সম্পাদক সমীপে

শহিদ নূর হোসেন চত্বর যেটি জিরো পয়েন্ট হিসেবেও পরিচিত। জিরো পয়েন্টে দেশের দূর-দূরান্তের দূরত্ব জানার জন্য খুব সুন্দরভাবে মাইলফলক প্রকাশ করা হয়েছে।
দেশের প্রতিটি জেলার দূরত্ব এখানে উল্লেখ করা আছে। মূলত দেশের মোট আয়তন কত, এর উত্তর- দক্ষিণ- পূর্ব পশ্চিম সীমানা বা চৌহদ্দি বের করতে হলে জিরো পয়েন্ট মাপ শুরু করার একটি পিলার হিসেবে গণ্য। প্রতিটি সীমান্ত চৌকিতে বাংলাদেশের সীমানা সঠিক রাখার জন্য রাজধানী ঢাকার গুলিস্তান এলাকায় রক্ষিত জিরো পয়েন্টকে অক্ষত রাখার দায়িত্ব সকলের। পূর্বে স্টেডিয়াম ও ঢাকা জিপিও, দক্ষিণে গুলিস্তান এলাকা, পশ্চিমে ওসমানী উদ্যান এবং উত্তরে বাংলাদেশ সচিবালয়। এর মধ্যখানে চৌরাস্তার ওপরে স্থাপিত বাংলাদেশ জিরো পয়েন্ট। অতি সহজে জানা যায় দেশের প্রতিটি জেলার দূরত্ব কত। সর্বত্র জানা যায় দেশের প্রতিটি জেলার দূরত্ব কত। পার্বত্য জেলা বান্দরবন, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলার দূরত্বসহ দেশের উত্তর, পশ্চিম ও পূর্ব দিকে সীমান্ত এলাকার দূরত্ব অতি সহজে জানা যায়। জিরো পয়েন্টের চার পাশের খোলা স্থানের নাম শহিদ নূর হোসেন চত্বর। স্থানটির গুরুত্ব ব্যাপক। মর্যাদা অপরিসীম, ভাবতে অবাক লাগে এক শ্রেণী নব্য রাজনীতিক খুচরা উপপাতি নেতা নিজেদের জাহির করতে পোস্টার ও বিলবোর্ড লাগিয়ে জিরোপয়েন্ট ও শহিদ নূর হোসেন চত্বরকে অপবিত্র করার চেষ্টা করছেন। নিতান্তই অজ্ঞতার কারণে। এতে জিরোপয়েন্টে লাগানো মাইলফলক ঢেকে দেয়া হচ্ছে, মুছে ফেলা হচ্ছে বিভিন্ন জেলার নাম ও জেলার দূরত্বের অক্ষর। বিন্দুমাত্র ধারণা থাকলে এমন কাজ করা সম্ভব নয় এমনিভাবে নয়াবাজার ও তাঁতীবাজার চৌরাস্তার মোড়ে একটি দর্শনীয় স্থানকে বিলবোর্ড দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। সচেতন শিক্ষিত ব্যক্তিদের ছবি শোভা পাচ্ছে মনোরম স্থানটির তিন দিকে। ছবিযুক্ত ব্যক্তিদের চেয়ে দর্শনীয় স্থানটির কদর অনেক বেশি। এসব সৌন্দর্য ধরে রাখতে ও দেখভাল করতে কোন সরকারী সংস্থা আছে কিনা তা আমার জানা নেই। ঢাকা জেলা প্রশাসক দুটি স্থানের পাশ দিয়ে যাতায়াত করেন। নিশ্চয়ই তার চোখে বিষয় দু’টি ধরা পড়বে। আশা করি তিনি ব্যবস্থা নেবেন। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন প্রশাসক অবগত হয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন এটাই প্রত্যাশা। স্থান দু’টির পাশে লিখে দিন পোস্টার ও বিলবোর্ড লাগানো যাবে না।
মোঃ মেছের আলী
শ্রীনগর ঢাকা

বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন
আধুনিক বিশ্বে জলবায়ুর পরিবর্তন এবং মানবিক বিপর্যয় একই সূত্রে গাথা অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব যে পড়েছে। সারা পৃথিবীতে, তার আঁচ আমাদের অর্থনীতিতেও পড়েছে। তাছাড়া অধিক হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধিসহ, বিভিন্নভাবে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটেছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি হচ্ছে, বিনষ্ট হচ্ছে। গাছপালা কৃষি জমিসহ বিভিন্ন অবকাঠামো ফলে পরিবেশ বিপর্যয় আরও প্রকট হচ্ছে। প্রতিনিয়ত। মানুষে মানুষে অসহযোগিতা মানবিকতা হ্রাস পাচ্ছে প্রতিনিয়ত, বাড়ছে পাশবিকতা, পাষ-তা সমাজে প্রতিহিংসা প্রতারণা বৃদ্ধি পেয়ে মানবিক বিপর্যয় ঘটছে। যা জলবায়ু পরিবর্তনের মতোই বটে। ফলে জীবন যাত্রার মান দিন দিন নিম্ন দিকে ধাবিত হচ্ছে। যার ফলে খুন, ধর্ষণ রাহাজানি, গুম, আত্মহত্যা, নির্যাতন, অপহরণ, অপমান প্রতিদিন শুধু বেড়েই চলেছে। এই অবস্থা থেকে বাঁচতে হলে পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হলে সরকারসহ আমাদের সকলের মানবিক মূল্য বোধ জাগ্রত করতে হবে। এবং সবাই গণজাগরণ সৃষ্টি করে এই অবস্থা থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করে নতুন প্রজন্ম বাঁচার সুযোগ করার জন্য সবার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাই।
রণজিত মজুমদার
চট্টগ্রাম।
আত্রাই নদী

নওগাঁর আত্রাই নদীর রয়েছে লম্বা ইতিহাস। নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত এ নদীতে এক সময় ঢেউয়ের তালে অসংখ্য পাল তোলা নৌকা চলাচল করেছে। সময়ের বিবর্তনে এখন তা শুধু ইতিহাস। এক সময়ের উত্তাল এই নদী আজ মরা খালে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে নদীতে নাব্য না থাকায় ছোট ছোট নৌকা ও চলাচল করতে পাওে না। অথচ এই নদী দিয়ে সওদাগরের নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর, পতœীতলা, ধামরহাট, মন্দাসহ অন্যান্য ব্যবসা কেন্দ্রে ছুটে চলতেন। এই নদীকে ঘিরে গড়ে উঠেছিল বহু ব্যবসা কেন্দ্র। গড়ে উঠেছিল হাট- বাজার। আত্রাই নদী ছিল পূর্ণ যৌবনা। অসংখ্য মানুষ এই নদীর ওপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করত। নদীর পানি দিয়ে দু’পাশের শত শত হেক্টর জমিতে ফসল ফলানো হতো। এর সবকিছুই এখন ইতিহাস। বিখ্যাত সেসব হাট বাজার আজ বন্ধ হয়ে গেছে। কৃষি জমিগুলোও পাচ্ছে না সেচের পানি। উত্তাল এই নদীতে কখনো খনন ও ড্রেজিং করা হয়নি। এমনকি একে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নেয়া হয়নি। কোন উদ্যোগ সরকারি সুনজরের অভাবে অনেকে এর অনেক অংশ অবৈধভাবে দখল কওে নিয়েছে। তাই এই নদী এদেশের মানচিত্র থেকে মুছে যাবার আগেই একে রক্ষার উদ্যোগ নিতে হবে। আসুন আত্রাই নদীকে বাঁচাই।
জাহেদুর রহমান ইকবাল
পুরানা পল্টন ঢাকা-১০০০

No comments

Powered by Blogger.