ছয় বিভাগীয় শহরে ওএমএস চালু হচ্ছে রবিবার- চালের দাম কমেনি, রসুন আদা হলুদ বেড়েই চলেছে by মিজান চৌধুরী

বিশ্ববাজারে চালের মূল্য কমছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বি গ্রেডের চালের মূল্য হ্রাস পায় ২.৬ শতাংশ। আনত্মর্জাতিক চাল গবেষণা সংস্থা সপ্তাহের শেষ দিনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
ওই রিপোর্টে বলা হয় এশিয়ায় সরবরাহ পরিস্থিতি ভাল থাকায় চালের মূল্য কমেছে। এদিকে অভ্যনত্মরীণ বাজারে গত এক সপ্তাহে চালের তেজীভাব কমেনি। অস্বাভাবিক মূল্য বেড়ে বাজার থমকে আছে। তবে ব্যবসায়ীরা নতুন করে চালের মূল্য বৃদ্ধি না পাওয়ার আভাস দিয়েছেন।
এদিকে চালের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব থেকে স্বসত্মি দিতে আগামীকাল রবিবার থেকে ছয়টি বিভাগীয় শহরে শুরম্ন হচ্ছে ওএমএস কর্মসূচী। প্রতিটি বিভাগীয় শহরে ২৫ ডিলারের মাধ্যমে সরকার কম দামে চাল বিক্রি করবে। প্রতি ডিলারকে দেয়া হবে এক মেট্রিক টন চাল। কেজি পড়বে ২২ টাকা।
আনত্মর্জাতিক বাজারে মূল্য কমলেও অভ্যনত্মরীণ বাজারে চালের দাম কমছে না। শুক্রবার খুচরা বাজারে নাজিরশাইল চাল সবের্াচ্চ ৪৫ টাকা, পাইজাম ৩৩ থেকে ৩৫ টাকা ও মোটা চাল বিক্রি করছে ২৬ থেকে ২৮ টাকা। গত এক মাসে চালের মূল্য কমার কোন সংবাদ পাওয়া যায়নি। এদিকে আনত্মর্জাতিক চাল গবেষণা সংস্থা তাদের প্রকাশিত রিপোর্টে বলেছে, থাইল্যান্ডে এক সপ্তাহ আগে প্রতিমেট্রিক টন চাল বিক্রি হয় ৫৭৫ মার্কিন ডলার। এ সপ্তাহে মূল্য কমে ৫৬০ ডলারে নেমে আসে। প্রতিমেট্রিক টনে হ্রাস পায় ১৫ ডলার।
এদিকে আগামীকাল রবিবার থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, যশোর ও রংপুর বিভাগীয় শহরে সরকারের ওএমএস কর্মসূচী চালু হচ্ছে। প্রতিটি জেলায় ২৫ ডিলারের মাধ্যমে এই চাল বিক্রির কর্মসূচী চলবে। ভোক্তারা ২২ টাকা মূল্যে ওই চাল কিনতে পারবে। খাদ্য বিভাগের সচিব বিডি মিত্র জনকণ্ঠকে জানান, রবিবার থেকে এই কর্মসূচী চালু করতে কোন সমস্যা হবে না। সরকারের সকল প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে ঢাকায় প্রতিদিন ৪ মেট্রিক টন চাল ওএমএসের মাধ্যমে বিক্রি করা হচ্ছে।
এদিকে খুচরা বাজারে চালের সঙ্গে অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম বেড়ে আছে। এক কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকা দরে। চিনির মিল মালিকরা কারসাজির মাধ্যমে চিনির দাম বৃদ্ধি করে। মূল্য বাড়ানোর েেত্র আনত্মর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে চিনির মূল্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, মিল মালিকরা ডিও বিক্রি নিয়ে আগের মতো জটিলতা সৃষ্টি করছে। তবে মসুর ডাল ও পিঁয়াজের মূল্য কমেছে। এক কেজি মসুর ডাল ৭৬ টাকা থেকে ১১৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মসুর ডালের মূল্য ১৩৫ টাকা পর্যনত্ম ওঠে। পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৪ থেকে ৩২ টাকা দরে।
রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রসুন, আদা ও হলুদের দাম বেড়েই চলছে। ২০ টাকা কেজির রসুন এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়, আদা বিক্রি হচ্ছে সবের্াচ্চ ১১০ টাকায় ও হলুদের কেজি ২ শ'তে উঠেছে। কাওরান বাজারে আসা ক্রেতা তৈয়ব আলী জানান, চালের দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে অনেক দুর্ভোগ বেড়ে যাচ্ছে। বাজেটের বাইরে চলে যাচ্ছে চাল। তবে সবজির দাম কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে তিনি মনত্মব্য করেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক উর্ধতন কর্মকর্তা জানান, বাজার মনিটরিং করতে পারলে এর সুফল পাওয়া যাবে। বাজারমূল্য মনিটরিং টিমের সঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালত পাওয়া যায় তাহলে আরও বেশি কার্যকর হবে। এ েেত্র বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত নামানোর ব্যাপারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চিনত্মাভাবনা করছে। দ্রব্যমূল্য সংক্রানত্ম আনত্মঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ব্যাপারে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জেলা প্রশাসককে প্রয়োজনীয়সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়ার জন্য সুপারিশের সিদ্ধানত্ম হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.