বিএনপি এবার ৭ মার্চকে বিতর্কিত করার ষড়যন্ত্রে নেমেছে by মুহম্মদ শফিকুর রহমান

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ দিবসকে বিএনপি 'কারাবন্দী' দিবস হিসেবে পালন করার ঘোষণা দিয়েছে। ৩ মার্চ বুধবার গণমাধ্যমে সংবাদটি ছাপা হবার পর সর্বত্র আলোচনা, বিএনপি তাহলে নেতিবাচক রাজনীতি থেকে বেরম্নতে পারছে না।
বরং যতদিন যাচ্ছে তত আরও বেশি করে নেতিবাচক রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ছে। এবার ৭ মার্চকে বিতর্কিত করার ষড়যন্ত্রে নেমেছে।
দৈনিক প্রথম আলোর সংবাদটি পরিবেশনের মধ্যেই একটা প্রচ্ছন্ন অপছন্দের ব্যাপার লণীয়। সংবাদে ''এবার ঐতিহাসিক ৭ মার্চও বিএনপি নিজেদের মতো করে পালন করবে.........।'' বিষয়টি প্রথম আলোর পছন্দ হয়নি বলেই 'এবার' 'নিজেদের মতো করে' ইত্যাদি শব্দাবলী ব্যবহারের মাধ্যমে মনের বিরক্তি প্রকাশ করেছে। এর আগেও এমন অপছন্দের কাজ করেছে বিএনপি। ওই দৈনিকটি উলেস্নখও করেছে ইতোপূর্বে জাতির জনকের হত্যা দিবস জাতীয় শোক দিবসে বেগম খালেদা জিয়ার ভুয়া জন্মদিন ঘটাকরে পালন করেছে। কখনও ৬০ কেজি কেক কেটে কখনও ৬২ কেজি। এবার তারেককে টেনে এনে বাঙালী জাতির একটি ঐতিহাসিক দিবসকে অসম্মান করার নোংরা খেলায় মেতে উঠেছে। এই নোংরামির রাজনীতি বিএনপি প্রথম থেকেই করে এসেছে এবং তাতে লাভ হয়নি বরং রাজনীতির ধিক্কৃত কুঠিতে তাদের ঠেলে দিয়েছে।
প্রথম আলোর সাংবাদিক এ ব্যাপারে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আকবর আলী খানের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেছেন, ''৭ মার্চ রাজনীতির বিষয় নয়। এটি জাতির ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত। এই দিনটিকে অন্য কোন দিবস হিসেবে কারও পালন করা অত্যনত্ম দুঃখজনক। বিএনপিকে এ বিষয়টি ভেবে দেখতে হবে। কারও ব্যক্তি আক্রোশের বশবতর্ী হয়ে জাতীয় গুরম্নত্বপূর্ণ এ দিনটিকে বিকৃত করার চেষ্টা করা ঠিক হবে না।" আওয়ামী লীগের যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবুল আলম হানিফ প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, "ইতোপূর্বে বেগম খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত দিবসে কেবল উলস্নাস করার জন্য নিজের জন্মদিন পরিবর্তন করেছেন। এবার যা করছেন এটা কোন মানুষের কাজ নয়। জনগণই এ জন্য তাদের ধিক্কার দেবে।"
আমাদের জাতীয় জীবনে মার্চ মাস বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। এ মাসেরই ১৭ তারিখ স্বাধীনতাকামী সাড়ে ৭ কোটি বাঙালীর অবিসম্বাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেন এবং এ মাসেই তিনি স্বাধীনতার জন্য দুনিয়া কাঁপানো অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিলে বাংলার প্রতিটি আদালত, সরকারী অফিস, শিা প্রতিষ্ঠান, শ্রমজীবী-কৃষিজীবী মানুষ সবাই সাড়া দিয়ে শতকরা এক শ' ভাগ সফল করেছিলেন। এই অসহযোগের মধ্যেই ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক সোহরাওয়াদর্ী উদ্যানে (তৎকালীন রেসকোর্স) দশ লাখ মুক্তি-উত্তাল জনসমুদ্রের মাঝে দাঁড়িয়ে বাঙালী জাতির হাজার বছরের স্বপ্নসাধ স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। ৭০-এর নির্বাচনে বিজয়ী দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হিসেবে এ মাসেরই ২৬ তারিখ প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এবং আমাদের জাতীয় জীবনে বছরের ১২ মাসের মধ্যে এই মার্চ মাস সবার উপরে। মনে পড়ে সেই ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বিকাল ৩টায় বঙ্গবন্ধু রেসকোর্সে ভাষণ দেবেন বলে সকাল থেকে মানুষ জমায়েত হতে শুরম্ন করে। দেখতে দেখতে রেসকোর্স (সোহরাওয়াদর্ী উদ্যানে) লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে। ছাত্রলীগের কমর্ী হিসেবে আমিও সকাল থেকে রেসকোর্সে অপো করছিলাম। বিকাল ৩টার কিছু পরে বঙ্গবন্ধু এলেন এবং পশ্চিমমুখী মঞ্চের পুবপাশের সিঁড়ি ভেঙ্গে সরাসরি মাইকের সামনে এসে তাঁর নিজস্ব স্টাইলে 'ভায়েরা আমার' বলে বক্তৃতা শুরম্ন করলেন। কোন লিখিত বক্তৃতা নয়, কোন নোট দেখে নয়, অলিখিত (এক্সটেম্পো) বক্তৃতায় জাতির আকাঙ্ৰা অনুযায়ী বিশ্ব রাজনীতির ইতিহাসের একটি শ্রেষ্ঠ বক্তৃতা উপহার দিলেন। কবিগণ যাকে 'রাজনীতির মহাকাব্য' বলে অভিহিত করেন। আব্রাহাম লিঙ্কনের গেটিসবার্গ এড্রেসের সময় কোন বৈরী শক্তি বা বন্দুকধারী সেনাবাহিনী চারদিকে ঘেরাও করে ছিল না। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতার সময় একদিকে যেমন রেসকোর্সের পাশ দিয়ে কামানবাহী পাকি আর্মির গাড়ি এদিক-সেদিক ঘোরাফেরা করছিল ঠিক তেমনি আকাশেও মহড়া দিচ্ছিল হেলিকপ্টার (সম্ভবত হেলিকপ্টার গানশিপ)। এরই মাঝে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী কি অকুতোভয়ে ঘোষণা করলেন 'এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।' এই ঘোষণাই জাতিকে স্বাধীনতার প্রশ্নে আরও ঐক্যবদ্ধ করে এবং সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে মন্ত্রের মতো কাজ করে। এমনকি যেই পুত্র তারেকের নামে দিবসটিকে বিকৃত করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে সেই পুত্রের বাবা জিয়াউর রহমান সাপ্তাহিক বিচিত্রায় একটি নিবন্ধ লিখে বলেছেন '৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ থেকেই আমরা গ্রীন সিগন্যাল পেয়ে যাই ....... ।' আমি সাধারণত জিয়ার এ বক্তব্য কোথাও উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করি না, কারণ জিয়া বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়ার পরও পাকিসত্মানের অনুগত আর্মি অফিসার (মেজর) হিসেবে সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাস করছিলেন, যে অস্ত্র আনা হয় স্বাধীনতাকামী বাঙালীদের মারার জন্যে। সেই অপরাধবোধ প্রশমনের ল্যেই তিনি সম্ভবত স্বাধীন বাংলাদেশে এ নিবন্ধটি লেখেন। (মুক্তিযুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে বা দেশের স্বাধীনতা বিলম্বিত হলে হয়ত লিখতেন ইয়োর এক্সিলেন্সি ফিল্ড মার্শাল স্যার, আমি তো তখন সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাস করছিলাম, কতিপয় 'দুষকৃতকারী' আমাকে জোর করে ধরে নিয়ে যায়। আমার কোন দোষ নেই।) মনের বিরম্নদ্ধেও এ লেখায় জিয়ার কথাটি উলেস্নখ করলাম এ জন্যে যে বিষয়টি তারেক সাহেবের বাবার লেখা নিবন্ধ বলেই।
৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু কেবল স্বাধীনতা ঘোষণা করেই ানত্ম হননি, স্বাধীনতা অর্জনের ল্যে রাজনৈতিক, সামরিক ও অর্থনৈতিক পদপে কি হবে, কিভাবে এসব দায়িত্ব পালন করতে হবে তার সবই ১৯ মিনিটের এক অলিখিত (এক্সটেম্পো) ভাষণে বলে দেন। এখানে তার কয়েকটি লাইন তুলে ধরতে চাই :
(১) আমি বলে দিয়েছি ৬ দফা পরিবর্তনের অধিকার আমার নেই, এটা জনগণের সম্পদ।
(২) আমি বললাম, আমরা জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে যাব এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হওয়া সত্ত্বেও কেউ যদি ন্যায্য কথা বলে আমরা তা মেনে নেব, এমনকি তিনি যদি একজনও হন।
(৩) ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল-যার যা আছে তাই দিয়ে শত্রম্নর মোকাবিলা করতে হবে। রাসত্মাঘাট বন্ধ করে দিতে হবে। আমরা ভাতে মারবো, পানিতে মারবো।
(৪) আমি যদি হুমুক দেবার নাও পারি, যদি আমার সহকমর্ীরাও না থাকেন, আপনারা সংগ্রাম চালিয়ে যাবেন।
(৫) প্রত্যেক গ্রামে, মহলস্নায়, ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম কমিটি গড়ে তোল।
(৬) মুক্তি না হওয়া পর্যনত্ম খাজনা-ট্যাক্স বন্ধ থাকবে।
(৭) পূর্ব বাংলা থেকে পশ্চিম পাকিসত্মানে টাকা যেতে পারবে না।
এভাবে একজন রাজনৈতিক নেতা দ সমরনায়ক এবং অর্থনীতিবিদের মতো সশস্ত্র গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে দেশকে স্বাধীন করার দিকনির্দেশনা দিলেন। অথচ বঙ্গবন্ধু কোন আর্মি জেনারেল বা অর্থনীতিবিদ ছিলেন না। পাকি-সামরিক স্বৈরশাসকদের বিরম্নদ্ধে লড়াই করে এবং বাংলার কৃষক-শ্রমিক সাধারণ মানুষের সাথে মিশে বঙ্গবন্ধু সমর বিদ্যা ও অর্থনীতি শিখেছিলেন। যে কারণে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণটি বিশ্বের গুটিকতক শ্রেষ্ঠ ভাষণের একটির মর্যাদা লাভ করে এবং দিবসটি ইতিহাসের গুরম্নত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে অনত্মভর্ুক্ত হয়ে যায়।
অথচ এই ভাষণটিকেই আজ বিএনপি বিতর্কিত করার জন্য ষড়যন্ত্রমূলক একটি কর্মসূচী ঘোষণা করেছে। অবশ্য এতে অবাক হবার কিছু নেই। এই বিএনপিই ২০০১ সালে জালভোটের জোরে মতায় এসে সোহরাওয়াদর্ী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণস্থলে নির্মিতব্য স্বাধীনতা সত্মম্ভের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল। কারণ স্বাধীনতার সত্মম্ভটি হলে বিএনপি ও স্বাধীনতা বিরোধী জামাতের রাজনীতি থাকবে না। টাওয়ার যত উপরে উঠবে রাজাকার-আলবদররা তত মাটির নিচে যাবে।
আমরা জানি বিএনপির কাছে ৭ মার্চের গুরম্নত্ব নেই। সেদিনের সেই অগি্নঝরা দিনগুলোতে আজকের বিএনপি নেতারা কেউ সম্পৃক্ত ছিলেন না, বরং কে কোথায় পালাবে সেই টেনশনে ছিল। স্বাধীনতা চেয়েছে বা স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছে এমন মানুষ বিএনপিতে কালে কস্মিনে পাওয়া যাবে। বিএনপিতে পাওয়া যাবে বরং সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মতো পাকি-পন্থীদের আর সঙ্গী হিসেবে গোলাম আযম-নিজামী মুজাহিদদের। তবে হঁ্যা, স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নিয়েছেন কিন্তু পথভ্রষ্ট হয়েছেন এমন দু'একজনকেও পাওয়া যাবে। যেমন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। শিায় কথাবার্তায় পোশাক-আশাকে এমন কেতাদুরসত্ম যে তার সম্পর্কে মনত্মব্য করা কঠিন ব্যাপার। ভদ্রলোক কখন কোন দলে যাবেন তা কেউ বলতে পারবে না। রাজনৈতিক আদর্শ বলে কিছু নেই, তার পছন্দ মতাসীন দল। কেবল আওয়ামী লীগে জায়গা হয়নি, চেষ্টা যে করেননি তাও বলা যাবে না।
৭ মার্চ তথা স্বাধীনতার প্রতি বিএনপির যদি শ্রদ্ধাই থাকত তাহলে দলটির প্রতিষ্ঠাতা তারেক রহমানের পিতা জিয়াউর রহমান '৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতার ধারায়ই বাংলাদেশ পরিচালনা করতেন। বরং তিনি পাকিধারায় বাংলাদেশকে নিয়ে যাবার জন্যেই স্বাধীনতাবিরোধী মুসলিম লীগ, জামায়াত, ইসলামী ঐক্যজোট এবং ভাসানী ন্যাপের একাংশ নিয়ে বিএনপি গঠন করেন এবং একে একে স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও রাষ্ট্রীয় নীতিগুলোকে ধ্বংস করেছেন। তারই অর্থাৎ জিয়া-খালেদা দম্পতির সুযোগ্য পুত্র তারেক রহমানের রাজনীতিতে আগমন কোন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বা রাজপথ থেকে নয়, বরং হাওয়া ভবন বা খোয়াব ভবন নামের দুটি অর্থভা-ার থেকে, যার সিঁড়িতে পা রাখার সাথে সাথে একেবারে শীর্ষে। এমনই শীর্ষে যে তিনি যখন বিএনপি অফিসে ঢুকতেন সাইফুর রহমান (মরহুম), খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন, মান্নান ভূঁইয়াদের মতো প্রবীণ নেতাদেরও দাঁড়িয়ে সালাম দিয়ে সম্মান জানাতে হতো। বস্তুত রাজনীতিক তারেক রহমানের চেয়ে হাওয়া ভবনের প্রধানমন্ত্রী-নন্দন তারেক রহমান অনেক বেশি গুরম্নত্বপূর্ণ, অনেক শক্তিধর। তার উত্থানের সাথে সাথে পিন্টু-ইলিয়াস, আলাল-ফারম্নকদের আগমন বিএনপিকে অর্থে-পেশীতে অনেক বেশি শক্তিশালী করে তুলেছে। সমপ্রতি একটি পত্রিকায় জয়নাল আবেদীন ফারম্নকের (বিরোধীদলীয় চীফ হুইপ) পুলিশের সাথে তর্জনী উঁচিয়ে যে ছবিটি ছাপা হয়েছে তা দেখলেই বোঝা যাবে বিএনপি কতখানি শক্তিশালী হয়েছে তারেক রহমানের আগমনে।
তারেক রহমান এখন সপরিবারে লন্ডনে বসবাস করছেন। বিদেশে থেকেও তিনি এতই মতাধর যে, এমাজউদ্দিন, মাহাবুবুলস্নাহ, শওকত মাহমুদদের মতো পেশাজীবী-বুদ্ধিজীবীরাও প্রবন্ধ লিখে কেতাব ছেপে তাকে বীরের বেশে দেশে আনার চেষ্টা করছেন। তার মামলা কোনটা মিথ্যা কোনটা সত্যি তা আদালত বিচার করবে কিন্তু ঘরের ছেলে ঘরে ফিরম্নক এটা সবাই চায়। কিন্তু দেশে ফেরার আগেই যদি ৭ মার্চের মতো একটি ঐতিহাসিক দিবসকে বিতর্কিত করার জন্য তাকে সামনে দাঁড় করানো হয় তবে সেটা হবে ষড়যন্ত্রেরই অংশ। তবে এটাও সত্যি যে ৭ মার্চ অনেক শক্তিশালী একটি দিন, একে যারা বিতর্কিত করতে চাইবেন তারা নিজেরাই বিতর্কিত হয়ে ইতিহাসের অাঁসত্মাকুড়ে নিপ্তি হবেন। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে খালেদা জিয়ার কেক কাটার অশস্নীলতা যেমন জনগণ পছন্দ করেনি, বরং ছিছি করেছে। আজও তেমনি করবে। পুত্র মায়ের কাছ থেকে এ শিাটি গ্রহণ করলে ভাল করবেন।
লেখক : ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক

No comments

Powered by Blogger.