আর্থিক পরিস্থিতি-টাকার বেসামাল অবনমন ও অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ by মইনুল ইসলাম

১৯ জানুয়ারি কয়েকটি পত্রিকায় বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের অর্থনীতি-সম্পর্কিত একটি জবাবদিহিমূলক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে; যেখানে দেশের অর্থনীতির গত তিন বছরের অর্জিত সাফল্যের চালচিত্রের পাশাপাশি অর্থনীতির সাম্প্রতিক চ্যালেঞ্জ এবং ঝুঁকিগুলোর একটি তথ্যনির্ভর বর্ণনা ও বিশ্লেষণ রয়েছে।


টেলিভিশনের ক্যামেরার সামনে কোনো বিষয়ে তাৎক্ষণিক মন্তব্য বা প্রতিক্রিয়া প্রদানের চেয়ে এ ধরনের লিখিত বক্তব্য প্রদান তাঁর জন্য অনেক বেশি নিরাপদ। কারণ, প্রায়ই তাঁর তাৎক্ষণিক বক্তব্য ও উচ্চারণগুলোকে কিছুটা বিকৃত করে কিংবা আউট অব কনটেক্সট উদ্ধৃত করে কিছু সাংবাদিক তাঁকে সমালোচনার শিকারে পরিণত করার নজির সৃষ্টি রয়েছে। আবার ওগুলোর প্রতিক্রিয়ায় তিনিও মাঝেমধ্যে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে উষ্মা প্রকাশ করেছেন। এমনকি তাঁর কিছু কিছু বক্তব্য পণ্যবাজার, শেয়ারবাজার ও অর্থবাজারে অনভিপ্রেত অভিঘাতও সৃষ্টি করেছে বেশ কয়েকবার। তাঁর এবারের লিখিত প্রবন্ধটি যথেষ্ট বস্তুনিষ্ঠ, সে জন্য তাঁকে সাধুবাদ জানাই। এবার আসা যাক তাঁর বক্তব্যগুলোর মূল্যায়নে।
পুঁজিবাদী বিশ্বের ১৯২৯-৩৫ পর্বের অর্থনৈতিক মহামন্দা থেকে উত্তরণের ‘নিউ ডিল’ নীতিমালা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্টের অর্থনীতিবিদদের ঠাট্টা করে উচ্চারিত মন্তব্যটি এখনো যথেষ্ট হাস্যরসের উদ্রেক করে: ‘আমার একজন এক হাতওয়ালা অর্থনীতিবিদ প্রয়োজন।’ বিশেষজ্ঞ ও খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদদের বিশ্লেষণে প্রায়ই ‘On the one hand..., and on the other hand...’ কথাটার পুনরাবৃত্তিকে কটাক্ষ করে প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট এই ঠাট্টাটি করেছিলেন, বোঝাই যাচ্ছে। কিন্তু অর্থনৈতিক ইস্যুগুলোর মূল্যায়নে প্রায়ই প্রশংসা ও সমালোচনা যুগপৎভাবেই গুরুত্বের দাবিদার হয়ে যায় বাস্তবসম্মত কারণেই। তাই অর্ধেক পানিভর্তি গ্লাসকে যেমন অর্ধেক খালিও বলা যায়, তেমনই অর্থনৈতিক ইস্যুতেও পরিপূর্ণ সাফল্য অর্জন খুবই দুরূহ। জনাব মুহিতের প্রবন্ধে তিনি যেগুলোকে সরকারের সাফল্যের তালিকায় উল্লেখ করেছেন, সেগুলোর বেশ কটিকেই বিএনপি-জামাতের প্রতি মানসিকভাবে দুর্বল বিশ্লেষকেরা সরকারের দুর্বলতা ও ব্যর্থতার নজির হিসেবেই ফুটিয়ে তুলতে পারবেন। এতদসত্ত্বেও বলা যায়, অর্থনীতির বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলো তাঁর লেখায় চিহ্নিত হয়েছে, একটু ঘুরপথে হলেও।
অর্থনীতির স্বল্পমেয়াদ, মধ্যমেয়াদ আর দীর্ঘমেয়াদ কথাগুলোও প্রায়ই বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে। কারণ, দিন-মাস-বছর দিয়ে এগুলো আলাদা করা যায় না। দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে সৃষ্ট সাম্প্রতিক ঝুঁকিগুলো অর্থনীতিতে স্বল্পমেয়াদি ও মধ্যমেয়াদি অস্থিরতা ও বিপদের আশঙ্কা বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু সরকারের সাফল্যগুলো অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি এবং জনগণের জীবনমানের উন্নয়নের জন্য অনেক বেশি গুরুত্ববহ, যেগুলো সামষ্টিক অর্থনীতির দীর্ঘমেয়াদের সম্ভাবনা ও সুস্বাস্থ্যের ইঙ্গিতবাহী। ‘ম্যাক্রো ইকোনমিক ব্যালেন্স’ নিয়ে মতামাতি উন্নত পুঁজিবাদী দেশের অর্থনীতির জন্যই বেশি মানানসই। অন্যদিকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার বৃদ্ধি, আয় ও সম্পদ বণ্টনের বৈষম্য হ্রাস, দারিদ্র্য ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রাম জোরদারকরণ—এগুলো আমাদের জন্য সাফল্যের মাপকাঠি হওয়াটাই বেশি যুক্তিসংগত। কিন্তু ব্যাষ্টিক অর্থনীতির প্রধান প্রধান খাতে বর্তমান সরকারের সাফল্যগুলো ম্লান হয়ে যাচ্ছে গত এক বছরের সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচকগুলোর নেতিবাচক গতি-প্রকৃতির কারণে। এগুলো হলো:
১. মুদ্রাস্ফীতির হার বৃদ্ধির প্রবণতা বছরজুড়েই জনসাধারণের দৈনন্দিন জীবনের দুর্গতির প্রধান অনুষঙ্গের ভূমিকা পালন করে চলেছে। মূল্যস্ফীতির হার প্রায় ১১ শতাংশ। নির্দিষ্ট বেতন ও মজুরির ওপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠী এবং নিম্নবিত্ত ও প্রান্তিক অবস্থানের শ্রমজীবী মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে দিশেহারা করে দিচ্ছে অব্যাহত উচ্চ মূল্যস্ফীতির দৌরাত্ম্য। সরকারি ব্যাখ্যায় প্রকৃত মজুরি ও প্রকৃত ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির যত তথ্য-উপাত্তই উপস্থাপন করা হোক না কেন, ওই ব্যাখ্যা জনগণকে আশ্বস্ত করতে পারবে না। সম্প্রতি সরকারের জনপ্রিয়তায় ধস নামিয়েছে উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতা।
২. ডলারের তুলনায় টাকার বৈদেশিক বিনিময় হার গত এক বছরে প্রায় ২০ শতাংশ অবনমিত হয়েছে। মানে, এক ডলারের বিনিময় হার ৭০ টাকা থেকে ৮৪ টাকায় উঠে গেছে আনুষ্ঠানিক বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে, আর কার্ব মার্কেটে ডলারের দাম ৯০ টাকায় পৌঁছে গেছে। এ ক্ষেত্রে সরকারি নীতিপ্রণেতাদের অদক্ষতা, ভুল সিদ্ধান্ত ও সমন্বয়হীনতার অভিযোগগুলো উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। মূল্যস্ফীতিকে বারবার উসকে দেওয়ার জন্য টাকার বৈদেশিক বিনিময় হারের এই বিস্ময়কর অবনমনই সবচেয়ে বেশি দায়ী। আর্থিকনীতি, রাজস্বনীতি ও আমদানিনীতি ব্যবস্থাপনার সমন্বয়হীনতা, অদক্ষতা ও দুর্বলতা সংশোধনের পদক্ষেপ গ্রহণ এখনই সরকারের প্রধান অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।
৩. আমদানিপ্রবাহের প্রায় ৪২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেশের বাণিজ্য ভারসাম্যের ঘাটতিকে বিপজ্জনক স্তরে উন্নীত করেছে। কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ প্ল্যান্টগুলোর জন্য ডিজেল ও ফার্নেস অয়েলের আমদানি ব্যয় দ্বিগুণ হওয়াকে এর জন্য প্রধানত দায়ী মনে করা হলেও গত এক বছরের আমদানি বিলের ৪২ শতাংশ উল্লম্ফনকে শুধু জ্বালানি আমদানি দিয়ে ব্যাখ্যা করা যাবে না। আরও গভীরে গিয়ে এর কারণ অনুসন্ধানের জন্য অনুরোধ করছি। দেশ থেকে পুঁজি পাচারকে অনুসন্ধানের ফোকাসে নিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানাব। কারণ, ডলারের কার্ব মার্কেটের দাম ফরমাল মার্কেটের দামের চেয়ে প্রায় ছয় টাকা বেশি। এই অস্বাভাবিক চাহিদাস্ফীতি সমান্তরাল বৈদেশিক মুদ্রাবাজারের ক্রেতাদের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং ডলার কেনার ক্রমবর্ধমান তাগিদের আলামত বহন করছে। বৈধ এলসির মাধ্যমে ওভার ইনভয়েসিং প্রক্রিয়ায় ডলার পাচারের হিড়িকের সঙ্গে কার্ব মার্কেটের অস্বাভাবিক তেজি ভাবকে মিলিয়েই তদন্ত কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।
২০১০ সালে শেয়ারবাজারকে কৃত্রিমভাবে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে যাঁরা লুটপাটের আখড়া বানিয়েছিলেন, তাঁদের নাম খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল। গত এক বছরে তাঁদের গতিবিধি ও লেনদেন তদন্তের আওতায় নিয়ে আসা হোক। বর্তমান সরকারের গত তিন বছর মেয়াদে যারা দুর্নীতি, ঠিকাদারি, কমিশন বাণিজ্য ও মার্জিন শিকার এবং চাঁদাবাজি করে ‘আলাদিনের চেরাগ’ পেয়ে গেছেন, তাঁদেরও তদন্তের টার্গেট করা হোক। দেশের রাঘববোয়াল ব্যবসায়ী গ্রুপের একাংশ বিদেশে ব্যবসা, ঠিকাদারি, নির্মাণ খাত ও রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ এবং শিল্পকারখানা গড়ে তুলেছেন, তাঁরা পুঁজি তো এ দেশ থেকেই পাচার করেছেন অবৈধভাবে। তাঁদেরও তদন্তের আওতায় নিয়ে আসা হোক। কম প্রয়োজনীয় পণ্য ও বিলাসপণ্য আমদানির রাশ টেনে ধরা হোক কঠোরভাবে। এমনকি বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার ও ভারতে ডিজেল পাচার হচ্ছে। বাংলাদেশে ডিজেলের ভর্তুকির কারণে দাম প্রতিবেশী এসব দেশের চেয়ে সস্তা। কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ প্ল্যান্টের মাধ্যমেও ডিজেল চোরাচালান বাড়ছে বলে মাঠপর্যায়ে খবর মিলছে। বিষয়টা কড়া নজরদারির অধীনে আনা হোক।
৪. সরকারের বাজেটঘাটতি মেটাতে এ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে যেভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এবং ব্যাংকিং খাত থেকে সরকারকে ঋণ নিতে হলো, সেটাও সামষ্টিক অর্থনীতি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে দেশে-বিদেশে আস্থার সংকট তৈরি করেছে। গত অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বরাত দিয়ে সংবাদপত্রে একটা হিসাব বেরিয়েছিল, দেশে ২৩ হাজার ২১২ জন কোটিপতি রয়েছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এনবিআর জানাচ্ছে, বাংলাদেশে নাকি কোটি টাকার বেশি আয়কর প্রদানকারীর সংখ্যা পঞ্চাশেরও কম। এ দুটো অঙ্ককে তো মেলানো যাচ্ছে না। আয়কর আদায়ের প্রবৃদ্ধি গত কয়েক বছর ধরে সন্তোষজনক বলে দাবি করছে সরকার। আমার মন তাতে সায় দিচ্ছে না। অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ, আয়কর বিভাগকে ঢেলে সাজানোর কাজে আপনার মেধা ও অভিজ্ঞতাকে আরেকটু জোরদারভাবে প্রয়োগ করুন। দেশে এখন প্রায় ৩০ লাখ টিআইএনধারী রয়েছেন। অথচ আয়কর রিটার্ন দাখিলকারীর সংখ্যা এখনো ১০ লাখের মতো। এখানে বড় ধরনের সংস্কার প্রয়োজন। ড. আকবর আলি খানের নেতৃত্বাধীন রেগুলেটরি রিফর্মস কমিশনকে এই সরকার আসার পর গুটিয়ে ফেলাটা বড়সড় ভুল হয়েছিল। আমি তখন প্রতিবাদও জানিয়েছিলাম। তাঁর মতো একজন সৎ, মেধাবী, নিষ্ঠাবান সাবেক আমলা ও মুক্তিযোদ্ধাকে কাজে লাগাতে পারল না বর্তমান সরকার—এটা জাতির দুর্ভাগ্য। তাঁর নেতৃত্বে ওই কমিশনকে পুনর্গঠিত করা যায় না?
৫. বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নয় বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে। এটা বিপজ্জনক না হলেও অর্থনীতি সম্পর্কে আস্থার ঘাটতি সৃষ্টি করে। বিশেষত, গত এক বছরে প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ কমে যাওয়ায় আমদানিকারকদের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে, বোঝাই যাচ্ছে। ব্যাংকের তারল্যসংকট এবং কম প্রয়োজনীয় পণ্যের এলসি খোলাকে নিরুৎসাহিত করার নীতির কারণে ব্যাংকিং সেক্টরে জোর গুজব রটানো হচ্ছে যে অর্থনীতি সংকটে পড়েছে। উপরন্তু, বেগম জিয়া ‘অর্থনীতি দেউলিয়া হয়ে গেছে’ মর্মে অভিযোগ তোলার পর বিএনপি-জামাতের সক্রিয় সমর্থকেরা এ ধরনের প্রপাগান্ডায় মেতে উঠেছেন। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে ১০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে নিয়ে যেতেই হবে এবং তা ওই স্তরে ধরে রাখতে হবে। প্রয়োজনে মালয়েশিয়ার নজির অনুসরণ করে আবার ‘ম্যানেজড ফ্লোটিং’ ব্যবস্থায় ফিরে যেতে হবে। বাংলাদেশের তথাকথিত ‘উন্নয়ন অংশীদার’ বা দাতারা দুর্নীতির অভিযোগ ভুলে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ আটকে দিয়েছে। ওই অভিযোগ তদন্তাধীন। কিন্তু এ কথাও সত্য, ঋণদাতা ‘বড় ভ্রাতারা’ আওয়ামী লীগকে পছন্দ করে না—এটা বঙ্গবন্ধুর সকারের সময় অকাট্যভাবে প্রমাণিত হয়েছে। অতএব, এসব সংস্থার ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার যাতে আবারও হতে না হয়, সে ব্যাপারে বর্তমান সরকারকে বৈদেশিক ঋণ গ্রহণের ইস্যুতে সতত সজাগ থাকতে হবে। আমি অবশ্য বিষয়টাকে ‘শাপে বর’ হিসেবেই দেখছি। এ বছর জিডিপির শতাংশ হিসাবে ছাড় করা বৈদেশিক ঋণ ও অনুদানের অনুপাত ১ শতাংশেরও নিচে নেমে যাবে। আমি আশা করছি, এ বছর আমাদের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের ওপরেই থাকবে। তাই যদি হয়, তাহলে প্রমাণ হয়ে যাবে যে বৈদেশিক ঋণ আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য মোটেও অপরিহার্য নয়। দেশের অর্থনীতি যে খয়রাতনির্ভরতা কাটিয়ে উঠেছে, এটা কি গুরুত্বপূর্ণ নয়?
অর্থমন্ত্রী সরকারের যেসব সাফল্য ও অর্জনের কথা বলেছেন, সেগুলোর পুনরুক্তির প্রয়োজন নেই। চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে যেটুকু বলেছেন, সেগুলো সামষ্টিক অর্থনীতিতে যে ঝুঁকি ও সমস্যা সৃষ্টি করেছে, সেগুলো নিঃসন্দেহে সংশোধনযোগ্য। তাঁর লেখা পড়েই বোঝা যাচ্ছে, কিছুটা রাখঢাক করে ওগুলোর উল্লেখ করা হলেও তিনি এবং তাঁর সহকর্মীরা পুরোপুরি সজাগ রয়েছেন ওগুলোর মোকাবিলায়। যে ব্যাপারে এ সরকারের প্রকৃত ভুল ও ঘাটতি দেখা যাচ্ছে, তা হলো ‘দুর্নীতি ও দুঃশাসন’, যে অঙ্গীকারের কথা দিয়েই তিনি প্রবন্ধটা শুরু করেছেন। আগামী দুবছরে এই দুই ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্য পরিবর্তন আনতেই হবে সরকারকে। আপনারা কি পারবেন?
 ড. মইনুল ইসলাম: প্রফেসর, অর্থনীতি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

No comments

Powered by Blogger.