বিনিয়োগ আসা শুরু হতেই বেছে নেয়া হয়েছে সন্ত্রাসকে- শিবিরের তাণ্ডব, খালেদা জিয়ার বক্তব্য এ প্রমাণ রাখে by শফিকুল ইসলাম জীবন

জামায়াত শিবিরের তা-ব এবং দেশের সামপ্রতিক রাজনৈতিক ঘটনা প্রবাহের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং দীর্ঘস্থায়ী স্থিতিশীলতার সম্ভাবনা হুমকির মুখে পড়েছে।
আনত্মর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে জিয়ার নাম বদলকে কেন্দ্র করে সংসদে বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সর্বশেষ বক্তব্য রাজনীতি এবং কূটনীতিক মহলে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। বেগম খালেদা জিয়া বর্তমান মতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে মেয়াদপূর্তির আগেই বিদায় নিতে হবে বলে হুমকি দিয়েছেন। সংসদে প্রধান বিরোধীদলীয় নেত্রী এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের মধ্যে আবার সেই সহিংস রাজনীতির ইঙ্গিত প্রতিফলিত হয়েছে বলে রাজনীতি বিশেস্নষকরা মনে করছেন। দেশের সামপ্রতিক ঘটনাপ্রবাহ বিদেশী বিনিয়োগকারীদের চিনত্মায় ফেলেছে। দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ নিয়ে তারা এখন সন্দিহান। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার মতা গ্রহণ করার পর দেশের সার্বিক উন্নয়নের েেত্র কিছুটা গতির সঞ্চার হয়। মানুষের মনে আশা জাগে। জনগণ ভাবতে শুরম্ন করে দেশ এখন সত্যিকার পরিবর্তনের দিকে এগিয়ে যাবে। নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী বর্তমান সরকার হাতে নেয় বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্প। যা দেশের অভ্যনত্মরে এবং উন্নয়নসহযোগী দেশ ও সংস্থাগুলোও সরকারের বিভিন্ন কর্মকা-কে স্বাগত জানায়। বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরামের বৈঠকে প্রথমবারের মতো তারা সরকারের সঙ্গে নমনীয় এবং ইতিবাচক মনোভাব দেখায়, যা অতীতের আর কোন বৈঠকে দেখা যায়নি। বৈদেশিক বিনিয়োগেও দেখা দিয়েছিল বিপুল সম্ভাবনা। ২০০৯ সালের জুন মাসে বাংলাদেশে আসে ৯৪ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ, যা আগের বছরের চেয়ে ৩০ কোটি ডলার বেশি। এতে দেশের ছোট ছোট ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের মাঝে আস্থা ফিরতে শুরম্ন করে।
মতা গ্রহণের পর বর্তমান সরকার মানুষের মনে জমানো আতঙ্ক এবং হতাশা কাটিয়ে উঠতে সম হয়। সার্বিক পরিস্থিতি যখন অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অটুট রাখার অনুকূল হয়ে ওঠে ঠিক তখন শুরম্ন হয়ে যায় অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা।
ঘটনাগুলো ঘটছে ধারাবাহিক এবং সুপরিকল্পিতভাবেই। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন ছাত্রকে নির্মমভাবে হত্যা করে ম্যানহোলে গুম করার মধ্য দিয়ে দেশের মানুষের মনে আবার আতঙ্ক দানা বাঁধে। অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশজুড়ে। সংসদে বিরোধী দলের দফায় দফায় ওয়াকআউট এই পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে। এর ওপর পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়ী ও বাঙালীদের মাঝে সৃষ্ট সহিংসতা এবং সিলেটের জৈনত্মাপুর সীমানত্মে উত্তেজনাসহ সার্বিক পরিস্থিতি আনত্মর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের ইমেজ আবার চাপের মুখে ফেলেছে।
বিশেস্নষকরা বলছেন, এমন এক সময় দেশে সহিংস রাজনীতির পথ বেছে নেয়া হয়েছে যখন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এবং দেশগুলো বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে এগিয়ে আসতে শুরম্ন করেছে। বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরামে সমপ্রতি অঙ্গীকার করা হয় যে আগামী দিনগুলোয় বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচনেই তাদের নজর থাকবে সবচেয়ে বেশি। এ ল্যে তারা বিদু্যত, জ্বালানি ও অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ ও কারিগরি সহায়তা বাড়ানোর প্রতিশ্রম্নতি দেয়। এই প্রতিশ্রম্নতি অনুযায়ী কাজ করলে এবং বর্তমান সরকারের নেয়া বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাসত্মবায়ন হলে বাংলাদেশ ২০২১ সাল নাগাদ একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করতে পারে।

No comments

Powered by Blogger.