জাদুর চেয়ার- ঈনিড বস্নাইটন- অনুবাদ_ মহসীনা সাথী- ছুটির দিনে...

গ্রীষ্মের ছুটিতে বাড়ি ফিরে এলো তিতির আর অদ্রি। ওরা দু'জনই একটা বোর্ডিং স্কুলে পড়ে। অনেকদিন পরে মাকে কাছে পেয়ে জড়িয়ে ধরল ওরা। তারপর হাত মুখ ধুয়ে মায়ের তৈরি করা মজার নাসত্মা খেয়েই ওরা ছুটল চিলেকোঠার ঘরে।
ওদের সবচেয়ে গোপন রহস্যটা লুকিয়ে আছে ঐ ঘরে। কাউকে বলেনি ওরা এই গোপন রহস্যের কথা। এমনকি স্কুলের সবচেয়ে প্রিয় বন্ধুটিকেও না। এই 'টপ সিক্রেট' গোপন রাখতে দম বন্ধ হয়ে যাবার উপক্রম ওদের। কি এমন রহস্য? দাঁড়াও! দাঁড়াও! বলছি। ওদের কাছে অনুমতি নিয়েছি। তোমাদের বললে ওরা রাগ করবে না। ব্যাপারটা হলো... চিলেকোঠার ঘরে একটা জাদুর চেয়ার আছে। হঁ্যা, হঁ্যা, আসত্ম একটা জাদুর চেয়ার আর আছে ওদের বন্ধু চিংকি_ ছোট এক পরী!
জাদুর চেয়ার আর চিংকিকে ওরা কোথায় পেল? সে এক কা- বটে! শোনো তাহলে_
গতবার মায়ের জন্মদিনের উপহার কিনতে ওরা গিয়েছিল ছোট্ট কিন্তু যত রাজ্যের মজার মজার অবাক করা উপহারে ঠাঁসা একটা দোকানে। উপহার কেনা শেষ করে ওরা দোকানের এক কোণে রাখা পুরনো চেয়ারটাতে বসে কেবল ভাবছিল যে, এবার ভালভাবে বাড়ি ফিরতে পারলেই হয়। সঙ্গে সঙ্গেই ঘটল ঘটনাটা। ওরা বিস্ময়ে হতবাক হয়ে দেখল, চেয়ারের পাগুলোতে ছোট্ট লাল টুকটুকে এক জোড়া করে পাখা গজিয়েছে। ওরা তো খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিল। আর কী আশ্চর্য! ঠিক তখনি ওদেরকে নিয়ে উড়াল দিল চেয়ারটা। সঁ্যাত করে বেরিয়ে পড়ল জানালা দিয়ে। তারপর ওদেরকে নিয়ে এল একেবারে ওদের চিলেকোঠার ঘরটায়।
এরপর ওরা চেয়ারটাকে উপহারের দোকানটায় ফিরে যাবার জন্য অনেক অনুরোধ করেছিল। কিন্তু ওটা চিলেকোঠার ঘরের এক কোণে গঁ্যাট হয়ে বসে রইল। সেই থেকে চেয়ারটা ওদের চিলেকোঠার ঘরেই রয়ে গেছে।
আর চিংকি? সে আর এক কা-! একটা ভয়ানক দৈত্যের কবল থেকে ওরা উদ্ধার করে এনেছে ওকে। জাদুর চেয়ারটা ওদেরকে একবার ঘুরতে নিয়ে গিয়েছিল পুরনো এক প্রাসাদে। সেখানেই দৈত্যটা ছোট্ট পরী চিংকিকে বন্দী করে রেখেছিল। সেখান থেকেই ওরা উদ্ধার করে এনেছে চিংকিকে।
কিভাবে উদ্ধার করল? সে এক লম্বা গল্প। আরেকদিন বলব। তবে সেই থেকে চিংকি ওদের আর জাদুর চেয়ারটার বন্ধু হয়ে গেছে।

No comments

Powered by Blogger.