আসিয়ান নেতাদের প্রতি হিলারি-প্রবৃদ্ধির জন্য শ্রমিকদের জীবনমান উন্নত করতে হবে

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোকে শ্রমিকদের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে এবং তাঁদের অবস্থার উন্নয়নের আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। তাঁর মতে, এই অঞ্চলের দেশগুলোর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উন্নয়নের স্বার্থেই এই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।


আসিয়ান সম্মেলন উপলক্ষে কম্বোডিয়া সফররত হিলারি গতকাল শুক্রবার এ আহ্বান জানান।
হিলারি গতকাল কম্বোডিয়ার সিয়েম রিপ শহরে আয়োজিত নারীদের এক ফোরামে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, 'শ্রমিক অধিকারের পক্ষে থাকা ও তাঁদের অবস্থার উন্নয়ন করা শুধু সঠিক ও নৈতিক কাজই নয়, এটা সরকারের বুদ্ধিদীপ্ত ও কৌশলগত দিকও। শ্রমিকদের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার ভেতরই নিহিত রয়েছে এশিয়ার প্রবৃদ্ধি অর্জনের চাবিকাঠি। এর মাধ্যমেই বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত হবে।'
মিয়ানমারের ওপর থেকে কয়েক দশকের বিনিয়োগ নিষেধাজ্ঞা গত বুধবার প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে খনিজ সম্পদে ভরপুর মিয়ানমারে যুক্তরাষ্ট্রের কম্পানিগুলোর অবাধ বিনিয়োগের পথ খুলে যায়। ঠিক এমন সময়েই শ্রমিকদের অবস্থা সম্পর্কে এ মন্তব্য করলেন হিলারি। তবে হিলারি এ কথাও স্বীকার করেন, মিয়ানমারে বিদেশি বিনিয়োগের যে পথ উন্মুক্ত হয়েছে তার পূর্ণ সুফল পাওয়া মিয়ানমারের পক্ষে হয়তো অতটা সহজ হবে না। এ প্রসঙ্গে তিনি বাংলাদেশ ও কম্বোডিয়ার মতো শস্তা শ্রমের দেশের উদাহরণ টানেন। জানান, মিয়ানমারকে এসব দেশের প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হবে। দেশটির শ্রমিকদের মজুরির নিম্নহারের বিষয়টির উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'শ্রমিকদের অত্যন্ত কম মজুরি দিয়ে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার চেষ্টা ঝুঁকিপূর্ণ হবে।'
তবে তিনি মনে করেন, দেশের নেতারা যদি শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষায় সচেষ্ট হন, ভালো কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক সংস্কার অব্যাহত রাখেন, তবে দীর্ঘমেয়াদে সুফল আসবেই। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক সৃষ্টির মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশ ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উদাহরণ মিয়ানমারের সামনে তুলে ধরেন। সূত্র : এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.