সামাজিক উদ্যোগে জলবিদ্যুৎ

জলবিদ্যুেকন্দ্রে কাজে ব্যস্ত কর্মীরা ছবি: এএফপি
পাকিস্তান যখন বিদ্যুৎসংকটে নিমজ্জিত, তখন কাশ্মীরের এক প্রান্তে লোকজন নিজেরাই সংকট সমাধানের দায়িত্ব তুলে নিয়েছে। তারা ছোট পাল্লার ঘূর্ণনযন্ত্র (টারবাইন) ব্যবহার করে নদীর পানি থেকে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে। গ্রীষ্মকালে পাকিস্তানের কিছু কিছু অংশে দিনে ২২ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকার নজির রয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
সরকার বিদ্যুৎ ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নিলেও তেমন সাফল্য আসেনি। তারা মূলত মূল্যবান তেল ও সস্তা কয়লা আমদানির ওপরই গুরুত্ব দিচ্ছে। কিন্তু পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের নীলাম উপত্যকার সামাজিকভাবে শতাধিক পরিবার বিদ্যুৎ ঘাটতি পূরণে পরিবেশবান্ধব উপায় বেছে নিয়েছে। দিনে কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ পেতে তারা ছোট পাল্লার জলবিদ্যুৎ প্রকল্প শুরু করেছে। এমন একটি টারবাইনের চালক রহিমুল্লাহ বলেন, ৫০টি পরিবারের অর্থায়নে তিন লাখ রুপি দামের টারবাইনটি আনা হয়েছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ আধার কাশ্মীরের নীলাম উপত্যকার দুই লাখ বাসিন্দার অর্ধেকের বেশি মানুষ বিদ্যুতের সুবিধা থেকে বঞ্চিত। ছোট টারবাইনগুলো জেনারেটরের মাধ্যমে নীলাম নদীর পানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। জলবিদ্যুৎ বোর্ডের উপপরিচালক শফিক উসমানি বলেন, ছোট টারবাইনের সাহায্যে তিন হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যেতে পারে। সেখানকার চাহিদা মাত্র ১৫ থেকে ২০ মেগাওয়াট। স্থানীয় বাসিন্দা মুশতাক আহমদ বলেন, তিন বছর ধরে জলবিদ্যুৎ ব্যবহারের মাধ্যমে তাঁদের জীবনের অনেক পরিবর্তন এসেছে। এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.