একুশ শতক- ডিজিটাল বাংলাদেশের সুসংবাদ-দুঃসংবাদ by মোস্তাফা জব্বার

বাংলাদেশের বর্তমান ৰমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ১২ ডিসেম্বর ২০০৮ ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার ঘোষণা দানের প্রায় পনেরো মাস এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের অঙ্গীকারাবদ্ধ সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের বয়স চৌদ্দ মাস হয়ে যাওয়ার পর মাঝে মধ্যেই আমরা এই ঘোষণা এবং কর্মসূচীটি কতটা বাস্তবায়ন হলো এবং কিভাবে একে সামনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সেটি নিয়ে আলোচনা শুনি।
শুরম্নতে যেমনটাই হোক, এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে সরকারের সর্বসত্মরেই একটি আকাঙ্ৰার জন্ম নিয়েছে এবং সেটি নিয়ে এখন জনগণের কেবল কৌতূহল নয় বরং একটি প্রতিজ্ঞা দৃঢ় হচ্ছে। কেবলমাত্র ডিজিটাল টাইম এবং অন্য কিছু নিয়ে ব্যঙ্গ করার সত্মরটাও এরই মাঝে অতিক্রম করে গেছে। তবে এই কথাটিও বলা দরকার যে, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ৰেত্রে যে ধরনের সমন্বয় থাকা দরকার এবং যেভাবে যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি সরকারের ভেতরে গড়ে ওঠা দরকার সেটি এখনও তেমনভাবে লৰ্য করা যাচ্ছে না। ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে হতাশা নেই, সেটিও সত্য নয়। তারপরেও আমি নিজে অনেক বেশি আশাবাদী। কারণ ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে সরকারের ভেতরে এতটা গুরুত্ব তৈরি হবে সেটিই আমি ভাবিনি। তথ্যপ্রযুক্তি নীতিমালা প্রণয়নের সময় বিশেষজ্ঞরা এই দুটি শব্দ এবং তার ধারণাই গ্রহণ করতে রাজি হননি। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে যখন লেখা হয় তখনও এটি নিয়ে তেমন আগ্রহ চোখে পড়েনি। তবে শেখ হাসিনা যখন একে সিরিয়াসলি গ্রহণ করেন তখন এটি দল ও সরকার উভয় পর্যায়েই ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়েছে। যদিও ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের কাজের গতি বর্তমানের চাইতে বহুগুণ বেশি হওয়া উচিত, তবুও আশাবাদ আমাদের সাহসী করছে। ডিজিটাল বাংলাদেশকে ঘিরে কয়েকটি আশাবাদ ও একটি দুঃসংবাদের কথা এখানে তুলে ধরছি। স্মরণ করতে পারেন, সরকারের অবয়বটি এত বড় এবং সার্বিকভাবে তথ্যপ্রযুক্তি বা ডিজিটাল বাংলাদেশের ক্যানভাসটি তার চাইতে আরও বড় বিধায় আমার হাতের কাছে সব খবর পেঁৗছায় না। যেমন করে ভালোটা পৌছায় না তেমন করে খারাপটারও খবর আমি পাই না। আমি কেবল আমার নিজের কাছে দৃশ্যমান কয়েকটি বিষয়কেই এখানে তুলে ধরছি। ভবিষ্যতে আরও কিছু বিষয়ে মনত্মব্য করা সম্ভব হবে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়ে সরকারী মেলা : গত ৪, ৫, ৬ মার্চ ২০১০ ঢাকার বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটারে প্রথমবারের মতো দেশের মানুষের সামনে তুলে ধরা হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার ৰেত্রে সরকারের পদৰেপগুলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মেলার উদ্বোধন করেন এবং এর মধ্য দিয়ে দেশবাসী প্রথমবারের মতো ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলায় সরকারের প্রস্তুতি দেখতে পায়। এর আগে আমরা তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বাণিজ্য সংগঠনগুলো ডিজিটাল বাংলাদেশকে সেস্নাগান হিসেবে নিয়ে একাধিক মেলার আয়োজন করেছি। আমাদের বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির একুশের স্বপ্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ, টুয়ার্ডস ডিজিটাল বাংলাদেশ বা ওয়ে টু ডিজিটাল বাংলাদেশ, সফটওয়্যার সমিতি বেসিসের ডিজিটাল বাংলাদেশ ইন এ্যাকশন ইত্যাদি সেস্নাগানের কম্পিউটার মেলা মানুষ দেখেছে। এসব মেলায় কার্যত আমরা হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার পণ্য ও সেবা দেখিয়েছি। সরকারের এই মেলার মূল ভিত্তিটা হবে সেবা। বিশেষত সরকার জনগণকে কিভাবে ডিজিটাল পদ্ধতির সেবা দিচ্ছে বা দিতে পারে তা দেখানো হয়েছে। একই সঙ্গে মেলার পাশাপাশি মোট সাতটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে যাতে ডিজিটাল বাংলাদেশের গুরম্নত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আলোচিত হয়েছে। এসব সেমিনারে সরকারের নীতিনির্ধারকদের উপস্থিতি সেমিনারের বিষয়গুলোকে কাজে পরিণত করতে সহায়ক হবে বলে আমি মনে করি।
অনলাইন কমিউনিটি সম্মেলন : গত ২৬ ফেব্রম্নয়ারি ২০১০ ঢাকার শাহবাগের গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তনে আয়োজিত হয় অনলাইন কমিউনিটি সম্মেলন। মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের স্পন্সরশিপে আয়োজিত এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন শিৰামন্ত্রী নুরম্নল ইসলাম নাহিদ। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক সমকালের সম্পাদক গোলাম সারোয়ার এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হয় আমাকে। সম্মেলনের আয়োজনে অংশগ্রহণকারীর বিষয়টিতে দৈন্যদশা চোখে পড়েছে। এতে খুব বেশি মানুষ বা প্রয়োজনীয় মানুষ যোগ দেয়নি। পুরো হলঘরের বেশির ভাগ খালি ছিল। আমি ধারণা করি, আয়োজকরা সঠিকভাবে অনুষ্ঠানটির প্রচার করতে পারেননি। দিনটি শুক্রবার বলেও সঙ্কট হতে পারে। নিবন্ধন বা অন্যান্য জটিলতাও থাকতে পারে। সেই অনুষ্ঠানে যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের চাইতে শত শত গুণ মানুষ এখন অনলাইনের সঙ্গে যুক্ত। বাংলাদেশের তরম্নণ-তরম্নণীরা অনলাইনে যদি এমন একটি অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পেতো তবে তাতে উপচে পড়া ভিড় হতো। আমি ধারণা করি, প্রধানত প্রবাসী বাঙালীরা এর আয়োজন করেছে বলে স্থানীয় অনলাইন গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে তাদের যোগাযোগ হয়ে ওঠেনি। যাই হোক, আমার জন্য মূল আশাবাদ ছিল শিৰামন্ত্রী নুরম্নল ইসলাম নাহিদের দেয়া তথ্যগুলো। তিনি সম্মেলনের উদ্বোধন করতে গিয়ে অত্যনত্ম দৃঢ়তার সঙ্গে জানালেন যে, ২০১১ সালে নবম শ্রেণীতে কম্পিউটার শিৰা বাধ্যতামূলক করা হবে। সরকার স্কুলগুলোকে বিপুল পরিমাণ কম্পিউটার দেবে এবং ছাত্রছাত্রীরা যাতে কম্পিউটারের সঙ্গে পরিচিত হতে পারে তার জন্য সরকার এরই মাঝে ১৭টি ভ্রাম্যমাণ কম্পিউটার ল্যাব তৈরি করেছে। এতে কম্পিউটার, প্রজেক্টর, ইন্টারনেট ইত্যাদি রয়েছে। মাইক্রোবাসে বসানো এসব ল্যাব প্রথম বছরে অনত্মত এক হাজার স্কুলে পেঁৗছাবে বলেও তিনি আশাবাদী। আমি নাহিদকে বাসের পাশাপাশি নৌকায় কম্পিউটার ল্যাব তৈরি করে করে সেগুলোকে হাওর এলাকা বা নিম্নাঞ্চলে পাঠানো অনুরোধ করলে তিনি সেটি করবেন বলে প্রতিজ্ঞা করেন। তিনি আরও জানালেন, কম্পিউটার বিষয়টি সব কাসের পাঠ্যপুসত্মকেই থাকছে। ফলে হাতে কলমে কম্পিউটার শেখা যাক বা না যাক কম্পিউটার বিষয়ে তত্ত্বীয় জ্ঞান শিৰার্থীরা অবশ্যই পাবে। যদিও মাত্র দশ মাস ধরে নবম শ্রেণীতে বাধ্যতামূলক কম্পিউটার শিৰা চালু করার ব্যাপারে উপকরণ ও শিৰক নিয়োগের ৰেত্রে আমি তেমন কোন বড় পদৰেপ দেখি না, তবুও শিৰামন্ত্রীর ওপর আস্থা রেখে আশাবাদী হচ্ছি।
তিনি একটি চমৎকার তথ্য সেদিন দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমাদের গ্রামের স্কুলগুলোতে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, জীববিজ্ঞান ইত্যাদি বহুদিন ধরে পড়ানো হয়। সে সব বিষয়ের যথাযথ পরীৰাগার স্কুলগুলোতে নেই। এজন্য এসব বিষয়ের পড়াশোনা বন্ধ করে দেয়া হয়নি। এমনি করে স্কুলে সব ছাত্রছাত্রীর জন্য কম্পিউটার ল্যাব না থাকলেই কম্পিউটার পড়ানো যাবে না_সেটি সঠিক নয়। তিনি বইতে হলেও কম্পিউটার পাঠ্য করার সিদ্ধানত্মের কথা জানান।
আমি সবচেয়ে বেশি আনন্দিত হয়েছি যখন মন্ত্রী নিজে বললেন যে, আমাদের শিৰা প্রতিষ্ঠানগুলোর পাঠদান পদ্ধতি বদলানো দরকার এবং ডিজিটাল যন্ত্রের সহায়তায় পাঠ দিতে হবে। তিনি একই সঙ্গে দূরশিৰণ, ভিডিও কনফারেন্সিং এবং অনলাইন শিৰা ও শিৰা ব্যবস্থাপনার কথা বললেন। এই কথাগুলো আমি অনেক দিন যাবতই বলে আসছি। কিন্তু সরকারের কোন পর্যায়ের নীতিনির্ধারকদের মাথায় সেটি প্রবেশ করেনি। এবারই প্রথম কোন শিৰামন্ত্রীকে এভাবে শিৰা দান পদ্ধতির পরিবর্তনের কথা বলতে শুনলাম।
স্কুলে কম্পিউটার ল্যাব : ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ৰেত্রে একটি গুরম্নত্বপূর্ণ পদৰেপ হতে যাচ্ছে দেশের প্রতিটি থানা-উপজেলার অনত্মত দুটি করে স্কুলে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করার সিদ্ধানত্ম বাসত্মবায়ন করা। এসব স্কুলের প্রতিটিতে পাঁচটি করে কম্পিউটার-প্রিন্টার, ইউপিএস ও আসবাবপত্র থাকার পাশাপাশি মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর থাকছে। সরকারের বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় প্রকল্পটি বাসত্মবায়ন করছে। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এর বাসত্মবায়নে টেন্ডার আহ্বান থেকে কার্যাদেশ প্রদান পর্যায়ে পেঁৗছে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এবারের জুনের আগেই প্রকল্পটি বাসত্মবায়িত হয়ে যাবে। জানা গেছে, কম্পিউটার কাউন্সিল মেট্রোপলিটান এলাকার ২ শ' স্কুলেও দশটি করে আরও দুই হাজার কম্পিউটার বিতরণ করছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় কলেজগুলোতেও ছয় শতাধিক কম্পিউটার প্রদান করা হচ্ছে।
প্রতি থানা-উপজেলায় তথ্য কেন্দ্র : চলতি বাজেটে থোক বরাদ্দ হিসেবে প্রদান করা ১০০ কোটি টাকায় স্কুলের কম্পিউটার ল্যাব গড়ে তোলার পাশাপাশি এবার গড়ে তোলা হচ্ছে প্রতিটি উপজেলা-থানায় অনত্মত একটি করে ডিজিটাল তথ্য কেন্দ্র। দেশজুড়ে এমন কেন্দ্র হবে মোট ৬৪০টি। এই উদ্যোগটিও বাংলাদেশের গ্রামের মানুষের সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তির একটি সেতুবন্ধন গড়ে তুলবে। চলতি অর্থ বছরে এই প্রকল্পটির বাসত্মবায়ন সম্পন্ন হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ডিজিটাল এক্সপো ও এসোসিও মাল্টিলেটারাল ট্রেড ভিজিট : চলতি বছরের মার্চ মাসের ৩১ তারিখ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যনত্ম ঢাকার শেরাটন হোটেলে আয়োজিত হচ্ছে বিসিএস ডিজিটাল এক্সপো ২০১০ এবং এসোসিও মাল্টিলেটারেল ট্রেড ভিজিট। এটির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে এশীয় অঞ্চলের অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। এর ফলে বাংলাদেশের ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচী এশীয় অঞ্চলের দেশগুলোর কাছে ব্যাপকভাবে পরিচিত হবার সুযোগ পাবে। আশা করা হচ্ছে, ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচী ঘোষণা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসোসিওর কাছ থেকে পুরস্কৃত হবেন।
আইটিইউর মহাসচিবের সফর : সামনের মার্চ মাসের শুরম্নতে ইন্টারনৗ্যাশনাল টেলিকম ইউনিয়নের মহাসচিব বাংলাদেশ সফর করেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচীর ধারণাপত্র উপস্থাপন করা হয়। সেখানে একটি ডিজিটাল ভিডিও প্রদর্শন করা হয় যেখানে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নটি দেখানো হয়েছে।
দুসংবাদ-বেসিসের নির্বাচন ভ-ুল : ওপরে অনেকগুলো সুসংবাদ পেশ করা হলো। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য অনেক আশাবাদের কর্মসূচীর কথা আমি বলেছি। ধারণা করি, এগুলো কেবল সফল হবে না, এসবের পথ ধরে আরও নতুন নতুন ও কার্যকর কর্মসূচী বাসত্মবায়িত হবে। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচী বাসত্মবায়নে বেসরকারী সংস্থা-বিশেষ করে আইসিটি খাতের বাণিজ্য সংগঠনগুলো কার্যকর ও বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে। বস্তুত বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচীর প্রবক্তা। সবাই হয়তো জানেন যে, এই খাতে মোট তিনটি সংগঠন কাজ করে। একটি হচ্ছে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি। অন্য দুটি হলো ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার সমিতি এবং বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এন্ড সার্ভিসেস বা বেসিস নামে সমধিক পরিচিত একটি সমিতি। এসব সমিতি তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশে অত্যনত্ম গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এসব সংগঠন গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত কমিটি দ্বারা পরিচালিত হয়। বিসিএস এবং আইএসপিএবি যথাসময়ে নির্বাচন করে এবং নতুন নেতৃত্ব সংগঠন দুটির দায়িত্ব গ্রহণ করে। বিগত ডিসেম্বরে যথাসময়ে বিসিএসের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের এপ্রিলে বেসিসের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানটির একজন সাধারণ সদস্য হিসেবে আমি বিস্ময়ের সঙ্গে লৰ্য করেছি যে, পর্যাপ্ত সংখ্যক ভোটার নেই এই অজুহাতে বেসিসের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। বাণিজ্য সংগঠনের বিধিমালা অনুসারে যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে সংগঠনটিতে সরকারী প্রশাসক বসে যায় এবং এর চলমান গতি ব্যাহত হয়। আমি এটি ভাবতেই পারিনি যে, বেসিসের মতো একটি সংগঠন কেন ভোটারের সংখ্যার অজুহাতে নির্বাচন বাতিল করল। সফটওয়্যার ও সেবাখাতের এই সংস্থাটির এই অবিমৃষ্যকারিতা পুরো তথ্যপ্রযুক্তি খাতের জন্যই দুঃসংবাদ।

ঢাকা, ৬ মার্চ ২০১০ ॥ লেখক তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, কলামিস্ট, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান-সাংবাদিক, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যার এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রণেতা ॥ ই-মেইল ঃ সঁংঃধভধলধননধৎ@মসধরষ.পড়স, ওয়েবপেজ: িি.িনরলড়ুবশঁংযব.হবঃ

No comments

Powered by Blogger.