একাত্তরের এই দিনে

* পাঞ্জাব কাউন্সিল মুসলিম লীগের সভাপতি সর্দার শওকত হায়াৎ খান ঢাকায় বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হওয়ার বদৌলতে আওয়ামী লীগ দেশের শাসনতন্ত্র প্রণয়নের যথেষ্ট ক্ষমতা রাখে। সবার মতৈক্য হওয়া অবশ্যই ভালো; কিন্তু তা বাধ্যতামূলক নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সর্দার শওকত হায়াৎ খান সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত সফরে লাহোর থেকে ঢাকা আগমন করেন। বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনাকালে তিনি জানান, জাতীয় এবং প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে বিরাট সাফল্য অর্জনের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অভিনন্দন জানাতে তিনি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং বঙ্গবন্ধু যদি তাঁর সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা করতে চান, তবে বঙ্গবন্ধুর পছন্দমতো বিষয়গুলো নিয়েই তিনি আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ছয় দফাকে অতীতে যদিও 'দেশকে খণ্ড-বিখণ্ড করার ফাঁদ' বলে মনে করা হতো এবং তা সম্পূর্ণরূপে বিবেচনা করার দরকার, কারণ পূর্ব পাকিস্তানের জনসাধারণের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ একে সমর্থন করেছে। তিনি আরো বলেন, ছয় দফা বাংলাসহ পাকিস্তানের যেকোনো প্রদেশের চেয়ে পাঞ্জাবের বেশি অনুকূলে যাবে।
* সেনাবাহিনীতে পূর্ব পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব জনসংখ্যার ভিত্তিতেই হবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, ১৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পরিষদ অধিবেশন আহ্বানের পক্ষে সুবিধাজনক হবে না। তবে শাসনতন্ত্র গৃহীত হবে বলেই দৃঢ় আস্থা প্রকাশ করেন। ২৩ মার্চের আগেই যদি এটা গৃহীত হয়, আমিই সবচেয়ে খুশি হব বলে তিনি মন্তব্য করেন।
* ঢাকার উন্মেষ সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদ কর্তৃক পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত এক সভায় গৃহীত প্রস্তাবে কাগজের মূল্যবৃদ্ধির তীব্র প্রতিবাদ ও কাগজের ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার এবং হ্যান্ডলিং এজেন্ট বাতিলের জোর দাবি জানানো হয়।
সূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর

No comments

Powered by Blogger.