স্বাধীনতার প্রশ্নে আওয়ামী লীগের কোনো সিদ্ধান্ত ছিল নাঃ আ স ম রব

স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলনকারী আ স ম আবদুর রব বলেছেন, “স্বাধীনতার সব মৌলিক ইস্যু যেমন-জাতীয় পতাকা নির্ধারণ ও অঙ্কন-জাতীয় সঙ্গীত নির্বাচন, সার্বভৌম দেশের সীমানা নির্ধারণ, বঙ্গবন্ধু উপাধী-বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীন দেশের সর্বাধিনায়ক, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ-২৩ মার্চ সারা বাংলাদেশে

স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন, সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের দিকনির্দেশনা সহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ‘ছাত্রলীগ’ এবং ‘স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াস’। এসব গুরত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে আওয়ামী লীগের কোনোই ভূমিকা ছিল না। রোববার জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) আয়োজিত এক আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “এমনকি ৭ মার্চের ভাষণের পর অসহযোগ আন্দোলন ও বিকল্প প্রশাসন গড়ে তোলা এবং তা পরিচালনাও ছিল ছাত্রলীগের। কিন্তু আজ ছাত্রলীগ-নিউক্লিয়াসে’র অবদানকে উপেক্ষা করে সমস্ত কৃতিত্ব আওয়ামী লীগের বলা হচ্ছে। প্রকৃত পক্ষে আওয়ামী লীগের কোনো দলীয় বা সংসদীয় সভায় জাতীয় পতাকা-জাতীয় সঙ্গীত-দেশের সার্বভৌম সীমানাসহ স্বাধীনতার মৌলিক প্রশ্নে একটি সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়নি।”

রব বলেন, “স্বাধীকার থেকে স্বাধীনতা আন্দোলন-সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ এসব প্রশ্নে আমাদের দুটো ধারার সংযোগে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। সেটি ৬২ সাল থেকে সিরাজুল আলম খানের নেতৃত্বে অপ্রকাশ্যে-আরেকটি প্রকাশ্য ধারা যার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু।”

তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে-বঙ্গবন্ধুর নামে মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। অথচ মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত করার মূল মানুষগুলোকে প্রবাসী সরকারের অবদান থেকে সযতনে আড়াল করা হয়, যা ইতিহাস বিকৃতির নামান্তর।”

রব বলেন, “আজকের দেশের জনগণের যে অবস্থা এর জন্য মুক্তিযুদ্ধ হয়নি। পুলিশের গুলিতে মানুষ মারা যাচ্ছে, গুম হচ্ছে-ক্রসফায়ারে মারা যাচ্ছে, এগুলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিনষ্ট করছে।”

বিকেল ৩ টায় মহানগর নাট্যমঞ্চে স্বাধীনতার প্রথম পতাকা উত্তোলন দিবস উপলক্ষে জেএসডি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। আলোচনা সভার পূর্বে জাতীয় পতাকা, সাংগঠনিক পতাকা ও ১৯৭১ সালে ২ মার্চ বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত ৪১ টি পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন ও কবুতর উড়ানোর মধ্যদিয়ে কর্মসূচির সূচনা হয়।

বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম, আবদুল মালেক রতন, কাজী ফিরোজ রশিদ, ড. শফিউল্লাহ, খালেদ মোহাম্মদ আলী, ড. মাহবুব উল্লাহ, মেজর জেনারেল (অব.) আমিন আহম্মদ চৌধুরী, ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন, আতাউল করিম ফারুক, মো. সিরাজ মিয়া, শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, আবদুল খালেক, দেলওয়ার হোসেন, কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, কাজী আবদুস সাত্তারসহ দেশের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা আলোচনায় অংশ নেন।

No comments

Powered by Blogger.