা চালাতে থাকে। একপর্যায়ে ভাই তাকে বুঝিয়ে পড়াশোনা করানোর আশ্বাস দিয়ে বাড়ি নিয়ে যায়। ফের তাকে বিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হলে ফারজানা ভাইয়ের সংসার থেকে বেরিয়ে এসে শহরের হেমাঙ্গন আবাসিক এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে এসে ওঠে। টিউশনি করে ঘরভাড়া, খাওয়া ও পড়াশোনার খরচ চালানো শুরু করে। প্রাইভেট না পড়ে নিজের চেষ্টায় সে এত দূর আসতে পেরেছে।
ফারজানা জানায়, আমাকে পরিবার থেকে বাল্যবিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল।
কিন্তু আমি বিয়ে করিনি। কষ্ট করে পড়াশোনা করে আমি এ সাফল্য পেয়েছি। ভবিষ্যতে আমি উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে অধ্যাপনা করতে চাই। আমার এ স্বপ্ন পূরণের পথে অনেক বাধা রয়েছে। আমি সমাজের মানুষের সহানুভূতি ও সহযোগিতা পেলে সব বাধা অতিক্রম করে ইনশাল্লাহ অভীষ্ট লক্ষ্যে পেঁৗছতে পারব। মাদ্রাসার শিক্ষক আবু হানিফ বলেন, ফারজানা কোনো বাধা মানবে না। সে তার লক্ষ্যে ঠিকই পেঁৗছে যাবে। কিন্তু উচ্চশিক্ষা গ্রহণে অনেক খরচ। এ খরচ চালানোর মতো সামর্থ্য তার নেই। কোনো ব্যক্তি বা
প্রতিষ্ঠান তার পাশে এসে দাঁড়ালে সে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাবে। হ
 

No comments

Powered by Blogger.