শিশু চলচ্চিত্র উসবে কর্মশালা

কেউ আসছে মা-বাবার হাত ধরে; কেউবা আসছে বন্ধুর সঙ্গে, দলে দলে। ছোট শিশুরা বড় পর্দায় চলচ্চিত্র দেখছে। রুপালি পর্দায় তারা উপভোগ করেছে দেশ-বিদেশের চলচ্চিত্র।
অনেকেরই বড় পর্দায় চলচ্চিত্র দেখার অভিজ্ঞতা ছিল প্রথম। খোশগল্পে মেতে উঠেছে বড়দের সঙ্গে। অংশ নিয়েছে কর্মশালায়। চলচ্চিত্র দেখা, কথা বলা—সবকিছুতেই ছিল উচ্ছ্বাস। চিলড্রেন’স ফিল্ম সোসাইটির আয়োজনে শিশু চলচ্চিত্র উৎসবের গতকাল সোমবার ছিল তৃতীয় দিন। গত শনিবার শুরু হয় এই উৎসব। সোমবার উৎসবের মূল কেন্দ্র কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের পাশাপাশি সব কটি মিলনায়তনে শিশু-কিশোরদের ভিড় ছিল লক্ষণীয়। গতকাল সারা দিন পাঁচটি উৎসবকেন্দ্রে প্রায় ৩০টি চলচ্চিত্র দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে প্রতিযোগিতা বিভাগের চলচ্চিত্রও ছিল।
ছবি দেখার পাশাপাশি গতকাল কর্মশালায় অংশ নিয়েছে শিশুরা। সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে শিশু প্রতিনিধিদের জন্য শুরু হয় ‘চলচ্চিত্রে গল্প বলা’ শীর্ষক কর্মশালা। উৎসবের ষষ্ঠ বছরে প্রথমবারের মতো আলোচক হিসেবে ছিলেন বিদেশি প্রতিনিধি কানাডার প্রখ্যাত চলচ্চিত্রনির্মাতা ন্যান্সি ট্রিটস বটকিন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মার্ক শেকটার। সারা দিন এই কর্মশালায় কীভাবে ছবির গল্প বলতে হয়, এ বিষয়ে শিশুদের ধারণা দেন তাঁরা।
কর্মশালার শুরুতেই শিশুদের দেখানো হয় বাংলাদেশের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র পরিত্রাণ। পরে এই চলচ্চিত্র থেকেই শিশুদের ছবিতে গল্প বলার পদ্ধতি ব্যাখ্যা করা হয়। আলোচকেরা শিশুদের ছবির গল্প নিয়ে চিন্তা করার আটটি ধাপ সম্পর্কে বলেন। এই ধাপগুলো দিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ চলচ্চিত্র তৈরিই শুধু নয়, চলচ্চিত্র নির্মাণ-পরবর্তী সমস্যার সমাধান করাও সম্ভব। কর্মশালার শুরুর আগে শিশুদের ২০টি দলে ভাগ করা হয়। শিশু প্রতিনিধিদের বিভিন্ন প্রশ্ন করে ও তাদের উত্তরের মাধ্যমে এই ধাপগুলো বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করেন তাঁরা। শিশুরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই প্রশ্নোত্তর পর্ব ও দলীয় কাজে অংশ নেয়।

No comments

Powered by Blogger.