দারিদ্র্য বিমোচনে সাফল্য ॥ জাতিসংঘ পুরস্কার পেল বাংলাদেশ

দারিদ্র বিমোচনের গল্পে এবার জাতিসংঘ পুরস্কার পেল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সফলতার কাহিনী এতে দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছে। প্রথম হয়েছে ব্রাজিল এবং তৃতীয় হয়েছে চীন।
বুধবার ঢাকায় জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচী (ইউএনডিপি) কার্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার ভোরে জাতিসংঘ সদর দফতরে অনাড়ম্বর এক অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে এ মোমেন। দারিদ্র্য বিমোচনে এক বস্তিবাসী নারীর ঘুরে দাঁড়ানোর এই কাহিনীটি লিখেছেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহতাব হায়দার ও নাদের রহমান। তাদের পক্ষে এ কে মোমেন ইউএনডিপি প্রশাসক হেলেন ক্লার্কের কাছ থেকে পুরস্কারটি নেন। তার সঙ্গে ছিলেন ইউএনডিপির প্রেসিডেন্ট রোবেল ওলহাইয়ে।
হেলেন ক্লার্ক বলেন, এসব গল্পের মধ্য দিয়ে যে বিষয়টি উঠে এসেছে তা হলো, দরিদ্রদের কল্যাণেই ইউএনডিপির সব কর্মকাা- পরিচালিত হচ্ছে। বস্তিবাসী নারী শ্যামলা বেগমের ভাগ্যের পরিবর্তনের গল্পের মাধ্যমে প্রকৃত অর্থে বাংলাদেশের হতদরিদ্রদের স্বাবলম্বী হবার পথে জাতিসংঘ সংস্থাগুলোর নিরলস প্রয়াসের চিত্র পরিস্ফুট হয়েছে। তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচী সফল হয়েছে। মানবিক উন্নতি ঘটেছে বিভিন্ন স্তরে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এখন বাংলাদেশকে বিভিন্নভাবে মডেল হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিশ্বে দারিদ্র্য বিমোচন ও সুশাসনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইউএনডিপির কার্যক্রম অগ্রগতির যে স্বাক্ষর রাখছে তার ওপর লেখা গল্প নিয়ে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আন্তর্জাতিক এই সংস্থা। ইউএনডিপি দ্বিতীয় বছরের মত এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এতে বিশ্বের ৬৬টি দেশ থেকে ১২০টি গল্প চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার জন্য বাছাই করা হয়। সেগুলোর মধ্য থেকে ১২টি গল্পকে পুরস্কার দেয়ার জন্য বেছে নেন ১২ সদস্যের বিচারকম-লী। শ্যামলা বেগমের স্বাবলম্বী হওয়ার গল্পটি সেখানে দ্বিতীয় স্থান লাভ করে।
যুক্তরাজ্য ও ইউএনডিপির যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত আরবান পার্টনারশিপ ফর পোভার্টি রিডাকশনের (ইউপিপিআর) সহায়তায় স্বামী পরিত্যক্ত দুই সন্তানের মা শ্যামলার নিজের পায়ে দাঁড়ানোর কথা বলা হয়েছে ওই গল্পে। আরবান পার্টনারশিপ ফর পোভার্টি রিডাকশনের দেয়া সহায়তার আড়াই হাজার টাকায় বস্তিতেই চায়ের দোকান দেন তিনি। দুই মাসের মাথায় লাভের মুখ দেখেন। এখন বেশ স্বচ্ছলতার সঙ্গেই চলছে তার সংসার। এনজিওর সহায়তায় তার মেয়েরাও যাচ্ছে স্কুলে।

No comments

Powered by Blogger.