র্ট এলিজাবেথ টেস্ট- আবার সেই সব হারিয়ে লড়াই

প্রথম ইনিংসে লজ্জা, সব হারিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে লড়াই। পোর্ট এলিজাবেথ অনুসরণ করছে যেন কেপটাউন টেস্টকেই। কিউইরা অবশ্য আপত্তি জানাতে পারেন। নিউজিল্যান্ড তো যথেষ্টই উন্নতি করেছে।
কেপটাউনের প্রথম ইনিংসের ‘৪৫’-এর তুলনায় এখানে ১২১ মানে তো প্রায় তিন গুণ উন্নতি! রানের হিসাবে উন্নতি বটেই। তবে এতে লজ্জা কতটুকু ঢাকছে, সেই প্রশ্ন থাকছেই। কাগজে-কলমের এই উন্নতিটা শেষ উইকেট জুটির লড়াইয়ে। ৬২ রানে পড়েছিল নবম উইকেট, নিউজিল্যান্ড তখন এই মাঠে ১১৪ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম রানে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায়। কিন্তু শেষ জুটিতেই প্রথম নয় জুটির প্রায় সমান রান তুলে ফেললেন বিজে ওয়াটলিং ও ট্রেন্ট বোল্ট। দারুণ এক ফিফটির পর ওয়াটলিংয়ের বিদায়ে যখন ৫৯ রানের জুটি ভাঙল, নিউজিল্যান্ড পেয়ে গেছে ‘সম্মানজনক’ স্কোর!
দ্বিতীয় ইনিংসেও প্রতিরোধ ওয়াটলিংয়ের ব্যাটে। লড়াইয়ে উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যানের সঙ্গী আগের টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি পাওয়া নায়ক ডিন ব্রাউনলি। পঞ্চম উইকেটে দুজনের অবিচ্ছিন্ন ৭৩ রানের জুটিতে তৃতীয় দিন কিছুটা স্বস্তিতে শেষ করেছে নিউজিল্যান্ড। দক্ষিণ আফ্রিকাকে আরেকবার ব্যাট করাতেই যদিও প্রয়োজন আর ২৪৭ রান।
৬ উইকেটে ৪৭ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল নিউজিল্যান্ড। সাতসকালেই টপাটপ তিন উইকেট তুলে নিয়ে আরেকবার স্টেইন পেয়ে যান ৫ উইকেট। ১৯ বার ৫ উইকেট নিয়ে পেছনে ফেললেন মাখায়া এনটিনিকে, স্বদেশিদের মধ্যে তাঁর সামনে আছেন শুধু বর্তমান বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড (২০)। মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়ানো শেষ উইকেটটি নিয়ে মরনে মরকেল পেয়েছেন এখনো পর্যন্ত ম্যাচের একমাত্র উইকেট।
দ্বিতীয় ইনিংসে প্রোটিয়া পেসারদের ভালোই সামলেছেন কিউই ওপেনাররা। তবে এবার ঘাতকের নাম রবিন পিটারসন। খোলসের ভেতর ঢুকেও শেষ রক্ষা হয়নি ম্যাককালামের, এলবিডব্লু পিটারসনের সোজা এক বলে। এই বাঁহাতি স্পিনারের নিচু হওয়া এক বলে বোল্ড উইলিয়ামসন। গাপটিল চেষ্টা করেছেন সাধ্যমতো লড়ার। তবে টানা দুই বলে গাপটিল ও ফ্লিনকে ফিরিয়েছেন ক্লেইনভেল্ট। এরপরই শুরু ব্রাউনলি-ওয়াটলিংয়ের লড়াই। কিন্তু ইনিংস পরাজয় এড়াতেও দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে কিউইদের। ওয়েবসাইট।

No comments

Powered by Blogger.