তীব্র শীতে ইউরোপে ২৫৫ জনের মৃত্যু, ভারতে ২৫

তীব্র শীতে ইউরোপের পশ্চিমাঞ্চলে চলতি মাসে কমপক্ষে ২৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে রাশিয়ায় ১২৩ জন, ইউক্রেনে ৮৩ জন এবং পোল্যান্ডে ৪৯ জন মারা গেছে। নিহতদের বেশির ভাগই গৃহহীন ও বয়স্ক মানুষ। গত মঙ্গলবার কর্মকর্তারা এ কথা জানান।
ভারতের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত অল ইন্ডিয়া রেডিও গতকাল বুধবার জানিয়েছে, উত্তরাঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহে দেশটিতে কমপক্ষে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ৩০ ডিগ্রি এবং পূর্ব সার্বিয়ায় হিমাঙ্কের ৬০ ডিগ্রি নিচে নেমে গেছে। ভারি তুষারপাতের কারণে বলকান এলাকায় যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। আবহাওয়াবিদরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, শৈত্যপ্রবাহ ও তুষারপাত অব্যাহত থাকলে তা যোগাযোগব্যবস্থার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। রাশিয়ায় শীতকালের স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে এ বছর ১২ ডিগ্রি কমে গেছে। সাধারণত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে দেশটিতে শীতের তীব্রতা বেশি থাকে। কিন্তু এবার আগেভাগেই শীত চলে এসেছে সেখানে।
হাসপাতাল সূত্রের বরাত দিয়ে রাশিয়ার বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স বলেছে, ঠাণ্ডায় এ পর্যন্ত ১২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রা থাকায় অনেকেই নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। অতিরিক্ত শীতে শরীরের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় এবং ঠাণ্ডাজনিত রোগের সংক্রমণের কারণে ৮৩৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত টেলিভিশন মঙ্গলবার সার্বিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় তাইভা এলাকার খভু আকসি গ্রামের চিত্র তুলে ধরে। তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ৪০ ডিগ্রি নিচে নেমে যাওয়ায় ওই গ্রামের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ হওয়ায় সেখানে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। দুর্গত কিছু মানুষকে হেলিকপ্টারে করে স্থানীয় স্কুলে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা ভেস্তি-২৪ চ্যানেলকে বলেন, 'গ্রামে কিছুই নেই, এমনকি পানিও না। আর ঘরের মধ্যে তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রির নিচে।'
এদিকে ভারতে গতকাল পর্যন্ত ২৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
সবচেয়ে বেশি মারা গেছে উত্তর প্রদেশে। এ ছাড়া রাজস্থান, পাঞ্জাব ও হয়িয়ানায়ও তীব্র শীত পড়ছে। ঘন কুয়াশার কারণে রাজধানী নয়াদিলি্ল ও আশপাশের রাজ্যগুলোর বিমান ও রেল চলাচল বিঘি্নত হচ্ছে। তীব্র শৈত্যপ্রবাহের কারণে নয়াদিলি্লতে তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রিতে নেমেছে। রাজস্থানের তাপমাত্রা নেমেছে ৩ দশমিক ৮ ডিগ্রিতে। আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতি আরো কয়েকদিন থাকবে বলে ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.