নামের বড়াই আর তপ্ত কড়াই by ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ

আত্মমর্যাদাবোধ থাকলে বাংলাদেশের কোন মতাসীন নেতা-নেত্রীর উচিত হবে না নিজেদের বা নিজ নেতাদের নামে কোন স্থাপনার নামকরণ করা। কারণ নেতিবাচক প্রতিযোগিতার রাজনীতি এখন এত নিম্ন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে, প্রতিদিনই লাঞ্ছিত করা হচ্ছে মহান জাতীয় নেতাদের।
বেঁচে থাকার আকাঙ্ৰা মানুষের চিরকালীন। কিন্তু কথা হচ্ছে বেঁচে থাকব কেমন করে! নশ্বর দেহকে চিরকাল বাঁচানো যাবে না। তবুও যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকার জন্য চেষ্টা করে গেছেন মতাধর ও অর্থশালী মানুষ। সাধারণ মানুষের কোন মতা নেই। তাই অবিনশ্বর হওয়ার আকাঙ্ৰাও নেই। মানুষের মাঝে বেঁচে থাকতে সামথর্্যবানরা সকল যুগেই নানা পথ খুঁজে নিয়েছেন। আগে ধনাঢ্য বণিক বা জমিদাররা নিজ গাঁটের টাকা খরচ করে জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান গড়তেন। তৈরি করতেন স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মন্দির। পুকুর-দীঘি কাটাতেন। সেখানে দাতা বা নির্মাতা হিসেবে নিজ নাম লেখা হতো। বা বাবা- দাদার নাম উজ্জ্বল করতেন। মানুষ সানন্দে শ্রদ্ধায় তা গ্রহণ করত।
কোন কোন মানুষ বেঁচে আছেন কর্মগুণে। দেশের জন্য জীবন দিয়ে। জনগণের জন্য রাজনীতি করে। ভাষার জন্য প্রাণ দিয়ে। এগুলো গুণী, ত্যাগী মানুষের অর্জন। পরবতর্ী সময়ে আসা কোন দুর্বৃত্তের প েএসব অর্জন ছিনিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। তবে বিপত্তি বাধে সেসব জাহির করা নামে যা নিজ গুণে নয়, মতার আসন গুণে আরোপিত হয়। আর সে ঘটনা যদি ঘটে আমাদের দেশের মতো স্পর্শকাতর, নিমরম্নচির ও ঈর্ষাপরায়ণ রাজনীতির বলয়ে।
এদেশের রাষ্ট্রমতায় যখন এরশাদ থাকেন তখন সরকারী টাকায় বা বিদেশী অনুদানের টাকায় নানা স্থাপনা তৈরি করে নাম দেয়া হতে থাকে এরশাদ অমুক এরশাদ তমুক। যেন পৈত্রিক তালুক। আবার বিএনপি মতায় থাকলে জিয়া-খালেদা জিয়া অমুক জিয়া-খালেদা জিয়া তমুক। আওয়ামী লীগ মতায় থাকলে শেখ হাসিনা অমুক এবং তমুক হতে থাকে। এটুকু না হয় সহ্য করা যায়, কিন্তু অসহ্য হয় মতার পালাবদল ঘটলে যে অসহিষ্ণুতা দেখা যায় তা অবলোকন করে। ভাব দেখে মনে হয়, বিরোধী পরে নেতা-নেত্রীর নাম গুরম্নত্বপূর্ণ জায়গায় থেকে গেলে তাঁরা এত প্রবল হয়ে যাবেন যে তাতে বিপন্ন হবে অন্যপরে অসত্মিত্ব। এ কারণেই নিম্নমানের প্রতিযোগিতার রাজনীতিতে এক দল মতায় থাকলে অপর দলের নেতাদের নামফলক নামিয়ে, মু্যরাল ভেঙ্গে নিজ নেতা-নেত্রীর নাম প্রতিস্থাপন চলতে থাকে। এসব কাজে কখনও জনমত বিরূপ হওয়ার আশঙ্কা থাকলে তৃতীয় নাম ব্যবহার করে প্রতিপরে প্রতি একহাত নেয়ার চেষ্টা চলতে থাকে। সেসব নাম বাছা হয় ধমর্ীয় স্পর্শকাতর অঞ্চল থেকে। যাতে সংুব্ধের বুক ফাটে তো মুখ ফাটে না দশা হয়। একে তো জনগণের টাকায় গড়া স্থাপনা জনগণের অনুমোদনের ধার না ধেরে নিজেদের অয় করার চেষ্টা, আবার রশি টানাটানির নাম পরিবর্তনে নতুন করে জনগণের কোটি কোটি টাকা খরচ করা। এসব আচরণ অতিনিম্নমানের রাজনীতির অসংস্কৃত আচরণ। এ ধারার নিচু মানসিকতা দেখে মনে হয় না বাংলাদেশের গৌরবময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কিছুমাত্র ছুঁয়ে গেছে এদেশের রাজনীতিকদের চেতনায়। দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য কোন জরম্নরী ইসু্য নয় এসব আরোপিত নাম অন্যপ বাতিল করলে আন্দোলনের জন্য ডাক দেয়া হয়। এ জন্য সাধারণ মানুষের জানমালের তি হয়। এমনি সব আমাদের 'গণতান্ত্রিক সরকার!'
নশ্বর দেহকে মানুষের মধ্যে অবিনশ্বর রাখতে হলে কোন আরোপিত নামফলক কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে না। বরং অসুস্থ প্রতিযোগিতার কারণে মানুষের মনে আসন পেতে বসা প্রাতঃস্মরণীয় নেতাদের বিদেহী আত্মা বারবার লাঞ্ছিত হয়।
সাত হাজার বছর আগে মেসোপটেমিয়ার সুমেরে নাম না জানা এক মহাকবি যা উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন আমাদের এ সময়ের নেতানেত্রীরা তার ছিটেফোঁটাও বুঝতে চান না। সুমেরে কিউনিফর্ম লিপিতে কাদামাটির সেস্নটে লেখা হয়েছিল গিলগামেশের মহাকাব্য। মহাশক্তিধর রাজা গিলগামেশ কাউকে পরোয়া করতেন না। সৃষ্টি জগত যেন তাঁরই ইচ্ছের দাস। গিলগামেশের অমন দাপটে ঈর্ষাকাতর হয়ে পড়লেন স্বর্গের দেবতারা। গিলগামেশকে শায়েসত্মা করতে সকল দেবতার শক্তি দিয়ে বানালেন এনকেদু নামের এক অতিমানব। শুরম্ন হলো এনকেদু আর গিলগামেশের মধ্যে যুদ্ধ। দুই বীর কেউ কাউকে পরাসত্ম করতে পারে না। বীরে বীরে দ্বন্দ্ব আর কতটা সময় গড়াবে! অবশেষে উভয়ের মধ্যে হয়ে যায় বন্ধুত্ব। এতে ুব্ধ হলেন দেবতারা। বিশ্বাসঘাতকতা করেছে এনকেদু। তাঁরা অভিশাপ দিলেন এনকেদুকে। সেই অভিশাপে গিলগামেশের চোখের সামনে ধুঁকে ধুঁকে মারা গেল এনকেদু।
এই দৃশ্যে ভাবানত্মর হলো গিলগামেশের। বুঝলেন মৃতু্যর কাছে সবাই অসহায়। তাই তিনি ছুটলেন অমরত্বের সন্ধানে। শেষ পর্যনত্ম হাতে পেলেন অমৃত। কিন্তু অখণ্ডনীয় বিধির বিধানে সে অমৃত ভোগ করতে পারলেন না। এরপর নতুন উপলব্ধি হলো তাঁর। গিলগামেশ বুঝলেন মানুষের অমরত্ব দেহে নয়_তার কর্মে। অতঃপর তিনি মানবকল্যাণে নিজেকে নিবেদন করলেন। আর এই কর্মই গিলগামেশকে অমর করল। যে কারণে আজও আমরা গিলগামেশকে স্মরণ করছি।
কিন্তু এ সব ধর্মকথা এদেশের অসুস্থ রাজনীতিতে মানাবে না। যে দেশের সাংসদরা গণতন্ত্র আর জনকল্যাণের কথা বলার জায়গা মনে করেন না পবিত্র সংসদকে। সংসদ হয়ে যায় তাঁদের খিসত্মিখেউড়ের উত্তপ্ত কড়াই, সে দেশে মননশীলতার জায়গা কোথায়! নিম্নমানের পাল্টাপাল্টির রাজনীতির ছকে আটকে গেছে রাজনীতির মেধা। মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদে জিয়াউর রহমানকে খুনী বললেন। আর যায় কোথায়! পরদিনই প্রতিশোধের আগুনে দগ্ধ বিএনপির তরম্নণ তুকর্ী সাংসদ জিয়াউর রহমানের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবেই যেন পাল্টা আঘাত হানলেন বঙ্গবন্ধুর প্রতি। রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধুর অবস্থান, মানুষের মনে তাঁর আসন আর পৃথিবীজুড়ে তাঁর অবস্থান ইত্যাদির কোন পরোয়া না করে প্রায় অপ্রাসঙ্গিকভাবেই বঙ্গবন্ধুকে খুনী বলে এক হাত নিয়ে নিলেন। জানি না, এসব বলতে পারলে দলে এদের মর্যাদা বাড়ে কি-না। মতাধর দলীয় সভানেত্রী এতে বাহবা দেন কিনা। বিএনপির সাংসদের মর্যাদা বাড়ল কি কমল তা দেখার দায় কি আওয়ামী তরম্নণ সাংসদের! বঙ্গবন্ধুকে খুনী বলেছে শত্রম্নপ, তাহলে তিনি ছেড়ে কথা বলবেন কেন? খিসত্মিখেউড় কি তাঁরও কম জানা! কোন সভ্যতা-ভব্যতার ধার না ধেরে তিনি তীর ছুড়লেন সোজা খালেদা জিয়ার দিকে। শুধু জাতীয় নেত্রী বলে নয়, যে কোন ভদ্রমহিলার প্রতি সামান্য সম্মান রেখে কথা বলা যে সাধারণ ভদ্রতা, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হওয়া অনেক সাংসদের তা জানা আছে বলে মনে হলো না। বললেন বিএনপি নেত্রী পাতলা শাড়ি পরেন, ভ্রূ কাটেন, নামাজ পড়েন না। টেলিভিশনে সংসদ অধিবেশনের সম্প্রচার দেখছিলাম আর লজ্জায় অধোবদন হচ্ছিলাম। মনে মনে কামনা করছিলাম বাংলাদেশের সর্বত্র যেন বিদু্যত বিভ্রাট ঘটে। সাধারণ মানুষ এসব অমৃত বচন দেখা ও শোনা থেকে বেঁচে যাক। বার বার মনে হচ্ছিল কতর্ৃপকে নিবেদন করি, টেলিভিশনে সংসদ অধিবেশন প্রচার বন্ধ করতে। অশস্নীল ছবি ড্রইং রম্নমে পরিজন নিয়ে দেখা যেমন বিব্রতকর মেধাবী সাংসদদের অমন খিসত্মি শোনাও সমান বিব্রতকর। মহান সংসদকে যাঁরা ভাগাড় বানিয়েছেন তাঁরা সেখানে বসে যত খুশি যেমন ভাষায় খুশি গিবত গাইতে পারেন। আমাদের এখন বড় চাওয়া সাধারণ মানুষ যেন কলুষিত না হয়।
এমন রাজনৈতিক পরিবেশেই এখন নামকরণ উচ্ছেদ ও প্রবর্তন মতাসীনদের কাছে প্রাগ্রাধিকার হয়ে গেছে। নির্বাচনী ইশতেহার কী ছিল, তার কতটা বাসত্মবায়িত হয়েছে, কতটা হয়নি তা খোঁজ করার সময় কোথায়! দৃষ্টি এখন প্রতিপরে দিকে। তারা বিখ্যাত হয়ে গেলেন কিনা। এর প্রভাবে রাজনীতিতে তাঁরা কতটা তিগ্রসত্ম হবেন সেসব নিয়ে মেধা খরচে মাতোয়ারা সবাই।
নামকরণ নিয়ে গাড়ল রাজনীতিবাজি সকলেই করেছে। কোন্ দল বেশি করেছে, কোন্ দল কম করেছে এসব অবানত্মর প্রশ্ন। রম্নচিটা নিম্নমানের হলে তার পরিমাপ জরম্নরী কিছু না। জোট সরকারের সময় নাম ছিনতাই ও রূপানত্মরিত নাম বসানোর ঘটনা বেশি ঘটেছে। পাঠক এর তালিকা পেতে চাইলে গত ১৭ ফেব্রম্নয়ারির জনকণ্ঠ পড়ে নেবেন। আবার এই বিএনপিই সব ভুলে জিয়া আনত্মর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম পাল্টানোয় আন্দোলনের ডাক দিচ্ছে। যদিও ব্যক্তিগতভাবে আমি এবং আমার মতো অনেকেই সরকারের এমন অপ্রয়োজনীয় সময় ও মেধা খরচের কারণ খুঁজে পাই না, তবুও মনে করি অতীত অপকর্মের কারণেই বিএনপির এসব আন্দোলনের ডাক কিছু নেতাকমর্ীর লম্ফঝম্পেই সীমাবদ্ধ থাকবে। সাধারণ মানুষকে ছুঁয়ে যাবে না। দীর্ঘদিন ধরে যে নামটি দেশে-বিদেশে পরিচিত ও প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে, মাঘেন্না করে হলেও তা রেখে দিলে কতটা তি হতো? নাকি প্রতিশোধ-জিঘাংসা? একই নিম্ন রম্নচির প্রকাশ ঘটিয়েছিল জোট সরকার। বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু থেকে বঙ্গবন্ধুকে ছেঁটে ফেলে দিয়েছিল। এবার নিশ্চয়ই প্রতিশোধ নিতে পেরে আর যোগ্য শিা দিতে পেরে সুখে নিদ্রায় যেতে পেরেছে আওয়ামী লীগ। জাতির দুর্ভাগ্য, দুই বিবদমান দলের টানাহেঁচড়ায় আমাদের মহান জাতীয় নেতারা বার বার অপদস্থ হন।
যেদেশে সমস্যার অনত্ম নেই। দ্রব্যমূল্যে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে না সরকার, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে প্রতিনিয়ত, সরকারের শুভ পদপে বানচাল করতে সক্রিয় ষড়যন্ত্রকারীরা, দলীয় নৈরাজ্য সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে, পার্বত্য অঞ্চলে জ্বলছে আগুন, ধর্মব্যবসায়ী আর জঙ্গীদের অশুভ থাবা ক্রমে হচ্ছে বিসত্মৃত; সেখানে প্রতিহিংসা চরিতার্থের জন্য এমন বাজে সময় ব্যয় কেন করছে মন্ত্রিসভা? জনস্বার্থে এ সবের ভূমিকা কতটুকু?
আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর নিয়ন্ত্রকদের মানসিক গড়ন যেমন, তাতে এই পাল্টাপাল্টির রাজনীতির সংস্কৃতি সহসা পরিবর্তিত হবে বলে মনে হয় না। গত তিন সপ্তাহ আগের এই কলামে লিখেছিলাম য়িষ্ণু বিএনপির আবার ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব মহাজোট সরকার সঠিক রাসত্মায় না হেঁটে ভুল করতে থাকলে। এখন মনে হচ্ছে মহাজোট সরকার সে সুযোগ বিএনপিকে দেবে বলেই ঠিক করেছে। তবে এতে বিএনপি সমর্থকদের খুব আনন্দিত হওয়ার কিছু নেই। সরকারের ভুল ধারণ করে তা প্রয়োজনে ব্যবহার করার মতো কুশলী রাজনৈতিক দৃঢ়তা এখনও দেখাতে পারছে না। দীর্ঘদিন সংসদে না এসে এমনিতেই মানুষের সামনে বিএনপি একটি নেতিবাচক অবয়ব নিয়ে দাঁড়িয়েছিল। যেভাবেই হোক সংসদে ফিরে আসায় তবুও মুখ রা হয়েছে। এখানে দায়িত্বশীল বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করলে সাধারণ মানুষের সহানুভূতির জায়গায় ফিরতে পারত। কিন্তু সাধারণ টিভি দর্শক শব্দ চয়ন, ওয়াক আউট আর ফাইল ছোড়ার ধরণ দেখে বুঝতে পারছে বিএনপি সংসদীয় কার্যক্রম ও বিল প্রণয়নে তাদের অংশীদারিত্ব রাখতে চায় না। সদস্যপদ ধরে রাখার জন্য সংসদে উপস্থিত হওয়া। তাদের নিশ্চয়ই অজানা নয় যে, কোন পই প্রকৃতপ েগণতন্ত্রের সেবক নয়। সুবিধাজনক অবস্থানে বসে আওয়ামী নেতৃত্ব তাদের উস্কাতেই পারে। কিন্তু সবচেয়ে মুশকিল হচ্ছে সংসদে নিজেদের মুখ্য বক্তার স্থূল বাকপটুত্ব দরকার, না মেধাবী কুশলী বাকপটুত্ব দরকার তা বিএনপি নেতৃত্ব বুঝে উঠতে পারেনি। এর সাথে আবার যুক্ত হচ্ছে আরও কতিপয় তরম্নণ দোহার। ফলে বিএনপি মানুষের সহানুভূতির জায়গায় আসতে পারছে না। জামায়াতের প্রতি এমনিতেই সাধারণ মানুষের ােভ ও বিতৃষ্ণা রয়েছে। এর মধ্যে রাজশাহীতে শিবিরের নির্মমতার পর এই ােভ বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ঠিক এমন প্রোপটে কৌশলী ভূমিকায় না গিয়ে বিএনপি নেতারা জামায়াতের সাথে 'তাদের বন্ধুত্ব কেউ ভাঙতে পারবে না' ধরনের বক্তব্য দিয়ে বেড়াচ্ছেন। এসব কারণে বিএনপি সংসদে বা রাজপথে রাজনীতির কড়াই যতই উত্তপ্ত করার চেষ্টা করম্নক না কেন, সোজা হয়ে দাঁড়ানোর সুযোগ ক্রমেই কমে যাচ্ছে।
দুই দলের এমন নানা সীমাবদ্ধতা জানার পরও অগত্যা মানুষ কিন্তু এদের কাছেই ফিরে আসতে চায়। সাধারণ মানুষ এবং সাধারণ ভোটার সবচেয়ে অসহায়। যেহেতু রাজনীতি চর্চায় নিবেদিত মননশীল মেধাবী মানুষদের এগিয়ে আসার সুযোগ কমে গেছে, ফলে সংসদে খিসত্মিখেউড় করতে পারা কমর্ীরাই মনোনয়ন পাবে। কিছুটা দলীয় বিবেচনায় কিছুটা মন্দের ভাল বলে মনকে সায় দিয়ে এমন কোন প্রথর্ীকেই ভোট দিতে হবে। এই বাসত্মবতায় দাঁড়িয়ে আশাবাদী মানুষ প্রতিদিনই প্রত্যাশা করে_ আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে শুভবুদ্ধির উদয় হবে। এই সকল দায়িত্বশীল নেতৃত্ব নামকরণের ইসু্যকে দেশের অন্যতম প্রধান কর্তব্য বিবেচনা না করে এবং সংসদকে অশস্নীল ভাগাড়ে পরিণত না করে গণতন্ত্র চর্চার পীঠস্থানে পরিণত করবেন।
ংযধযহধধিুলঁ@ুধযড়ড়.পড়স

No comments

Powered by Blogger.