শিষ্টাচার বিষয়ে ইসলাম by মোহাম্মদ সদরুল আমীন রাশেদ

হজরত রাসূল (সা.) বলেন, 'অর্থাৎ আমি উত্তম চরিত্রের পূর্ণতা প্রদানের জন্য প্রেরিত হয়েছি।' হজরত আয়েশা (রা.)-কে রাসূল (সা.)-এর চরিত্র সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি উত্তরে বলেন, 'তার চরিত্র হলো সাক্ষাৎ কোরআন' (মুসলিম)। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেন, 'নবী (সা.) চারিত্রিক ও মৌখিক অশ্লীলতা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত ছিলেন।


তিনি প্রায়ই বলতেন, 'তোমাদের মধ্যে তারাই উত্তম যাদের চরিত্র উত্তম' (বুখারি-মুসলিম)। হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) বলেন, 'রাসূল (সা.) কাউকে গালি দিতেন না, অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করতেন না এবং কাউকে অভিশাপ দিতেন না। কাউকে তিরস্কার করতে হলে শুধু এটুকু বলতেন, তার কী হয়েছে। তার কপাল ধুলায় ধূসরিত হোক' (বুখারি)। হজরত আনাস (রা.) আরও বলেন, ''আমি দীর্ঘ দশ বছর রাসূল (সা.)-এর সেবায় নিয়োজিত ছিলাম। এ দীর্ঘ সময়ে তিনি কখনও 'উহ' শব্দটি উচ্চারণ করেননি। এমনকি তিনি কখনও বলেননি, তুমি কেন এটা করেছ বা এটা কেন করোনি?'' (বুখারি ও মুসলিম)। আমরা বিশ্বাস করি, চারিত্রিক সুষমার পূর্ণতাদানের জন্য হজরত মোহাম্মদ (সা.)-কে প্রেরণ করা হয়েছে এবং এ কারণেই আল্লাহতায়ালা স্বয়ং তাকে উত্তমরূপে আদব-কায়দা ও শিষ্টাচার শিখিয়েছেন। রাসূল (সা.) বলেন, 'যে আমাদের ছোটদের স্নেহ করে না এবং বড়দের সম্মান ও মর্যাদা অনুধাবনের চেষ্টা করে না সে আমাদের দলভুক্ত নয়' (আবু দাউদ-তিরমিজি)।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, 'শত্রুকে ধরাশায়ী করলে কেউ বীর হয় না। প্রকৃত বীর সেই যে ক্রোধের মুহূর্তে নিজেকে সংবরণ করতে পারে' (বুখারি, মুসলিম)। রাসূল (সা.) বলেন, 'আমি একটি দোয়ার কথা জানি যা উচ্চারণ করলে ক্রোধান্বিত ব্যক্তির ক্রোধ দূরীভূত হয়ে যায়। তা হলো, 'আউযু বিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজিম' (বুখারি)। আমরা জানি, আদব-কায়দা ও শৃঙ্খলাবোধের বিষয়টির প্রতি সাহাবায়ে কেরাম খুব বেশি গুরুত্ব দিতেন। তারা বড়দের অধিকার সবচেয়ে বেশি রক্ষা করতেন।

No comments

Powered by Blogger.