ক্যাডেটদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী-মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সব সময় ধারণ করতে হবে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ববিরোধীদের ব্যাপারে সব সময় সজাগ থাকতে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ভবিষ্যৎ কর্ণধারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা তোমাদের পবিত্র দায়িত্ব। তাই তোমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সব সময় ধারণ এবং দেশের স্বাধীনতাবিরোধীদের অপকর্মের ব্যাপারে সর্বদা সজাগ থাকতে হবে।' তিনি গতকাল ভাটিয়ারীতে ৬৭তম বিএমএ লং কোর্স এবং ৩৮তম বিএমএ স্পেশাল কোর্সের ক্যাডেটদের কমিশনপ্রাপ্তি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি প্যারেড অনুষ্ঠানে বত্তৃদ্ধতাকালে এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে একটি চৌকস, দক্ষ ও আধুনিক সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
সেনাবাহিনীর নতুন ক্যাডেটরা নিঃস্বার্থভাবে দায়িত্ব পালন এবং দেশ ও জনগণের সেবায় আত্মনিয়োগ করবেন বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, 'চৌকস, আত্মবিশ্বাসী ও দায়িত্বশীল অফিসার হিসেবে তোমরা আজ বৃহত্তর কর্মজীবনে প্রবেশ করতে যাচ্ছ এবং কর্মজীবনে তোমাদের মনে রাখতে হবে, তোমরা এ দেশের জনগণেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমি আশা করি, তোমরা সকলেই জনগণের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নার সমান অংশীদার হবে।'
কয়েকজন মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারা, তিন বাহিনীর প্রধানরা, ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা, কূটনীতিকরা এবং নতুন কমিশন পাওয়া ক্যাডেটদের অভিভাবকরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী বিএমএ প্যারেড গ্রাউন্ডে এসে পৌঁছালে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়া, আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিনের জিওসি মেজর জেনারেল এ কে এম মুজাহিদ উদ্দিন, চট্টগ্রামের এরিয়া কমান্ডার ও ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল সাবি্বর আহমেদ এবং বিএমএ কমান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামসুজ্জামান তাঁকে স্বাগত জানান।
প্রধানমন্ত্রী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন এবং সালাম গ্রহণ করেন। তিনি সেরা ক্যাডেটদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। এ বছর ১০ ফিলিস্তিনি ক্যাডেটসহ মোট ৮৫ জন ক্যাডেট কমিশন লাভ করেছেন। প্রশিক্ষণে সব বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব লাভের জন্য তারিক জুবায়েরকে 'সোর্ড অব অনার' প্রদান করা হয় এবং সামরিক বিষয়ে অসামান্য কৃতিত্ব অর্জনের জন্য হাবিবুল্লাহ খান সেনাবাহিনী প্রধান স্বর্ণপদক লাভ করেন।

No comments

Powered by Blogger.