আসুন জুমার নামাজ আদায় করি by মাওলানা শাহ্ আবদুস সাত্তার

মুসলমানদের ধর্মীয় জীবনে জুমাবারটি (শুক্রবার) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যবহ। দেখুন এ সম্পর্কে মহান রাব্বুল আলামিন কী বলেছেন, অর্থাৎ :বিশ্বাসীগণ, শুক্রবার দিন যখন জুমার নামাজের (সালাতের) জন্য তোমাদের আহ্বান জানানো হয়, আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আমার নিমিত্ত মন-দিল দিয়ে প্রস্তুত হও, ক্রয়-বিক্রয় পরিহার করো, এতে তোমাদের কল্যাণ বয়ে আনবে, যদি তোমরা তা বুঝতে পার।


শুধু তা-ই নয়, পবিত্র জুমা সম্পর্কে আল্লাহর পেয়ারা হাবিব হজরত রাসূলে করিম (সা.) বলেছেন, মনে রাখবে, সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিবস পবিত্র শুক্রবার। জুমার নামাজ আদায়ে রয়েছে অশেষ কল্যাণ, মঙ্গল। জুমার নামাজ সম্পর্কে আল্লাহর রাসূল (সা.) আরও বলেছেন, যে ব্যক্তি বিনা কারণে তিন জুমার নামাজে যাওয়ায় অবহেলা করে_ সে যেন দ্বীন-ইসলামকে অবজ্ঞা করল এবং তার হৃদয়ে মরিচা পড়ে গেল। হুজুর পাক (সা.)-এর এ বাণী অতীব তাৎপর্যবহ।
মহানবী হজরত রাসূলে মকবুল (সা.) পবিত্র জুমার খুতবার মধ্যে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, নিজের কর্মফলের জন্য ভীত-সন্ত্রস্ত থাকলেও মহান রাব্বুল আলামিনের হাত থেকে পরিত্রাণ পাওয়া খুবই দুরূহ। আল্লাহপাক যেমনি দয়াময়, করুণার আধার_ তেমনি প্রেমময়। আর এ জন্যই তিনি অপকর্ম, পাপাচার, কামাচারের ভয়াবহ পরিণামের কথা বারবার তাঁর বান্দাদের স্মরণ করিয়ে দেন। অতএব আমাদের ঐকান্তিকভাবে স্মরণ করা উচিত। এ শুক্রবারের জুমার নামাজ আদায় হলো, পরের শুক্রবারের জুমার নামাজে শরিক হতে পারব_এর কোনো নিশ্চয়তা আছে কি? এতে কি আমরা বন্ধুর বিদায়ের মতো তিক্ত সাধ পাই না? এ কথা মনে জাগলে অন্তর কেঁপে ওঠে_ সৌভাগ্য, কল্যাণময় আর জামাতে জুমার নামাজ আদায় করতে পারব কি-না!
অতএব আসুন, পবিত্র শুক্রবার দিনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও জাতীয় জীবনের সব ক্ষেত্রে সত্য, ন্যায়, ত্যাগ এবং সৎ কর্ম অর্থাৎ আমলে সালেহর অনুশীলনে উৎসর্গিত হই। বিশেষ করে দেশের সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধির মধ্য দিয়ে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের রহমত, বরকত ও নেয়ামত অর্জনে সমর্থ হই এবং পারলৌকিক জীবনেও মহা সুখ-শান্তি, নাজাত লাভে ধন্য হই। আল্লাহপাক আমাদের এ ফরিয়াদ-মোনাজাত কবুল করুন।
 

No comments

Powered by Blogger.