সুশীল সংগঠনের প্রতিবেদন-ধর্ষণে অভিযুক্তরা রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন পায়

নয়াদিল্লিতে বাসে মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ভারতের রাজনীতি উত্তপ্ত। বিভিন্ন দলের ভেতর থেকে এ ঘটনার বিচারের দাবি উঠেছে। এমন সময় দেশটির সুশীল সমাজের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (এডিআর) এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
এতে দাবি করা হয়েছে, গত পাঁচ বছরে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মনোনয়নে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন এমন লোকদের মধ্যে অন্তত ২০ জন ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন। এই প্রতিবেদন দেশটিতে ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এডিআরের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত পাঁচ বছরে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ২০ জন রাজনীতিককে মনোনয় দেয় রাজনৈতিক দলগুলো। এ ছাড়া মনোনয়ন পাওয়া ২৬০ নেতার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন-সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
এডিআর প্রতিষ্ঠাতা জগদ্বীপ চকার এএফপিকে বলেন, 'যাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে, তাদের মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এসব নেতার মনোনয়ন বাতিল করা উচিৎ। পাশাপাশি তাদের কোনো ধরনের ক্ষমতায় থাকাও ঠিক না।' তিনি আরো বলেন, যাঁরা ধর্ষণের নিন্দা জানাচ্ছেন, তাঁরাই এ অভিযোগে অভিযুক্ত। আবার তাঁরাই নির্বাচনে মনোনয়ন পাচ্ছেন। জগদ্বীপ ব্যাপারটিকে ভণ্ডামি বলে অভিহিত করেন।
'ঘৃণ্য লোকদের শাস্তি দিন' : দিল্লির ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ভারতে পঞ্চম দিনের মতো আন্দোলন চলছে। গতকাল শুক্রবার 'আমরা ন্যায় বিচার চাই, কঠোর শাস্তি দেখতে চাই' স্লোগান নিয়ে আন্দোলনকারীরা প্রেসিডেন্ট ভবনের সামনে বিক্ষোভ করে। প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জির কাছে একটি চিঠি দিয়েছে দিল্লির শিশুরা। দিল্লির শিশু অধিকার ক্লাব থেকে প্রকাশিত চিঠিতে শিশুরা বলে, 'আমরা আশা করি, আপনি এবং সরকার ওই সব খারাপ লোকদের শাস্তি দিতে শিগগিরই কঠোর পদক্ষেপ নেবেন। আপনি তাদের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেবেন, যাতে দোষীরা বুঝতে পারে, তারা দিদির সঙ্গে কী আচরণ করেছে।'
ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বাসচালকসহ গতকাল পর্যন্ত পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। সূত্র : এএফপি, জিনিউজ।

No comments

Powered by Blogger.