খুলনা অভিমুখে রোডমার্চে খালেদা জিয়া-সরকার বিদায় না হলে দেশ ফোকলা হয়ে যাবে by লোটন একরাম ও সাজ্জাদ রানা,

বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, বর্তমান সরকার বিদায় না হলে দেশ 'ফোকলা' করে দিয়ে তারা বিদেশে চলে যাবে। একই সঙ্গে বর্তমান সরকারকে সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থ অভিহিত করে এর বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকার হটাও আন্দোলনে সবাইকে শরিক হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি চেয়ারপারসন। তিনি বলেন, এ সরকারকে হটিয়ে দেশ ও মানুষকে বাঁচাতে হবে। দেশকে সমৃদ্ধিশালী করতে হবে।


বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, বিজয় দিবসের পর সরকার হটাও কর্মসূচি দেওয়া হবে। খালেদা জিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ১২টা বাজিয়েছেন। তিনি কোনো কাজ করতে পারেন না। ক্ষমতায় গেলে দ্রব্যমূল্য কমানো হবে বলে 'কথা' দেন খালেদা জিয়া। সরকারের ব্যর্থতার চিত্র তুলে ধরে
তিনি বলেন, এ দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে পারে বিএনপি। আওয়ামী লীগ দেশকে কিছু দিতে পারবে না। তিনি আওয়ামী লীগের যারা দেশপ্রেমিক আছেন তাদের বিএনপিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। খালেদা জিয়া বলেন, দল ছেড়ে চলে আসুন। সম্মানজনক পদ দেওয়া হবে। এদিকে টিপাইমুখ নিয়ে তেমন জোরালো বক্তব্য দেননি সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, যৌথ জরিপে যদি প্রকল্পটি ক্ষতিকর না হয় তাহলে দু'দেশের মধ্যে আলোচনা হবে। বাঁধ ক্ষতিকর হলে অবশ্যই তা নির্মাণ বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় দেশের জনগণ আন্দোলন করবে। টিপাইমুখ ইস্যুতে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে তিন দফা চিঠি দিয়েছেন জানিয়ে বলেন, শনিবার সর্বশেষ চিঠির উত্তর দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।
গতকাল শনিবার খুলনা অভিমুখে বিএনপির রোডমার্চে পাবনার পথসভা এবং কুষ্টিয়ার জনসভায় খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন। সরকারবিরোধী আন্দোলনে জনগণকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত তৃতীয় রোডমার্চে ৩০০ কিলোমিটার পথ নেতৃত্ব দেন বিএনপি চেয়ারপারসন। আজ রোববার বিকেলে খুলনায় জনসভার মধ্য দিয়ে শেষ হবে তৃতীয় এ রোডমার্চ। রোডমার্চে চারদলীয় জোট, সমমনা ও পেশীজীবী নেতৃবৃন্দ অংশ নিয়েছেন।
পাবনার দাশুরিয়ায় বিকেলে প্রথম পথসভা শেষে সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠ জনসভায় বক্তব্য দেন বিরোধীদলীয় নেতা। সেখান থেকে যশোর যাওয়ার পথে রাতে ঝিনাইদহে আরেকটি পথসভায় বক্তব্য দেন। গভীর রাতে যশোর পেঁৗছে রোডমার্চ। যশোরে রাত কাটিয়ে আজ সকালে সেখানে একটি পথসভা করবেন তিনি। এরপর রোডমার্চ খুলনা অভিমুখে রওনা হবে। আজ রোববার বিকেলে খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে চার দলের জনসভায় বক্তব্য রাখবেন তিনি। রোডমার্চে তিন সহস্রাধিক গাড়ির বহর রয়েছে।
আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দুটি পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, একটি হবে মাওয়া পয়েন্টে। অন্যটি দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া পয়েন্টে। সরকারের শীর্ষ মহলের দিকে ইঙ্গিত করে খালেদা জিয়া বলেন, রোডমার্চে ব্যাপক লোকসমাগম দেখে সরকার দিশাহারা এবং তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এখন তারা আবোল-তাবোল বলছেন। এ পরিস্থিতিতে পাবনার পাশে হেমায়েতপুর স্থানটি ঠিক করে রাখা প্রয়োজন।
সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকার উত্তরা থেকে খুলনা অভিমুখে রোডমার্চ শুরু করেন খালেদা জিয়া। গাজীপুর, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু মোড়, তাড়াশ, নাটোরের বনপাড়া, ঈশ্বরদীর মুলাটুলি বাজার প্রভৃতি স্থানে হাজার হাজার নেতাকর্মী-সমর্থক রাস্তার দু'পাশে দাঁড়িয়ে খালেদা জিয়ার রোডমার্চের গাড়িবহরকে অভিনন্দন জানান। দলীয় নেতাকর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে মিছিল করে সমাবেশে যোগ দেন।
ঢাকা থেকে বের হওয়ার প্রতিটি রাস্তায় অসংখ্য মানুষের ভিড় দেখা গেছে। ঢাকা-যশোর-খুলনা মহাসড়কে ছিল অগণিত সাজানো তোরণ। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। রোডমার্চ নির্বিঘ্ন করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহযোগিতা করে। কর্মসূচিতে ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) একটি টিম তাৎক্ষণিক চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত আছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবিতে ২৭ সেপ্টেম্বর নয়াপল্টনে চার দলের সমাবেশ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন খালেদা জিয়া। বরিশাল ও রংপুর বিভাগে রোডমার্চের পরিবর্তে জনসভা করা হবে। সরকারবিরোধী আন্দোলনে সর্বস্তরের জনগণকে সম্পৃক্ত করতে রোডমার্চ শুরু করে বিএনপি।
কুষ্টিয়ায় বিকেল ৪টায় জনসভা শুরু হলেও খালেদা জিয়া পেঁৗছেন সন্ধ্যা ৬টায়। অবশ্য সকাল ১১টা থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠের জনসভায় আসতে থাকেন। জনসভাকে কেন্দ্র করে পুরো কুষ্টিয়া উৎসবের শহরে পরিণত হয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর কুষ্টিয়ায় খালেদা জিয়ার এটিই প্রথম জনসভা।
টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ হলে সিলেট অঞ্চলের ক্ষতিকর প্রভাবের কথা তুলে ধরে খালেদা জিয়া জনসভায় বলেন, এ বাঁধ হলে মেঘনা-কুশিয়ারা নদী শুকিয়ে যাবে। এ অঞ্চলের হাওর-বাঁওড় ও জীববৈচিত্র্য শেষ হয়ে যাবে। ভূমিকম্প হলে এ অঞ্চলটি ধুয়ে-মুছে যাবে। আমরা বিশেষজ্ঞ নই। সে জন্য দু'দেশের যৌথ জরিপ করার কথা ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি।
খালেদা জিয়া কৃষকদের ধান-চালের মূল্য পুনঃনির্ধারণ না করলে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন ও অবরোধের হুমকিও দেন। তিনি বলেন, এ সরকার বিদায় না হলে লুটপাট করে দেশকে ফোকলা করে বিদেশে চলে যাবে। তাদের বাড়িঘর, সম্পদ সবকিছুই বিদেশে। বিজয় দিবস ও রোডমার্চ কর্মসূচি শেষ হলে সরকার পতন আন্দোলনে সবাইকে শরিক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। পাশাপাশি মন্ত্রিসভায় ধান-চাল ক্রয়মূল্য পুনঃনির্ধারণের দাবি করে খালেদা জিয়া বলেন, ক্ষেত থেকে ধান কৃষকরা বাড়িতে তুলেছেন। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ধান-চালের দাম পাচ্ছেন না। সরকার এখনও ধান-চাল সংগ্রহের মূল্য নির্ধারণ করেনি। মন্ত্রিসভায় ধান-চালের ক্রয়মূল্য পুনঃনির্ধারণ না হলে কৃষকদের নিয়ে রাস্তায় নামব। আপনাদের অবরোধ করব।
কুষ্টিয়ায় পৌনে এক ঘণ্টার বক্তব্যে খালেদা জিয়া টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ, সরকারের ব্যর্থতা, অপশাসন, পঞ্চদশ সংশোধনী, বিদ্যুৎ খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন।
ক্ষমতাসীনদের আট হাজার মামলা প্রত্যাহার করার কথা উল্লেখ করেন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, বিরোধী দলের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের বরাত দিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, আদালতে রাজনৈতিক ব্যক্তিকে বিচারক নিয়োগ দেওয়ার ফলে বিচারপ্রার্থীরা সুবিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপিই মুক্তিযুদ্ধের দল। কারণ একাত্তরের যুদ্ধের সময় আওয়ামী লীগের নেতারা সীমান্তের ওপারে হোটেলে ছিলেন। রণাঙ্গনে ছিলেন জিয়াউর রহমান। আমাদের দল বিএনপিতে মুক্তিযোদ্ধারা আছেন। দেশরক্ষার দায়িত্ব বিএনপিরই রয়েছে।
সড়ক-মহাসড়কের বেহাল অবস্থা তুলে ধরে খালেদা জিয়া বলেন, পাবনার দাশুরিয়া থেকে কুষ্টিয়া ২০ কিলোমিটার পথ আসতে অনেক সময় লেগেছে। এরপরও বহাল তবিয়তে আছেন যোগাযোগমন্ত্রী।
ট্রানজিট দেওয়ার ফলে ভারতীয় ভারী যানবাহনে দেশের দুটি সেতু ও মহাসড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'চড়া সুদে ভারত থেকে সরকার ঋণ নিয়েছে। দেশের মানুষকে এ ঋণের বোঝা বহন করতে হবে বহুদিন। অথচ সরকার দেশের মানুষের জন্য সড়ক নির্মাণ করছে না। তাহলে আপনারাই বলুন এ সরকার কি দেশপ্রেমিক সরকার, না ভারতীয় তাঁবেদার সরকার।'
ঈশ্বরদীর পথসভায় তিস্তার পানি বণ্টন সমস্যা সমাধান না হওয়ার জন্য সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতিকে দায়ী করেন খালেদা। তিনি বলেন, সরকার বলেছিল তিস্তার পানি নিয়ে আসবে। তারা পানি আনতে পারেনি। সরকার ভারতের স্বার্থ রক্ষা করেছে। ট্রানজিট-করিডোর, মংলা বন্দর দিয়ে দিয়েছে। গোপন চুক্তির মাধ্যমে ভারতের করদ রাজ্যে পরিণত করার সব ব্যবস্থা তারা করেছে।
কর্নেল অলি আহমদের ওপর হামলার প্রসঙ্গ টেনে খালেদা জিয়া বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে তারা মুক্তিযোদ্ধা বলতে চায় না। কর্নেল অলি একজন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। তার ওপর হামলা করা হয়েছে। কাদের সিদ্দিকীকে ইদানীং রাজাকার বলা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ এখন মুক্তিযোদ্ধাদের রাজাকার বানাচ্ছে। তাদের দলের রাজাকারদের মুক্তিযোদ্ধা বানানো হচ্ছে।
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, এভাবে বিদ্যুতের দাম বাড়লে দেশের শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প দলীয় লোকজনকে দেওয়ার কারণে ১২ হাজার কোটি টাকার ভর্তুকির দায় জনগণের ওপর চাপানো হয়েছে।
পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের অর্থ লুণ্ঠনের জন্য ক্ষমতাসীন দলকে দায়ী করে খালেদা বলেন, গরিবের টাকা লুট করে তারা বিদেশে পাচার করেছে। তদন্তে নিজেদের দলের বড় বড় লোকজন জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় অর্থমন্ত্রী সে তালিকা প্রকাশ করতে সাহস পাচ্ছেন না। এখন সেই বড় বড় লোককেই পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শুঁটকির বাজারে বিড়াল পাহারাদারের মতো অবস্থা হয়েছে।
কুষ্টিয়ার জনসভায় জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি ও পাবনার পথসভায় জেলা বিএনপির সভাপতি মেজর (অব.) কেএস মাহমুদ সভাপতিত্ব করেন। জনসভা ও পথসভা দুটিতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত নায়েবে আমির মাওলানা আবদুস সোবহান, খেলাফত মজলিসের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইসহাক, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, তরিকুল ইসলাম, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, সহসভাপতি আবদুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান পটল, শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান মিনু, ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলী, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, জামায়াত মহানগর সম্পাদক হামিদুর রহমান আযাদ, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সাবেক এমপি মশিউর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাবেক এমপি আবদুল ওয়াহিদ, সাবেক এমপি নির্বাহী কমিটির সদস্য শহীদুল ইসলাম, রেজা আহমেদ বাচ্চুসহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা।
দল, জোট ও সমমনা নেতাদের বক্তব্য : কুষ্টিয়ার জনসভায় এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম বলেন, জুলুমবাজ এ সরকার আমার ওপর হামলা চালিয়ে উল্টো মামলা দিয়ে হয়রানির চেষ্টা করছে। সারাদেশ থেকে সরকার পতনের আওয়াজ উঠেছে। এ সরকারকে হটিয়ে জনগণের সরকার গঠন করা হবে।
জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আবদুস সোবহান সরকারের প্রতি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, জুলুমবাজ হাসিনা সরকার জামায়াতের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে আটক রেখেছে।
এদিকে খালেদা জিয়া রাতে ঝিনাইদহের পথসভায় আওয়ামী লীগকে প্রতারক, মিথ্যাবাদী ও ভারতের তাঁবেদার সরকার আখ্যা দিয়ে বলেন, তাদের দিয়ে একটি স্বাধীন দেশ চলতে পারে না।
খালেদা জিয়া রাত ৮টা ৫৫ মিনিটে ঝিনাইদহে এসে পেঁৗছলে হাজার হাজার নেতাকর্মী করতালি দিয়ে তাকে অভিনন্দন জানান।
পথসভায় ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক, জামায়াতের জেলা আমির ড. মোজাম্মেল হক, সাবেক এমপি শহিদুজ্জামান বেল্টু, শহিদুল ইসলাম মাস্টার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রিজভীর সংবাদ সম্মেলন : বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ অভিযোগ করেছেন, রোডমার্চে যোগদানের উদ্দেশে যাওয়ার পথে নেতাকর্মীদের পথে পথে বাধা দেওয়া হয়েছে। এতে কয়েকজন আহত হন বলে দাবি করেন তিনি। শনিবার বিকেলে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, মেহেরপুর জেলার গাংনী, বাগেরহাটের চিতলমারীসহ কয়েকটি স্থানে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বিএনপি কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে আবারও আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।

No comments

Powered by Blogger.