মৌমাছিরা মানুষের মুখম-লকে ফুল ভাবে by মইনুল ইসলাম

মৌমাছি মানুষের মুখম-ল কিংবা নিদেনপৰে মুখাবয়বের প্যাটার্ন চিনতে সৰম। এক নতুন গবেষণায় এ কথা জানা গেছে। মানুষকে বিশেষভাবে চেনার জন্য মধুমৰিকা মানুষকে 'অদ্ভুত ফুল' হিসেবে গণ্য করে থাকে বলে গবেষকরা জানিয়েছেন।
মৌমাছিরা মানুষকে ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত করতে সৰম না হলেও তারা এ ধরনের ছবির পার্থক্য অনুধাবন করার বিষয়টি শিখতে পারে। গবেষণার ফলাফলে জানা যায়, মৌমাছিরা তাদের ৰুদে মসত্মিষ্কের সাহায্যে ছবি বিশেস্নষণের বিষয়টি সামলাতে পারে। গবেষকরা বলেন, মানুষ যদি মুখম-ল চিহ্নিত করার বিষয়টি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিজাইন করতে চায়, তাহলে আমরা মৌমাছিদের মুখম-ল শনাক্ত করার দৃষ্টিভঙ্গি ব্যবহার করে অনেককিছু শিখতে পারি।
এই গবেষণাটি ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়াস্থ মোনাশ ইউনিভার্সিটির জীববিজ্ঞানী আড্রিয়ান ডায়ার পরিচালিত গবেষণার ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়েছে। মানুষের মুখম-লের ছবি চেনার জন্য সুস্বাদু সুগার স্ন্যাক্স দিয়ে মৌমাছিদের প্রশিৰণ দেয়া যেতে পারে।
ফ্রান্সের তুলো ইউনিভার্সিটির মার্টিন গিউরশ এই গবেষণার ফল থেকে মুগ্ধ ও বিস্মিত হন। মৌমাছিরা মুখম-লের মধ্যে প্রভেদ উপলব্ধি করতে যে কৌশল প্রয়োগ করে তা রীতিমতো বিস্ময়কর। মৌমাছিরা সাধারণ মুখাবয়ব সদৃশ ছবি, বাচ্চাদের অাঁকা রেখাঙ্কন যাতে চোখের জন্য দু'টি বিন্দু, নাকের জন্য একটি লম্বা দাগ এবং মুখের জন্য একটি আনুভূমিক লম্বা চিহ্ন ব্যবহৃত হয়_ যা পার্থক্য নির্ণয় করতে সহায়ক। একটি নির্দিষ্ট প্যাটার্ন পছন্দ করার জন্য মৌমাছিদের সুগার স্ন্যাক্স দেয়া হয়। কিন্তু যখন গবেষকরা সুগার স্ন্যাক্স সরিয়ে নেন, তখনও মৌমাছিরা মুখাবয়বের দিকে ফিরে আসে। এ থেকে বোঝা যায়, মৌমাছিরা দু'টি মুখাবয়বসদৃশ প্যাটার্নের ছবির মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করতে সৰম।

No comments

Powered by Blogger.