স্কুল থেকে ফেরার পথে ছয় ছাত্রীকে ধর্ষণ করে আমিনুর

তিন সন্তানের জনক কর্তৃক যশোর শহরের খড়কি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছয় ছাত্রীকে বিভিন্ন সময় ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার সত্যতা জানতে বুধবার সকাল ১০টার দিকে স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের জবানবন্দি নিতে ডাকলে বিষয়টি প্রকাশ পায়। এ সময় অভিভাবকরা জড়িত আমিনুরকে আটক ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিমদের উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করে। এদিকে ঘটনা আঁচ করতে পেরে পালিয়েছে ধর্ষক আমিনুর।
পুলিশ এই নরপিশাচকে আটকে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে বলে দাবি কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ অপূর্ব হাসানের। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ফেরদৌসী আরা বেগম  ও সভাপতি কামরুল হাসান বলেন, বিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থী গত ২৮শে এপ্রিল পরীক্ষায় অংশ না নেয়ায় তারা পরবর্তীতে তাদের সঙ্গে কথা বলে যৌন নিপীড়নের বিষয়টি জানতে পারেন। ঘটনার সত্যতা জানতে গতকাল (বুধবার) মেয়েদের, তাদের অভিভাবকদের ও অভিযুক্ত আমিনুরকে স্কুলে ডেকে পাঠানো হয়।
কয়েকটি মেয়ে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে। তাদের ধর্ষণ করা হয়েছে এবং একটি মেয়ে রক্ষা পেতে গাছে উঠে যায় বলে জানায়। এরপর খবর পেয়ে বিদ্যালয়ে পুলিশ আসে এবং মেয়েদের থানায় নিয়ে যায়। কিন্তু আমিনুর ঘটনা বুঝতে পেরে পালিয়েছে।
তারা আরো বলেন, বিষয়টি ইতিমধ্যে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে তারা অবহিত করেছেন। এছাড়া এ ঘটনায় অভিযুক্তর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
ভুক্তভোগী শিশুদের পরিবারের সদস্যরা জানান, বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকার তিন সন্তানের জনক আমিনুর স্কুল ফেরত মেয়েদের চকলেট ও ফল খাবার প্রলোভন দিয়ে পাশের বাগানে নিয়ে যৌন নিপীড়ন চালাতো।
এদিকে বিক্ষোভে অংশ নেয়া স্থানীয় বাসিন্দা আনারুল ইসলাম, শুকুর আলী, সাগর হোসেন, বিল্লাল হোসেন, রেশমা বেগম, কামরুন নাহার ও নুরুননাহারসহ কয়েকজন বলেন, এখন পর্যন্ত ৫/৬টি মেয়ের বিষয় প্রকাশ পেয়েছে। তার মধ্যে প্রতিবন্ধী একটি মেয়েও রয়েছে। এ সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে বলে তারা আশঙ্কা করছেন।
তারা আরো বলেন, বুধবার সকাল থেকে আমিনুরকে এলাকায় দেখা যায়নি। তাদের ধারণা সে পালিয়েছে। তারা আমিনুরকে আটক ও তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে ৫ শিশুকে থানায় নিয়ে যাওয়ার পর তাদের ও অভিভাবকদের বক্তব্য গ্রহণ করে পুলিশ। এরপর যৌন নিপীড়নের শিকার প্রতিবন্ধী শিশুটির বোন রেশমাকে বাদী করে মামলা গ্রহণ করে পুলিশ।
যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি অপূর্ব হাসান বলেন, ইতিমধ্যে মামলা নেয়া হয়েছে এবং প্রধান অভিযুক্ত আমিনুরকে আটকে সবধনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, প্রয়োজনে নির্যাতনের শিকার শিশুদের ডাক্তারি পরীক্ষাও করানো হবে।

No comments

Powered by Blogger.