অর্থ ও আসবাব আত্মসাতের মামলা- সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল

জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার মুহম্মদ জমির উদ্দিন সরকার ও সাবেক প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে অর্থ ও আসবাব আত্মসাতের মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বুধবার বিকেলে ঢাকার মহানগর হাকিম তারেক মঈনুল ইসলামের আদালতে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দুটি দাখিল করা হয়।


রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় ২০১০ সালের ২৮ ডিসেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান খান ও উপসহকারী পরিচালক এস এম খবীরউদ্দিন বাদী হয়ে পাঁচটি মামলা করেন। এসব মামলায় সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিন সরকার, সাবেক ডেপুটি স্পিকার আখতার হামিদ সিদ্দিকী, সাবেক চিফ হুইপ ও বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন এবং জাতীয় সংসদের সাবেক প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলামকে (বর্তমানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা) আসামি করা হয়।
দুদক গত মঙ্গলবার এই পাঁচ মামলার মধ্যে তিনটির তদন্ত শেষ হওয়ায় এগুলোর অভিযোগপত্র অনুমোদন দেয়। এর মধ্যে গতকাল দুটি মামলায় অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়।
বিদেশে চিকিৎসার জন্য অবৈধ উপায়ে সরকারি অর্থ অনুমোদন এবং তা নগদে তুলে আত্মসাৎ, সরকারি বাসভবনের আসবাব কেনা ও তা আত্মসাৎ এবং অতিরিক্ত অর্থ তোলার অভিযোগে দুদক এসব মামলা করে। তিনটি মামলায় জমির উদ্দিন সরকারকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন মারা যাওয়ায় অভিযোগপত্রে আসামির তালিকা থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
৪৭ নম্বর মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জমির উদ্দিন সরকার নিজে ২০০৬ সালের ১৪ থেকে ২০ জানুয়ারি সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে যান হূদেরাগের চিকিৎসার জন্য। সেখান থেকে ফিরে ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকার বিল জমা দেন। পরে তৎকালীন প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলামের যোগসাজশে সাবেক স্পিকার নিজ নামে (ভাউচার নম্বর ৪৮৬৯) ওই অর্থ পাস করিয়ে তুলে নেন।
৪৮ নম্বর মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, জমির উদ্দিন সরকার ও খোন্দকার দেলোয়ার উভয়ে সরকারি বাসভবনের ডাইনিং টেবিল, চেয়ার, পর্দা, কম্পিউটার টেবিলসহ বিভিন্ন আসবাব নিজ বাসভবনে নিয়ে গেছেন, যার তৎকালীন বাজারমূল্য ছয় লাখ নয় হাজার ৬৬২ টাকা।

No comments

Powered by Blogger.