চার বছরের মধ্যে চাঁদে ‘বাড়ি’

একেবারে চাঁদের আকাশে দুই বা তিন বেডরুমের ‘বাড়ি’! বেডরুম দু’টি বা তিনটি হলেও, চাঁদ মুলুকের সেই ‘আশ্রয়’-এ জায়গা থাকবে যথেষ্টই। এখন বিশ্বকাপ ফুটবল হয় যে চেহারার মাঠে, লম্বায় তার প্রায় অর্ধেক হবে সেই ‘বাড়ি’। একেবারে ঝকঝকে তকতকে। ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস নেই। নেই কোনো জীবাণু হামলার ভয়। মহাকাশের যাবতীয় বিকিরণের হাত থেকে বাঁচার সব রকমের ‘রক্ষাকবচে’ই তা মুড়ে রাখা থাকবে। চাঁদের পিঠ (লুনার সারফেস) থেকে বড়জোর ৩০০-৪০০ কিলোমিটার উপরে। ইচ্ছে করলেই সেই ‘বাড়ি’ থেকে বেরিয়ে ঝুঁপ করে নেমে পড়া যাবে চাঁদের বুকে। চাঁদের মাটি, পাথর পরীক্ষা করার জন্য কিছুক্ষণ থাকা যাবে। তার পর কাজ শেষ হলেই ফিরে আসা যাবে চাঁদের পাড়ার সেই ‘বাড়িতে। চাঁদের কক্ষপথে। ফিরে আসা যাবে পৃথিবীতে আরো গভীরতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য।
হ্যাঁ, চাঁদের পাড়ায় এবার এমনই একটি মহাকাশ স্টেশন বানাচ্ছে নাসা। প্রথম ‘লুনার স্পেস স্টেশন’। নাসার ওই প্রকল্পের নাম- ‘গেটওয়ে টু মুন’ বা ‘আর্টেমিস’। পাসাডেনা থেকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন নাসার জেট প্রোপালসন ল্যাবরেটরির (জেপিএল) ‘ইউরোপা’ (বৃহস্পতির চাঁদ) মিশনের টিম লিডার সিনিয়র সায়েন্টিস্ট গৌতম চট্টোপাধ্যায়। আনন্দবাজার পত্রিকা।

No comments

Powered by Blogger.