দুর্নীতির ধারণা সূচক-ডেনমার্ক ফিনল্যান্ড নিউজিল্যান্ড সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত

বার্লিনভিত্তিক দুর্নীতি নজরদারিমূলক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) এ বছরের দুর্নীতির ধারণা সূচক প্রকাশ করেছে। গতকাল বুধবার প্রকাশিত এ সূচকে সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় যৌথভাবে ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড সবার ওপরে আছে।
সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে চিহ্ণিত করা হয়েছে সোমালিয়া, উত্তর কোরিয়া ও আফগানিস্তানকে। আরব বসন্তের পরও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে দুর্নীতির হার বেড়েছে বলে জানিয়েছে টিআই।
সূচকে ১৭৬টি দেশকে অন্তর্ভুর্ক্ত করা হয়েছে। সরকারি খাতের দুর্নীতি বিবেচনা করে এ সূচক তৈরি করা হয়েছে। দুর্নীতি বিবেচনায় দেশগুলোকে শূন্য থেকে ১০০ পর্যন্ত পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে কম পয়েন্ট পাওয়া দেশগুলোকে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং সবচেয়ে বেশে পয়েন্ট পাওয়া দেশগুলোকে কম দুর্নীতিগ্রস্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সূচকে ঠাঁই পাওয়া দুই-তৃতীয়াংশ দেশই ৫০-এর চেয়ে কম পয়েন্ট পেয়েছে।
৯০ পয়েন্ট পেয়ে ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড কম দুর্নীতিগ্রস্ত হিসেবে যৌথভাবে তালিকার শীর্ষে আছে। ১০০-এর মধ্যে মাত্র আট পয়েন্ট পেয়ে যৌথভাবে বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে সোমালিয়া, উত্তর কোরিয়া ও আফগানিস্তান। সূচকে ১৭৪ নম্বর অবস্থানে আছে তারা। দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে তাদের পরেই আছে সুদান ও মিয়ানমার। যথাক্রমে ১৩ ও ১৫ পয়েন্ট পেয়ে ১৭৩ ও ১৭২তম অবস্থানে আছে তারা। বাংলাদেশে ২৪ পয়েন্ট পেয়ে ১৪৪তম অবস্থানে আছে। দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩তম। ভারত ৩৬ পয়েন্ট পেয়ে ৯৪তম অবস্থানে এবং পাকিস্তান ২৭ পয়েন্ট নিয়ে সূচকের ১৩৯তম অবস্থানে রয়েছে।
ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে জার্মানি সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ৭৯ পয়েন্ট নিয়ে সূচকে ১৩তম অবস্থানে আছে দেশটি। ইউরোজোনভুক্ত অন্য দেশগুলোর মধ্যে গ্রিস ৯৪ ও ইতালি ৭২তম অবস্থানে। আগের বছরের তুলনায় এ দুই দেশে দুর্নীতির মাত্রা বেড়েছে।
টিআই ইউরোপীয় নীতিনির্ধারকদের দুর্নীতি দমনকে প্রাধান্য দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
ব্রিটেন ও জাপান ৭৪ পয়েন্ট পেয়ে যৌথভাবে সূচকে ১৭তম অবস্থানে রয়েছে। ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে ১৯তম অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্র। ৩৯ পয়েন্ট পেয়ে চীন সূচকের ৮০তম এবং ২৮ পয়েন্ট নিয়ে রাশিয়া ১৩৩তম অবস্থানে আছে। সূত্র : এএফপি, রয়টার্স।

No comments

Powered by Blogger.