ভাঙে না মিলনমেলা- স্বদেশ রায়

মাঠের বুকে বাঁশ বা খুঁটি গেড়ে রাখার গর্ত, এখানে-ওখানে ছিটানো নানান রঙের কাগজ, ভাঙ্গা মাটির তৈজসপত্র তার ওপরে খাঁ খাঁ করছে চৈত্রের রৌদ্র। মাঝে মাঝে বয়ে যাচ্ছে মাতাল বাতাস।
আর পাশের নদী বা খাল বেয়ে চলে যাচ্ছে শত শত মালবাহী নৌকা। রাসত্মা বা বিলের পথ দিয়ে যাচ্ছে মাল বোঝাই গরম্নর গাড়ি। এমন দৃশ্য এখন আর গ্রামবাংলায় দেখা যায় না। কিন্তু বসনত্ম এলেই গ্রামে গ্রামে এ দৃশ্য দেখা যেত। বসনত্মকে ছাড়িয়ে রম্নদ্র বৈশাখেও দেখা যেত এ দৃশ্য। সকলের পরিচিত ছিল। সবাই জানত এ এক পিছনে ফেলে যাওয়া স্মৃতি। মেলা শেষ হয়ে গেছে। পিছনে পড়ে আছে গত কয়েকদিনের উৎসব।
এসব উৎসবের সঙ্গে যোগ ছিল প্রয়োজনের, আনন্দের আর বাণিজ্যের। সেখানে হাসিকান্নাও ছিল। বৈশাখের মেলা যখন তীব্র কালবৈশাখী ঝড়ে ল-ভ- হয় তখন বঙ্কিমচন্দ্রের বালিকা নায়িকা অন্ধকার রাতে ছোট ভাইয়ের হাত ধরে বিপদসঙ্কুল পথে বাড়ি ফেরে। তখন ঘটনাক্রমে নায়ক এসে তার হাত ধরে। যেমন যুদ্ধের প্রয়োজনে বের হয়ে ঝড়ের রাতে ভাঙ্গা মন্দিরে নায়িকাকে পেয়ে যায় রাজপুত বীর তেমনি মেলা থেকে ফেরার পথেও হাতে হাত পড়ে নায়িকার। অতএব, যেমন যুদ্ধ ছিল তেমনি মেলা ছিল। কবে থেকে এর শুরম্ন কে জানে? ইতিহাস ঘেঁটে অনেকে বলেন, শুরম্ন নাকি হয় হরিদ্বারের মেলা দিয়ে। হয়ত হতে পারে। আবার ফসিল আবিষ্কারের মতো আরেক আবিষ্কারকের হাতে পড়ে বদলে যেতে পারে ইতিহাস। তিনি বলতে পারেন না গাঙ্গেয় বঙ্গে চার নদীর সঙ্গমে শুরম্ন হয়েছিল মেলা আরও আগে। চৈনিক এ আরব বণিকরা এসেছিল সে মেলায়। সেখানে পাথরের তৈজস ছিল, ছিল চীনা পাহাড়ের বাঁশের লাঠি আর বাঁশি। যে বাঁশির সুর একেবারে মিলে যায়, আম অাঁটির ভেঁপুর সঙ্গে। ইতিহাস তো এমনি এক খোঁড়াখুঁড়ি। এভাবেই মানুষ জানতে পারে, আনন্দ পায় তার অতীত খুঁজে। অতীত খুঁজে মেলার চরিত্রের অতীতকেই হয়তো শুধু অতীত মনে হবে। কিন্তু মেলা তো বর্তমান। আগে হয়ত ব্যবসায়িক প্রয়োজনে, হয়তবা তীর্থ যাত্রীর ভিড়ে , হয়তবা রাজন্যের আনন্দ ইচ্ছায় হতো মেলা। এখন আমাদের সে মেলার চরিত্র গেছে বদলে। মেলা সৃষ্টির পিছনে ইতিহাসের উজ্জ্বল ঘটনা, সংগ্রামের তীব্রতা এসে দাঁড়িয়েছে। যেমন আগেও বৈশাখী মেলা ছিল। গ্রামে গ্রামে বৈশাখের তীব্র রোদে সে মেলা হতো। সে মেলার সঙ্গে প্রানত্মজনের ধর্মের না হোক আচরণের একটা যোগ ছিল। যে আচরণকেই আমরা বলি কৃষ্টি বা সংস্কৃতি।
ষাটের দশকে রাষ্ট্র ও আপন সংস্কৃতি চেতনায় জেগে ওঠা কয়েক তরম্নণ-তরম্নণী প্রানত্মজনের বৈশাখকে টেনে আনতে চাইল রাষ্ট্র ও আপন সংস্কৃতি বির্নিমাণের সংগ্রামের আঙ্গিনায়। গ্রামের সেই প্রানত্মজনের মেলা থেকে বৈশাখের মেলা উঠে এলো রাষ্ট্র ও সংস্কৃতি বির্নিমাণের স্রোতে। এ এক বিপুল সংগ্রামের ইতিহাস। সে ইতিহাসের ধারা বেয়ে বৈশাখ আজো প্রতিনিয়ত নির্মাণ করে চলেছে সংস্কৃতির দু'কূল। আর বৈশাখের মেলা উঠে এসেছে নগর জীবনে। এখন বৈশাখ এলেই মেলা বসে নগরে। মাটির তৈজস নয়, মাটির শিল্পকলা সেখানে স্থান দখল করে আছে। এভাবে আমাদের রাষ্ট্র ও সংস্কৃতি বির্নিমাণের সঙ্গে এক হয়ে চার নদীর সঙ্গমস্থলের বা তীর্থ ৰেত্রের মেলা এখন সংস্কৃতির অঙ্গ হয়ে আরেক রূপ নিয়েছে। আর মাত্র একদিন পরেই বিকেলে বাংলা একাডেমীর প্রাঙ্গণে গেলে শোনা যাবে ভাঙ্গনের সুর। দেখা যাবে যেমন করে এক মাস আগে হাতুড়ি বাটালি দিয়ে তৈরি হয়েছিল মেলার স্থান আবার কঠিন লোহার হাতুড়ি বাটালের আঘাতে ভাঙ্গা হচ্ছে মেলার ঘর। প্রতিদিনের জনস্রোতে ভাটা পড়েছে। এতদিন উজ্জ্বল উচ্ছল যে তরম্নণরা উদ্দাম গতি, প্রাণমাতানো হাসিতে এ মেলা জমিয়ে রেখেছিল তাদের মুখে বিষাদের ছায়া। মনে হবে এদের সকলকে ছেড়ে চলে গেছে যেন ওদের সঙ্গী। সকলের মাঝে থাকলেও একটি গাঙচিল যেমন আপন সঙ্গীকে হারিয়ে আকাশের বুকে, নদীর বুকে একা হয়ে যায়_ এরাও তেমনি একা হয়ে গেছে। আপন সঙ্গীটির হাত ধরে আছে তারপরেও সে একা, সে নিঃসঙ্গ। বাংলা একাডেমীর চত্বরে গড়ে ওঠা বইমেলা এখন এমনি প্রাণের সঙ্গী তরম্নণ-তরম্নণীদের। শুধু বই নয়, আরও কিছু যেন আছে। আসলে কী যে আছে সেখানে তার সবটুকু বলা যায় না। স্বাধীনতার পর গাছতলায় কাপড় বিছিয়ে যখন যাত্রা শুরম্ন করেছিল তখন কী ছিল এই মেলার সঙ্গে। সাড়ে তিন দশকের বেশি সময় পার করে দিয়ে এসে এখন যদি হিসেব করা হয়, তাহলে দেখা যাবে এর সঙ্গে রাষ্ট্র ও সংস্কৃতি বির্নিমাণের সেই স্রোতধারা ছিল। তাই তো স্বাধীনতার পরে যখনই দেশের ওপরে কালো ছায়া এসেছে তখনই চরিত্র বদলে গেছে এ মেলার। স্বাধীনতার পরে দীর্ঘ সামরিক স্বৈরশাসকের সময় এ মেলায় তরম্নণ-তরম্নণীর ভিড় ছিল এমনই। তবে আজকের মতো তারা প্রাণমাতানো হাসিতে ভরিয়ে রাখত না এ মেলা। তখন এ মেলার বাতাসও যেন প্রতিবাদী হয়ে উঠত। সে সময় রাজপথে যে আগুনের হলকা বের হতো তরম্নণের গলা বেয়ে তেমনি মেলার বাতাসেও থাকত তরম্নণের চোখের, মুখের আগুনের হাওয়া। আজ যে কবি নির্মলেন্দু গুণ, মোহাম্মদ রফিক জীবনের সারাৎসার তুলে আনছেন কবিতার লাইনে সেদিন তাঁদের কবিতা ছিল প্রতিবাদের তরবারি। ১৯৮২-তে মোহাম্মদ রফিকের 'সব শালা কবি হবে' যেন জাগিয়ে দিয়েছিল সে সময়ের এ মেলায় আসা প্রতিটি তরম্নণকে। ১৯৮৩-তে নির্মলেন্দু গুণের 'এরই ভিতর আইউব খানের দাঁত দেখাচ্ছো' বা মহাদেব সাহার আমরা সশস্ত্র হবো সজস্র মৃতু্যতে। এসব লাইন যেন তরম্নণদের হাতে খোলা তরবারি হয়ে ঝলসে উঠত।
আবার ৯০-এ সামরিক স্বৈরাচার পতনের পরে দেখা গেল মুহূর্তে পাল্টে গেল মেলা। এমনকি তখন আর বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গণেও ধরছে না মেলার দেহ। আনন্দে আর আতিশয্যে নিজের দেহকে যে নিজেই বাড়িয়ে দিল। টিএসসি মোড় থেকে দোয়েল চত্বর অবধি হয়ে গেল মেলার স্থান। তখন শুধু সীমাবদ্ধ থাকতে চাইল না মেলা বইমেলার ভেতর। সে একুশের মেলা হয়ে উঠতে চাইল। একুশ যেমন প্রানত্মজনের ভাষাকে রাষ্ট্রের ভাষা করেছে। বাঙালীর কুটিরে কুটিরে যে সংস্কৃতি ছিল তারই মিলন ঘটিয়ে বাঙালী সংস্কৃতি গড়ে তুলেছে। জাতিকে এক করেছে সংস্কৃতির আর ভাষার বন্ধনে। ৯০-এ সামরিক স্বৈরাচার পতনের পরে বাংলা একাডেমীর এই মেলা যেন আপন ইচ্ছেয় ডানা মেলে বইমেলা থেকে একুশের মেলায় রূপানত্মরিত হতে থাকল। বাঙালীর ঐতিহ্যবাহী মেলার সেই চরিত্র পেতে থাকে বাংলা একাডেমীর এ মেলা। সে পথে চললে এতদিনে হয়ত বাংলা একাডেমীর এই মেলা আর শুধু অমর একুশে গ্রন্থমেলা থাকত না, হয়ত নিজেই নিজেকে পরিবর্তন করে নিয়ে একুশের মেলা হয়ে যেত। যেখানে বই থাকত থাকত; বাঙালীর প্রাচীন মেলার সব কিছুই। সে পথেই চলছিল এ মেলা। এক জীবনরসহীন অধ্যাপক বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক হয়ে বদলে দিলেন সে রূপ। আবার একুশে মেলা থেকে শুধু বইমেলায় রূপ নিল এ মেলা। তবে একুশের মেলাকে এভাবে আটকে রাখা যাবে না। শুধু বই বিক্রির মেলার জন্য বই বাণিজ্যমেলা হবে। যেমন এখন নগর বাণিজ্যে এসে স্থান নিয়েছে বাণিজ্যমেলা। সেখানেও মানুষ উপচে পড়ে। যে মানুষ বইমেলায় যায় সেই আবার ওই বাণিজ্যমেলায় যায়। এটাই মানুষের ধর্ম। যে মানুষ সেই অতীতে হরিদ্বারের মেলায় যেত সেই আবার দিলস্নীর পসারিনীর পসরার ডালি খুলতে বলত। সে পারস্য বণিকের জাহাজে গিয়ে হাজির হতো পারস্যের পসরার জন্য।
আর এখানেই মানুষের ভিতরের সেই দুই পাখি। পসারিনীর পসরার ডালি যখন সে খুলতে বলে তখন থাকে এক মানুষ। আবার যখন সে মিলনমেলায় যায়, প্রাণের মেলায় যায় তখন থাকে আরেক মানুষ। আর তাই বুঝি প্রতি সপ্তাহের হাট শেষ হয়ে গেলে পরের দিন কেউ সেখানে পড়ে থাকা ঠোঙা আর ভাঙ্গা তৈজস দেখে ব্যথিত হতো না। মনে করত এ জীবনের নিত্যদিনের । এ অনেক স্বাভাবিক। কিন্তু একটি মেলা শেষ হলে সেখানে পড়ে থাকা রঙিন কাগজ অনেকের মনে তুলত হাহুতাশ। তাছাড়া তখন বড়ছোট কোন হাটের কোনায় তালপাতার বাঁশি নিয়ে বসলে বিক্রি হতো বা তা নিয়ে কেউ ভাবত এমন বলা যায় না। এমনকি যদি কোন বালক হাট থেকে তালপাতার বাঁশি কিনত ধরে নেয়া হতো সেখানে নষ্ট হয়েছে পয়সা। অথচ মেলা থেকে তালপাতার বাঁশি কিনলে সে বাঁশির সুর হয়ে উঠত মেলার অঙ্গ। খুশিতে ভরে উঠত প্রাণ। মনে হতো সার্থক হলো এই পয়সা খরচটি। এর মূলের রসটি কিন্তু আসলেই প্রাণের রস। তাই বলা যায়, চার নদীর সঙ্গমে যে মেলা বসত সেখানে শুধু বাণিজ্য অর্থাৎ শুধু কেনাবেচা ছিল না। সেখানে আরও কিছু ছিল। তাই সে মিলনের আনন্দ হোক, অবকাশের আনন্দ হোক বা হোক কোন শিল্পীত প্রয়াস।
এই মেলা যখন আমাদের একুশের রক্তধারা, বৈশাখের সংগ্রামের ধারার পথ বেয়ে নগর ও গ্রাম জীবনে নবজীবন পাচ্ছে তখন এর প্রাণরস আরও অনেক বেশি। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে রক্তদানের সেই স্রোতস্বিনী। যে বহতা নদীটি চিরকাল বয়ে চলবে। এর পাশে নগরে অনেক বড় বাণিজ্যমেলা হবে, সেখানে অনেক পসরা মিলবে, অনেক বড় বইমেলা হবে সেখানে সারা পৃথিবীর বই এসে ভরে যাবে। কিন্তু একুশে বা বৈশাখের যোগ যেখানে, সেখানে থাকবে আলদা প্রাণ। আলদা বোধ। কারণ, এ মেলা আমার প্রাণরসের অনেক বহির্প্রকাশের ভেতর দিয়ে জন্ম নিয়েছে এ মেলাগুলো। যে রক্তস্রোত ও রাষ্ট্র গঠনের সংগ্রামের পথ বেয়ে এ মেলাগুলো এসেছে ওই সংগ্রাম তো আমাদের বির্নিমাণের সংগ্রাম। ওই সংগ্রামের পথে পথে আমাদের সাহিত্য সৃষ্টি হয়েছে, আমাদের মনোজগত সৃষ্টি হয়েছে।
তাই তো বাংলা একাডেমীর বইমেলা, বৈশাখের মেলা কখনও নিরস মেলায় পরিণত করা যায় না। আপন গতিতে সে আবার নিজের স্থান করে নেয়। সে হয়ে ওঠে মিলনের মেলা। ভাঙ্গে না এ মিলনমেলা। আর কোনভাবে মেলানো যায় না কোন বাণিজ্যমেলার সঙ্গে, কোন কর্পোরেট ব্যবসার সঙ্গে। তাই এখানে কর্পোরেট এক্সিকিউটিভ এসে পাপরভাজা খেতে খেতে চলে যান এক অন্য জগতে। তাই কোন কর্পোরেট হাউস যদি এ মেলাকে শীতাতপ ঘরে নিয়ে অনেক বেশি বাণিজ্যর পথ করে দেয় তখন কি সে কর্পোরেটের কাছে আত্মসর্মপণ করবে?
ইতিহাস সম্মান পায়, সম্মান দেয়। বাণিজ্যর জন্য মনে হয় না কখনও আত্মসমর্পণ করে। যে একুশকে ঘিরে এই মেলা, যাদের সতীর্থদের রক্তে ওই একুশ তাকে কি আসলে বাণিজ্যে আনা যায়? যেমন করে একুশের প্রাণরসের ভেতর দিয়ে আনা এই মেলাকে সমপূর্ণ বাণিজ্যে আনা যায় না। সেখানে সম্মান, শ্রদ্ধা, ভালবাসা থাকে স্বতঃস্ফুরিত। একুশের ইতিহাস সৃষ্টিকারীদেরও আমাদের সম্মান করতে কখনই তাই প্রয়োজন পড়া উচিত নয় কোন কপের্ারেট সাহায্য। এখানে নাগরিকের প্রাণের স্রোত, মিলনের স্রোত বড় হয়ে উঠলেই সত্য খুঁজে পাওয়া যায়।
একুশের শহীদ মিনারে মা-বাবা নিয়ে আসে তার ছোট শিশুটির হাতে এক গোছা ফুল দিয়ে। অনেক ফুলের ভিড়ে মিশে যায় তার ফুল। তখন সে আর নিজের ফুলটা আলাদা করে দেখতে পায় না। দেখে অনেক ফুল একটি ফুলের সাগরের পারে নিয়ে এসেছে তার বাবা-মা তাকে। এমনি করে সে একটা সাগরকে চিনতে পারে। তাই একুশের বেদীর ফুল শুকিয়ে যায়। আরেকটি একুশ আসার জন্য অপেৰা করে। ওই শিশু বড় হতে থাকে। সে হয়ত অন্য একদিন আসে কোন কাজে এ শহীদ মিনারের কাছে। তার হাতে তখন ফুল থাকে না, শহীদ মিনারেও ফুল থাকে না। কিন্তু তার চোখের সামনে ভেসে ওঠে ফুলে ফুলে ভরা একটি শহীদ মিনার। মেলা থেকে কেনা তালপাতার বাঁশি যেমন কোন শিশুর সবটুকু প্রাণভরে ওঠা আনন্দের, তেমনি চোখের সামনে ভেসে ওঠা ওই শহীদ মিনারও তার কাছে সবটুকু শ্রদ্ধার।
এই হৃদয় নিঙড়ানো শ্রদ্ধা আর ভালবাসা ঘিরেই বির্নিমাণ হয়েছে আমাদের সংস্কৃতি আমাদের রাষ্ট্র বির্নিমাণের ইতিহাস। এ সত্যি অর্থে এক মিলনমেলা। এটা একদিনের নয়, কোন কর্পোরেট বাণিজ্যের নয়, এ এক চিরকালের বহতা নদী। এ নদী ফুলফল ও ফসলের মাতা। একে প্রাণ দিয়ে শ্রদ্ধা করবে মানুষ, হৃদয় দিয়ে ভালবাসবে- একে নিয়ে বাণিজ্যে নামলে তাকে ছুড়ে ফেলে দেবে। এ নদীতে বর্তমানও অবগাহন করবে, আগামীও করবে। করবে আপন প্রাণের টানে।

No comments

Powered by Blogger.