জনগণের প্রত্যাশা by মো. রবিউল ইসলাম

'জনগণ এ সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না', 'জনগণ বিগত সরকারের দুঃশাসন আর দেখতে চায় না'_ জনগণকে ঘিরে এসব কথা জনগণের মতামতের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কতটা বাস্তবসম্মত? দেশের অর্থায়নে চারটি সেতু কিংবা ক্ষমতায় গেলে দুটি সেতু_ এমন মন্তব্য কতটা বাস্তবসম্মত আর কতটা আবেগপ্রণোদিত জনগণ সেটা কিছুটা


হলেও বোঝে। সংসদ সদস্য হওয়া সত্ত্বেও পুলিশের দ্বারা প্রহৃত হওয়া, ক্ষমতাসীন ছাত্রনেতা কর্তৃক ক্ষমতাহীন ছাত্রনেতার বুকে লাথি মারা_ আমাদের রাজনীতির ধারাবাহিক বাস্তবতা হলেও গণতান্ত্রিক দেশে জনগণ এসব দৃশ্য আর দেখতে চায় না। জনগণ দুর্নীতির ব্যাধিতে আর আক্রান্ত হয়ে থাকতে চায় না, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন দৌরাত্ম্য দেখতে চায় না, হরতালের তাল শুনতে চায় না, চলার পথে গুম হতে চায় না, ঘুমের ঘোরে খুন হতে চায় না, বিচারের আশায় বছরের পর বছর মামলায় ঝুলে থাকতে চায় না, বাস-ট্রেনে বাদুড়ের মতো ঝুলে যাতায়াত করতে চায় না। সর্বোপরি জনগণ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তার কালো মেঘ দেখতে চায় না। একটি জাতির জীবনে দ্বন্দ্ব ছিল, আছে এবং থাকবে। দ্বন্দ্বহীন জাতি ইতিহাসের পাতায় বিরল। কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী দ্বন্দ্ব জাতির জন্য হিতকর নয়। দ্বন্দ্ব একজন নেতাকে তার নেতৃত্বের গুণাবলিকে বিকশিত করতে সুযোগ করে দেয়। দ্বন্দ্বের ধর্ম আর জনগণের মর্ম বুঝে মোক্ষম সমাধান দিতে সক্ষম হয়েছিল বলেই তো শেখ মুজিব, মহাত্মা গান্ধী, মার্টিন লুথার কিং প্রমুখ রাজনীতিবিদ বিশ্বনন্দিত নেতা। যোগ্যতা, দক্ষতা, বিচক্ষণতা, দূরদর্শিতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সুষম ব্যবহারের মাধ্যমে সব দলের রাজনীতিবিদরা একটি স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করে উপহার দেবেন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন_ এমনটিই প্রত্যাশা জনগণের। অনবদ্য অবদান রেখে চলেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় সব দলের রাজনীতিবিদরা পারস্পরিক সমঝোতায় এসে মেধা, দক্ষতা, দূরদর্শিতা ও অভিজ্ঞতার সর্বোচ্চ প্রয়োগের মাধ্যমে দেশকে বিশ্বাঙ্গনে অনেক উঁচুতে নিয়ে যাবে_ এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
য়প্রভাষক, ডি কে মহাবিদ্যালয় রাণীশংকৈল, ঠাকুরগাঁও
 

No comments

Powered by Blogger.