সুবিধাবঞ্চিতদের আশার আলো ছায়াবৃত্ত স্কুল

শিশুমনে আলো জ্বেলে দেয়া গেলেই সম্ভব জাতীয় মুক্তি। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের বসত্মিগুলোর সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য এক ঝাঁক উদ্যমী শিার্থী পরিচালনা করছে ব্যতিক্রমধর্মী শিৰা প্রতিষ্ঠান 'ছায়াবৃত্ত স্কুল।
' বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সাংস্কৃতিক সংগঠন 'ছায়াবৃত্ত পাঠক ফোরাম' এ স্কুলের কর্ণধার। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিৰাথর্ীদের সৃজনশীল কাজের ক্ষুদ্র প্রয়াস ছায়াবৃত্ত স্কুল_ বললেন এই স্কুলের প্রধান শিক ও নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা বিভাগের সুব্রত সাহা।
স্কুল প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের দরিদ্র শিশু-কিশোররা পরিবারের অভাবের তাড়নায় বেছে নিয়েছে ভ্যান-রিকশা চালানো, ডাইনিং-ক্যান্টিনে বয়-এর কাজ, ক্যাম্পাসে বাদাম বিক্রি আবার কখনও বা বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহের মতো পেশা। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বসত্মিবাসীর ছেলেমেয়েরা লেখাপড়ার সুযোগ পায় না। লেখাপড়া শেখার অদম্য আগ্রহ থাকলেও দারিদ্রতার জন্য শিার সুযোগ থেকে বঞ্চিত তারা । ব্যতিক্রমধমর্ী এ স্কুল দরিদ্র পিতামাতার অবহেলিত শিশুদের কাছে জ্ঞানের আলো পৌঁছে দেয়ার ল্যে ২০০৯ সালের মে মাস থেকে যাত্রা শুরম্ন করে। বর্তমানে এ স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী প্রায় দুই শতাধিক। এ বিদ্যালয়ে শিকতা করছেন ছায়াবৃত্ত পাঠক ফোরামের ৩৩ জন সদস্য।
এ স্কুলে শিার্থীদের পড়ালেখার পাশাপাশি নিয়মিত নাচ-গান ও আবৃত্তি শেখানো হয়। এছাড়াও প্রায় সময় শিশু বিষয়ক চলচ্চিত্র দেখানো হয়। লেখাপড়ার মাঝে আনন্দ খুঁজে পাওয়ায় স্কুলে শিশু-কিশোরদের সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। অভিভাবকরাও তাদের ছেলেমেয়েদের এ স্কুলে পড়তে নিয়মিত উৎসাহ দিচ্ছেন। এ স্কুলে নার্সারি থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যনত্ম পড়ানো হয় ।
আমরা স্বপ্ন দেখি বাংলা ভূমিতে কোন শিশুই সুবিধাবঞ্চিত থাকবে না। একদিন এই শিশুরাই এনে দেবে আমাদের কাঙ্ৰিত সেই ভোর_ বাংলাদেশের প্রতিটি সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে নিয়ে ঠিক এ রকই প্রত্যাশা করেন ছায়াবৃত্ত পাঠক ফোরামের উপদেষ্টা মিঠুন কুমার সমাদ্দার।
সোহেল রানা বীর

পিঠা উৎসব
গ্রামবাংলার ও বাঙালী সমাজের ঐতিহ্য পিঠা। শীতকাল এলেই পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে যায় পরিবারে। কি ধনী কি গরিব সবার মাঝে একই ধুম। গ্রামবাংলার এ ঐতিহ্য আজ বিলীন হওয়ার পথে। বিলুপ্তপ্রায় এ ঐতিহ্যকে ধরে রাখার উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম খালেদা জিয়া হল চত্বরে আয়োজন করা হয় শীতকালীন পিঠা উৎসব-২০১০। হল প্রভোস্ট এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের সভাপতি ড. মোঃ মামুনুর রহমানের আহবানে এবং উক্ত হলের ছাত্রীদের উদ্যোগে এ উৎসবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। পিঠা উৎসব উপল েহল চত্বরে বসানো হয় ৫টি স্টল। স্টলগুলোর পাশে রয়েছে রংবেরঙের ব্যানার এবং ফেস্টুন যাতে লেখা ছিল "বছর জুড়ে বারো মাসে পাকানো পিঠা সবার পাশে" "পিঠে এক পাটিসাপটা জুড়ে আছে মনের সবটা" " শীতের পিঠা বড়ই মিঠা আসুন সবাই পিঠা খেতে পিঠা উৎসবে যাই। শতাধিক আইটেমের পিঠার ভিতরে উলেস্নখযোগ্য ছিল পাটিসাপটা, ভাপা কুলি (ঝাল ) , ভাপা পিঠা, জিলাপি , নকশি পিঠা, বিস্কিট পিঠা, ফুল পিঠা, বকুল পিঠা প্রভৃতি। এ ছাড়া ছাঁচ, নকশি, তেল, আখিয়া তারা, শামুক, দুধ খই, নারিকেল বরফি, বাদাম হালুয়া, ডিম কুশলি, গোল পোয়া, রম্নটি পিঠা, মুখ পাকন, লক্ষ্মী ীর, সবজি পিঠাসহ শতাধিক আইটেমের বিভিন্ন রঙের রকমারি পিঠা স্থান পায়।
_ক্যাম্পাস প্রতিবেদক

No comments

Powered by Blogger.