মেন'জ স্টাইল by শিপন

এ যুগে সবাই ব্যস্ত। তবে ব্যস্ততার পাশাপাশি নিজের স্টাইল, ব্যক্তিত্ব, ফ্যাশনের দিকেও মনোযোগ দেয়া চাই। এর পেছনে খুব বেশি সময় দেয়ার প্রয়োজন নেই। একটুখানি সজাগ হলেই নিজের স্টাইল ঠিক রাখা যায়।
কর্মব্যস্ত পুরুষদের জন্য কিছু টিপস_ পোশাক নির্বাচন : কোথায় কাজ করছেন, সেখানকার নিয়মনীতি কি তা বুঝে পোশাক নির্বাচন করম্নন। তবে পোশাকে অবশ্যই ব্যক্তিত্বের ছাপ থাকতে হবে। পোশাক হতে হবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন।
রং নির্বাচন : পোশাকের ৰেত্রে রং নির্বাচন করাও কিন্তু সময় সাপেৰ ব্যাপার। তাই অনেকে হাতের কাছে যা পায় তা পরেই বেরিয়ে পড়ে। এটা মোটেই ঠিক নয়। আমাদের উচিত নিজের শারীরিক গঠন, গায়ের রং ইত্যাদি অনুযায়ী পোশাক পরা। যাদের স্বাস্থ্য ভাল তারা কালো, মেরম্নন, বস্নু টাইপের পোশাক পরিধান করলে ভাল মানায়। এই গরমে টি-শার্ট, গেঞ্জি পরলেও ভাল লাগবে। প্যান্টও একটু গাঢ় রঙের পড়লে ভাল লাগবে। জিন্সও মানাবে।
বেল্ট ও জুতা : বেল্ট অবশ্যই প্যান্টের রং-এর সঙ্গে ম্যাচ করে পরা যায়। সু পছন্দের ৰেত্রে একটু সচেতন থাকতে হবে। ধারণা করা হয় মেয়েরা সবার আগে ছেলেদের সু-র দিকে খেয়াল করে। জুতার ব্রাশ, কাপড় হাতের কাছে রাখবেন যেন বাইরে যাওয়ার সময় চটজলদি জুতা মুছে নিতে পারেন।
মার্জিত উপকরণের ব্যবহার : ছেলেদের মার্জিত দেখতে ও ব্যক্তিত্ববান দেখতে সবাই চায়। তাই অযথা হাতে, কানে, গলায়-হাবিজাবি পরা থেকে বিরত থাকতে হবে। মাথার চুল লম্বা না হয়ে ছোট আকারের হলে ভাল। চাকরিজীবীদের এসব দিকে বেশি খেয়াল রাখতে হবে। আর একানত্ম ইচ্ছা হলে গলায় একটা চেন ও হাতে মার্জিত ব্রেসলেট পরতে পারেন। তবে ঘড়ি ব্যবহার করাই সবচেয়ে ভাল। মোটা ফিতা বা চেনযুক্ত ঘড়ি ছেলেদের বেশি মানায়।
সুগন্ধি ব্যবহার : ড্রেসিং টেবিলের ওপর প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো সাজিয়ে রাখতে হবে। যেন বাইরে বেরোনোর সময় দ্রম্নত সব হাতের কাছে পাওয়া যায়। বাইরে বেরোনোর সময় সুগন্ধি ব্যবহার করতে ভুলবেন না। কেননা এই গরমে রোদে কমবেশি সবার শরীরেই ঘাম আসে। যা দুর্গন্ধ ছড়ায়। তাই পারফিউম, সেন্ট বা আতর যেটাই হোক ব্যবহার করবেন।
নিয়মিত শেভ : প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে তিন গস্নাস পানি খেয়ে ফ্রেশ বাথ নিতে হবে। বাথ নেবার আগে অবশ্যই শেভের কথা ভুলবেন না। নিয়মিত শেভ করে আফটার শেভ ক্রিম বা লোশন লাগিয়ে বাইরে গেলে দেখবেন মন ও শরীর সতেজ লাগবে, কাজেও মন বসবে।
মাথার চুল : মাসে অনত্মত এক থেকে দুবার মাথার চুল কাটতে হবে। তাহলে আপনাকে সবসময় দেখতে মার্জিত ও জেনটেল লাগবে। লম্বা চিপ অথবা ছোট চিপ যেটাই হোক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মিলিয়ে তা রাখতে হবে। মাথায় নিয়মিত শ্যাম্পু করতে হবে এবং তেল অথবা জেল লাগাতে হবে। তাহলে আপনার রম্নচিবোধ ফুটে উঠবে।
টাইয়ের ব্যবহার : আজকাল অধিকাংশ অফিসেই টাই পরার প্রচলন রয়েছে। তাই যথাযথভাবে টাই পরতে জানতে হবে। শার্টের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে টাইয়ের রং নির্বাচন করতে হবে। এতে সাধারণ পুরম্নষকেও অসাধারণ লাগে। টাইয়ের গিঁটটা যেন সুন্দরভাবে বাঁধা হয় সে দিকটা খেয়াল লাখতে হবে।
শপিং সচেতনতা : পারতপৰে শপিংয়ে গেলে কোন ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা যে ভাল কেনাকাটা করতে পারে তাকে নিয়ে যেতে হবে যেন দোকানদারদের চাটুকারিতায় ভুলে পোশাক বা প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে ভুল না হয়।
ব্র্যান্ডের জিনিসপত্রের ব্যবহার : ব্র্যান্ডের জিনিস অবশ্যই ভাল হয়। তাই বলে এসবের প্রতি অনুরক্ত হবার কিছু নেই। ব্র্যান্ডের জিনিস পছন্দমতো পেল ভাল আর পাওয়া না গেলে অন্য জিনিস ব্যবহার করবেন না এমন মানসিকতা থাকা ঠিক নয়। স্টাইল যাচাইকরণ : অনেকে নিজেদের ব্যক্তিগত স্টাইল প্রকাশ করতে সঙ্কোচবোধ করেন। এমনটি কখনই করা যাবে না। নিজেকে ইচ্ছানুযায়ী সাজিয়ে দেখুন অবশ্যই ভাল লাগবে। আর যাই হোক অন্তত নিজের ফ্যাশনের দিকে শত ব্যসত্মতার মাঝেও খেয়াল রাখবেন। এটা কিন্তু জীবনের অংশ। কথায় বলে শরীর সুস্থ থাকলে মন ভাল থাকে, তেমনি নিজের মধ্যে যদি আত্মবিশ্বাস তাকে যে আপনার সবকিছু ঠিক আছে আপনি সমস্ত কাজ প্রফুলস্ন মনে দ্রম্নত সম্পন্ন করতে পারবেন।

No comments

Powered by Blogger.