শতাধিক ঘর যমুনায় বিলীন

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার যমুনা নদী-তীরবর্তী শিমলা ও বাহুকা এলাকায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। গত তিন দিনে এসব এলাকার শতাধিক বাড়িঘর ও বেশ কিছু ফসলি জমি যমুনায় বিলীন হয়ে গেছে। সরেজমিনে পরিদর্শন ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার থেকে উপজেলার শিমলা থেকে বাহুকা পর্যন্ত চার


কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়। বন্যার পানি কমে যাওয়ার পর এসব এলাকায় ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। গতকাল রোববার সকাল পর্যন্ত এসব এলাকার শতাধিক বাড়িঘর ও প্রায় ৫০০ বিঘা ফসলি জমি নদীগর্ভে চলে গেছে। বর্তমানে বহ্মপুত্র বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধটি নদী থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরে অবস্থান করছে।
শিমলা গ্রামের বাসিন্দা ইয়াকুব আলী বলেন, ঈদের আগে ব্রহ্মপুত্র বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধটি যমুনা থেকে ৩০০ মিটার দূরে ছিল। সম্প্রতি যমুনায় পানি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিমলা থেকে বাহুকা পর্যন্ত ভাঙন শুরু হয়। এরপর পাউবোর লোকজন সেখানে সামান্য কিছু বালুর বস্তা ফেলে চলে যান। ঈদের পর পানি আরও কমে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করে। ভাঙনে পাউবোর ফেলা ওই বালুর বস্তাসহ মাটি ধসে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত পাউবো আর কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি।
বাহুকা এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, নদীর স্থায়ী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কার্যাদেশ পাওয়ার পরও শুষ্ক মৌসুমে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারেরা নির্মাণকাজ শুরু করেননি। যদি ঠিকাদারেরা নির্মাণকাজ শুরু করতেন, তাহলে এলাকাবাসীকে এই ভাঙনের কবলে পড়তে হতো না।
ভাঙনের বিষয়টি স্বীকার করে সিরাজগঞ্জ পাউবোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, এসব এলাকায় নদীর তীর সংরক্ষণকাজে তিনটি গ্রুপে ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছিল। অপ্রতুল বরাদ্দের অজুহাত দেখিয়ে তাঁরা কাজ শুরু করেননি, যে কারণে ভাঙন শুরু হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.