নারীর খতনা বন্ধের সিদ্ধান্ত জাতিসংঘে

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মেয়েদের খতনা প্রথা বাতিলের আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ একটি প্রস্তাব পাস করেছে। এ প্রথাকে 'অপূরণীয় ও অনিরাময়যোগ্য নির্যাতন' উল্লেখ করে গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয়।
তবে এ সিদ্ধান্ত মানতে দেশগুলোর জন্য কোনো আইনগত বাধ্যবাধকতা রাখা হয়নি। সিদ্ধান্তে এ প্রথা নিষিদ্ধ করতে এবং এ ধরনের নৃশংসতা বন্ধে আইন প্রণয়ন ও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ১৯৩টি সদস্য দেশের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, ১৯৯৭ সাল থেকে খতনার শিকার হয়েছেন ১৪ কোটি নারী ও মেয়ে।
প্রতিবছর প্রায় ৩০ লাখ নারী ও কিশোরীকে খতনায় বাধ্য করা হয়। আফ্রিকার ২৮টি দেশ এবং মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার কিছু দেশ বিশেষ করে ইয়েমেন, ইরাকের কুর্দিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ায় এ প্রথা চালু আছে। এ ছাড়া সোমালিয়া, সুদান, ইরিত্রিয়া, জিবুতি, মিসর, সিয়েরালিওন, মালি ও গিনিতে একরকম সার্বজনীনভাবেই খতনার চর্চা হয়।
খতনা বন্ধের জন্য যাঁরা কাজ করছেন, তাঁরা খতনার পর নারীর মানসিক অবস্থাকে ধর্ষণের সঙ্গে তুলনা করেছেন। এ প্রথায় বিশ্বাসীদের ধারণা, এতে নারীদের যৌন বাসনা কমে যায় এবং তাঁরা স্বামীর প্রতি সৎ থাকে। যেসব অঞ্চলে খতনা চালু আছে, সেখানে চিকিৎসকদের দিয়ে নারীর খতনা করার চর্চা বেড়ে যাওয়ায় জাতিসংঘ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বুরকিনা ফাসো এ প্রথা বাতিলের প্রচেষ্টায় নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করছে। সূত্র : রয়টার্স।

No comments

Powered by Blogger.