টানা তিন ম্যাচে হার বাংলাদেশের by মিথুন আশরাফ

এক এক করে তিনটি ওয়ানডেই শেষ হয়ে গেল। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের স্বপ্নের জয়টি আর পাওয়া হলো না। দু'দলের মধ্যে আগের ৮ ওয়ানডেতে হয়নি।
এবার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও হলো না। শুক্রবার চট্টগ্রামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ৪৫ রানে হেরে সেই স্বপ্নের আপাতত করম্নণ ইতি ঘটল। সেই সঙ্গে ইংল্যান্ডের বিরম্নদ্ধে টানা ১১ হারের লজ্জা ভোগ করল টাইগাররা।
প্রথম দুই ওয়ানডেতে হেরে আগেই সিরিজ হার নিশ্চিত হয়েছিল। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-০ ব্যবধান ছিল। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে কাল ছিল তৃতীয় ওয়ানডে। এ ম্যাচটি জিতলে ব্যবধান কমত। কিন্তু বাংলাদেশ আবারও সেই হোয়াইটওয়াশই হলো। ২০০৩ সালের পুনরাবৃত্তিই ঘটল।
ছয় বছর আগে প্রথমবার সিরিজ খেলতে এসেছিল ইংল্যান্ড। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছিল ইংলিশরা। এবারও তাই ঘটল। হারের সেই বেড়াজাল থেকে বের হতে পারল না বাংলাদেশ। তাদের পারতে দেননি মূলত কিয়েসওয়েটার। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করে টাইগারদের গায়ে ৰত সৃষ্টি করলেন এ ওপেনার। আর বল হাতে ব্রেসনানও ক্যারিয়ারসেরা বোলিং করলেন। দারম্নণ খেলতে থাকা আফতাব, শাকিবরা শেষ পর্যনত্ম কোনভাবেই কুলিয়ে উঠতে পারলেন না।
ম্যাচে টস জিতে ভুলের শুরম্ন। শাকিব আগে ব্যাট করতে পাঠান ইংলিশদের। ব্যাটিংস্বর্গ চট্টগ্রামের উইকেটে সুযোগটি কাজে লাগায় কুকের দল। কিয়েসওয়েটার ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান। ১০৭ রান করা এ ওপেনারকেই ঠেকাতে পারেননি বাংলাদেশ পেসাররা ও পাঁচ স্পিনার শাকিব, রাজ্জাক, নাঈম, রিয়াদ ও শুভ মিলে। শেষ পর্যনত্ম ইংল্যান্ড গড়ে বিশাল রান, ২৮৪। যা চট্টগ্রামের এ স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় রান। সেই রান অতিক্রম করতে গিয়ে শাকিব, আফতাবরাও প্রথমদিকে ইংলিশ বোলারদের চিনত্মার কারণ হয়ে দাঁড়ান। মাথার ঘাম ফেলতে বাধ্য করেন। একের পর এক পরিকল্পনা অাঁটতে বাধ্য হন ইংলিশরা। তাতে শেষ হাসি ইংল্যান্ড ক্রিকেটাররাই হাসেন। বাংলাদেশের ইনিংসের শুরম্নতেই তামিমের উইকেটের পতন ঘটে। রানের খাতা খোলার আগেই এ ওপেনার সাজঘরে ফেরেন। এর পর ইমরম্নলও একই পথ ধরেন। কিন্তু তা নিয়ে কোনভাবেই দল বিচলিত ছিল না।
আফতাব (৪৬), মুশফিক (৪০), শাকিব (৩৮), রিয়াদ (৩৩) দলকে ভালই রান উপহার দেন। কিন্তু তা যথেষ্ট ছিল না। এর মধ্যে শাকিবের আউটটি নিয়ে হয়েছে 'বিতর্ক'। পিটারসেনের বলে এলবিডবিস্নউ হননি শাকিব। কিন্তু আম্পায়ার মনি আউটের সিদ্ধানত্ম দিয়েছেন। ১৬২ রানে শাকিবের এমন আউটেই মূলত মনোবল হারিয়ে যায় বাংলাদেশের। তখন রিয়াদ আর নাঈমই ছিলেন ভরসা। নাঈমের পর দ্রম্নতই রিয়াদও প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ২১১ রানে ৭ উইকেটের পতন ঘটে। তখনই বাংলাদেশের হার নিশ্চিত হয়ে যায়। এর পর বাকিরা শুধু দলকে সম্মানজনক অবস্থান এনে দিতে লড়াই করেন। শেষ পর্যনত্ম ৫০ ওভার খেলা সম্ভব হলেও জয়ের বন্দর থেকে অনেক দূরেই থাকতে হয়। ২৩৯ রান করতে সৰম হয় বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজ জেতার সঙ্গে দু'হাত ভরে বাংলাদেশ থেকে সাফল্য পায় ইংল্যান্ড। সিরিজসেরা হন মরগান। ম্যাচসেরা হন সেঞ্চুরিয়ান কিয়েসওয়েটার। সেই সঙ্গে দ্রম্নত ফিফটি করার পুরস্কারও কিয়েসওয়েটারের হাতেই শোভা পায়। আর ওয়ানডে সিরিজ জয়ের ট্রফি ওঠে ইংল্যান্ড অধিনায়ক এ্যালিস্টার কুকের হাতে।

No comments

Powered by Blogger.