সংঘাতের রাজনীতি, হিলারি ও প্রণবের সফর by গাজীউল হাসান খান

আগামী নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইস্যুকে কেন্দ্র করে বর্তমান ক্ষমতাসীন মহাজোট ও বিরোধী জোটের দ্বন্দ্ব এখন প্রায় চূড়ান্ত সংগ্রামের পর্যায়ে উপনীতি হয়েছে। এত দিন দেশের শান্তিপ্রিয় এবং কর্মজীবী মানুষ যা আশঙ্কা করেছিল বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর গুম হওয়ার মাধ্যমে তা আরও বদ্ধমূল হলো।


এর পেছনে কার হাত রয়েছে তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, দেশে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা কিংবা আইনের শাসন বহাল রাখার প্রশ্নে সরকারের দায়দায়িত্ব নিয়ে ব্যর্থতার কোনো অবকাশ নেই। কিন্তু দেশে একের পর এক সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ড কিংবা গুমের ঘটনায় সরকার বিতর্কিত কথা বলেছে যত, সে তুলনায় সাফল্য দেখাতে পারেনি মোটেও। তার ওপর সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের অভিযুক্ত 'বস্তাভর্তি ঘুষ কেলেঙ্কারি', অপশাসন এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতাকে কঠোরভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এ ছাড়া পুলিশ পাহারায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট আহূত হরতালের বিরুদ্ধে ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগ কর্মীদের মিছিলের কারণে শুধু দেশে নয়, বিদেশের গণমাধ্যম এবং রাজনৈতিক মহলে এক সর্বনাশা পরিণামের আশঙ্কা ব্যক্ত হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ড, নিখোঁজ ও গুমের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সকারের শ্বাসরুদ্ধকর বর্তমান এই প্রশাসনিক অবস্থায় যেখানে নাগরিক জীবনের কোথাও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলা কঠিন, সেখানে ইলিয়াস আলী গুম হওয়ার মতো একটি ঘটনা বিএনপি নেতৃত্বাধীন নবগঠিত ১৮ দলীয় জোটের হাতে সরকারের বিরুদ্ধে একটি মোক্ষম অস্ত্র বা রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ তুলে দিয়েছে। এখন সরকার যদি বারবার পাল্টা অভিযোগ করতে থাকে যে বিরোধী দলই আন্দোলনের একটি ইস্যু তৈরির জন্য ইলিয়াস আলীকে লাপাত্তা করেছে, তা হলে তাকে খুঁজে বের করার দায়িত্বও কিন্তু সরকারের ওপরই বর্তায়। ইলিয়াস আলীকে সশরীরে উপস্থিত করে সরকারকেই প্রমাণ করতে হবে, এর জন্য বিরোধী জোট বা তার নেত্রীই দায়ী ছিলেন। কিন্তু সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের আগে ও পরে সংঘটিত কোনো অপরাধ কিংবা নিখোঁজ ও গুম হয়ে যাওয়ার ঘটনার কোনো হদিসই দিতে পারছে না। অথচ পত্রপত্রিকা খুললে প্রায়ই পুলিশ কর্মকর্তাদের পদোন্নতির খবর পাওয়া যায়। সেটি কি সাফল্যজনকভাবে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন চালানো কিংবা তাদের দমন করার কারণে?
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পদ্মা সেতুসংক্রান্ত বিশ্বব্যাংকের সৃষ্ট জটিলতা, ভারতের টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ কিংবা আন্তনদী সংযোগ খাল খননের পাঁয়তারা এবং জাতীয় পর্যায়ে বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিং, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের নিয়ন্ত্রণহীন মূল্য বৃদ্ধি, যানজট ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাবনতি এবং সর্বশেষ হরতাল পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ এখন বাংলাদেশের ভবিষ্যত নিয়ে হতভম্ভ। কী হবে শেষ পর্যন্ত? সব কিছুই যেন একে একে দুঃস্বপ্নে পরিণত হচ্ছে। এ অবস্থাতেও জাতীয় জীবনের কোনো ক্ষেত্রেই আমাদের নেই কোনো ঐকমত্য। দেশপ্রেমিক শক্তিগুলো যেন তাদের অলক্ষেই একে একে জিম্মি হয়ে পড়ছে কতগুলো সস্তা স্লোগান এবং সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থ ও আধিপত্যের কাছে। এমন একটি পরিস্থিতিতেই বাংলাদেশ বেশ কিছুটা সহজশর্তে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে একটি মোটা অঙ্কের ঋণ পেয়েছে। সেই অর্থ দেশের জরুরি প্রয়োজন মেটানো এবং প্রকৃত উন্নয়নের কাজে লাগানোর চেয়ে কায়েমি স্বার্থে ব্যবহৃত হলে সরকারকে ভবিষ্যতে জবাব দিতে হবে অত্যন্ত কঠোরভাবে। তা ছাড়া বহু প্রতীক্ষার পর বাংলাদেশ সফরে আসছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন ও ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জিসহ বেশ কয়েকজন বিদেশি প্রভাবশালী রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক ব্যক্তিত্ব। এ মুহূর্তে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর বিভিন্ন কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে একদিকে উভয় রাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্যের প্রশ্নটি যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি রয়েছে নিরাপত্তা ও পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়গুলো। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের জন্য যেমন চাই শুল্কমুক্ত সুবিধা, তেমনি বঙ্গোপসাগরে আমাদের জলসীমায় চাই প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদ আহরণের সার্বভৌম অধিকার নিশ্চিত করা। তা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা জোরদার করতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া আবশ্যক। সে লক্ষ্যে হিলারি ক্লিনটনের আসন্ন সফর যে সুযোগ সৃষ্টি করেছে তাকে সম্পূর্ণভাবে কাজে লাগাতে হবে। গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে কেন্দ্র করে বর্তমান হাসিনা সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ক্ষেত্রে যদি নূ্যনতম কোনো বিরূপ প্রভাব পড়েও থাকে, তাহলে তা সম্পূর্ণভাবে কাটিয়ে ওঠা আবশ্যক। ব্যক্তি কিংবা সমষ্টিগত কোনো দ্বন্দ্ব যেন কোনো মতেই আমাদের জাতীয় স্বার্থকে ক্ষুণ্ন না করে।
তিন দিক থেকে ভারতবেষ্টিত বাংলাদেশের স্বার্থ ও প্রতিবেশী রাষ্ট্রটির সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রয়েছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি যেমন বিশাল, তেমনি বিরাজমান অন্যান্য সমস্যার পরিমাণও ব্যাপক। বিশাল ভারত তার বিভিন্ন সমস্যাসঙ্কুল রাজ্যগুলোর চাহিদা মেটাতে গিয়ে প্রতিবেশীদের স্বার্থের দিকে তাকানোর সুযোগ খুব কমই পায়। বরং বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজের সুবিধা করতে গিয়ে প্রতিবেশীদের জন্য সৃষ্টি করে মহাবিপর্যয়মূলক পরিস্থিতি। তার উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হচ্ছে ফারাক্কা বাঁধ, যার প্রভাব বাংলাদেশে এরই মধ্যে পরিবেশ ও ভূ-প্রকৃতিগত দিক থেকে বহুমুখী সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তেমন একটি পরিস্থিতিতে ভারত আবার তার মণিপুর রাজ্যে শুরু করেছে টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের কাজ। সেসব নিয়ে বাংলাদেশের মানুষ যখন বিভিন্ন আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন ও প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠেছে, তখন ভারত নতুন করে শুনিয়েছে বাংলাদেশের উজানে তার আন্তনদী সংযোগ খাল খননের মাধ্যমে বর্ধিত সেচের জন্য পানি প্রত্যাহারের কথা। এসব প্রশ্নে বাংলাদেশের স্বার্থ কিংবা অস্তিত্ব রক্ষার ব্যাপারে প্রতিবেশী হিসেবে ভারতকে অবশ্যই ভাবতে হবে। কারণ এখানে রয়েছে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বেশ কিছু অভিন্ন নদীর পানিপ্রবাহের বিষয়টি, যেখানে একতরফাভাবে ভারতের কিছু করতে যাওয়া হবে আন্তর্জাতিক আইনের দৃষ্টিতে পরিপন্থী কাজ। যদিও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জির বাংলাদেশ সফরের মূল উদ্দেশ্য হবে বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং ভারত প্রদত্ত এক বিলিয়ন ডলার ঋণের অর্থ ছাড় করতে সাহায্য করা। তবু রাজনৈতিক, সামাজিক ও আঞ্চলিকভাবে পরিবেশগত দিক থেকে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা তুলে ধরে একটি দীর্ঘস্থায়ী সমঝোতায় পৌঁছানো আমাদের জন্য একটি অত্যন্ত জরুরি কাজ। তা না হলে চট্টগ্রাম নৌবন্দরের সঙ্গে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাত রাজ্যের সংযোগ স্থাপন কিংবা যোগাযোগের প্রচেষ্টা হবে বাংলাদেশের জনগণের দৃষ্টিতে আরেকটি নিজ স্বার্থবিরোধী কিংবা আত্মঘাতী কাজ, যা আমাদের মধ্যে বন্ধুত্ব নয়, শত্রুতাকেই অনেক বেশি কার্যকর ও দীর্ঘস্থায়ী করবে।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির ক্ষেত্রে এক চরম অস্থিরতার সময় বিশ্বের দুটি গুরুত্বপূর্ণ দেশের দুজন অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ঢাকা সফরে আসছেন। তাঁদের উভয়ের সঙ্গে আমাদের জাতীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের নেতাদের মতবিনিময় করা অত্যন্ত আবশ্যক বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করেন। আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের বিরোধীদলীয় দাবি, অন্যদিকে সে ব্যাপারে ক্ষমতাসীন সরকারের প্রধানমন্ত্রীর অনড় অবস্থান সমগ্র রাজনৈতিক অঙ্গনকে এখন একটি মুখোমুখি সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছে। এ অবস্থায় পর পর সংঘটিত কয়েকটি হত্যাকাণ্ড, নিখোঁজের ঘটনা এবং বিশেষ করে ইলিয়াস আলীর হঠাৎ গুম হয়ে যাওয়া, পরিস্থিতিকে আরো বিস্ফোরণোন্মুখ করে তুলেছে। সরকার কিংবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দোষী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে এ পর্যন্ত শুধু ব্যর্থতারই পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। এতে জনগণ চরম হতাশাগ্রস্ত। কারণ তারা পরিষ্কারভাবে দেখতে পাচ্ছে, বর্তমানে তাদের জানমালের কোনো নিরাপত্তা নেই। ঘুষ, দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্যসহ সামাজিক অনাচারে সমাজ আকণ্ঠ নিমজ্জিত। কালো বিড়ালদের নিঃশঙ্ক ও অবাধ বিচরণ এখন সমাজ ও অর্থনীতির সর্বত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ অবস্থায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দোহাই দিয়ে কিংবা সন্ত্রাস ও মৌলবাদ জুজুর ভয় দেখিয়ে আর কত দিন মানুষের মুখ বন্ধ করে রাখা যাবে? আইএমএফের মোটা অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ (ঋণ) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন এবং ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জির ঢাকা সফর এবং বিভিন্ন আশাব্যঞ্জক ঘোষণার কারণে বর্তমান সরকার হয়তো সাময়িকভাবে 'একটি নয়া জীবনের ইজারা' পেতে পারে। তবে তার অনেকখানিই নির্ভর করবে বিরোধী ১৮ দলীয় জোটের সঙ্গে তাদের সমঝোতার ওপর। তা না হলে রাজনৈতিক সংঘাত ও হানাহানিতে অনেক জীবনক্ষয় হবে। এতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের ক্ষমতায় টিকে থাকা স্বস্তিকর হবে না। ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান ডাব্লিউ মজিনা বাংলাদেশে আসার পর থেকেই সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে আলোচনার অনুরোধ জানিয়েছেন বারবার। তিনি বাংলাদেশে বিরাজিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা ওয়াশিংটনে স্টেট ডিপার্টমেন্টে জানিয়েছেন। বিস্তারিত তথ্য পাঠিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের কাছে। বাংলাদেশে বিরাজমান সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ওয়াশিংটন কিংবা দিল্লির নিরুদ্বেগ হওয়ার কথা নয়। কারণ তারা কেউ এ মুহূর্তে বাংলাদেশে একটি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ কিংবা রাজনৈতিক সংঘাত দেখতে চায় না। বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় সাধারণ দেশপ্রেমিক নাগরিকদের মতো সবাই চায় এ দেশটিতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসুক এবং গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করুক। ক্ষমতায় গিয়ে দুটি বিশেষ গোষ্ঠী একে অন্যকে চিরতরে রাজনীতি থেকে উচ্ছেদ করার অপপ্রয়াস থেকে বিরত হোক। স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি, ধর্মান্ধতা, সন্ত্রাস, হরতাল ও নৈরাজ্য বন্ধ হোক- এটি সবাই চায়। নয়তো বাংলাদেশে আইনের শাসন কিংবা কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন ও উৎপাদন কোনোটিই সম্ভব হবে না। সে কারণেই আগামী নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে বিরোধীদলীয় জোটের তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি প্রতিষ্ঠার দাবিকে বিবেচনা করার জন্য বর্তমান মহাজোট সরকারের প্রতি অনেকেই আহ্বান জানিয়েছেন। এ দাবি বিবেচনা করা হলে বর্তমান সরকার যেমন একটি সম্ভাব্য রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পরিবর্তে শান্তিপূর্ণভাবে তার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারবে, তেমনি তার উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলোও সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করতে পারবে। এতে দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হওয়ার যেমন খুব বেশি আশঙ্কা থাকে না, তেমনি সংবিধানবহির্ভূত তৃতীয় শক্তির আবির্ভাবের সম্ভাবনাও প্রকট হয়ে দেখা দেয় না।
লেখক : বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাবেক প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক
gaziulhkhan@gmail.com

No comments

Powered by Blogger.