উচ্চশিক্ষায় ইংরেজী- কুন্তল রায়

বাংলাদেশে শিার্থীদের উচ্চশিা গ্রহণের হার দিন দিন বেড়েই চলেছে। দেশের পাবলিক কিংবা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্নাতকোত্তর শ্রেণীসহ এম.ফিল, পিএইচডি শিক্ষার্থীর সংখ্যা এখন অনেক।
অর্থনীতির পরিভাষায় বলা যায়, বেকারত্ব এবং উচ্চশিা সমানত্মরাল গতিতে এগোয় অর্থাৎ বেকারত্ব বাড়লে উচ্চশিা গ্রহণের হারও বাড়ে। কারণ একটাই ভাল চাকরির জন্য প্রত্যেকেই নিজেদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বাড়িয়ে প্রতিযোগিতায় নিজেকে যোগ্যতর হিসেবে উপস্থাপন করতে চায়। এজন্যই উন্নত বিশ্বের তুলনায় বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে উচ্চশিা গ্রহণের হার অনেক বেশি। আর এ জন্য ইংরেজী শেখার প্রয়োজনীয়তা অনেক। দেশে কিংবা বিদেশে, যেখানেই আপনি উচ্চশিা গ্রহণে যান না কেন ইংরেজী শেখার কোন বিকল্প নেই। বিদেশী যে কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আনত্মর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে শিক্ষার মাধ্যম (মিডিয়াম অব ইন্সট্রাকশন) ইংরেজী, এমনকি দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ইংরেজী মাধ্যমে পাঠদান করা হয়। এছাড়া কর্মেক্ষেত্র ইংরেজীর প্রয়োজন এখন তুঙ্গে। ইংরেজীতে সাবলীল হতে না পারলে আপনি সম্মানজনক কোন কাজ পাবেন না, আবার কোন কাজ পেলেও আপনাকে উন্নতি করতে গেলে ভাল ইংরেজী জানতে হবে। এ জন্য ইংরেজী শেখাটা খুবই জরুরী একটি বিষয়।
দেশে ইংরেজী ভাষা শেখার জন্য ব্রিটিশ কাউন্সিল অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশে ব্রিটিশ কাউন্সিল ইংরেজী শেখার অন্যতম নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে কয়েক দশক ধরে সেবা প্রদান করে আসছে। ব্রিটিশ কাউন্সিলের লাইব্রেরি, রিসোর্স সেন্টার এবং বিভিন্ন ধরনের কোর্স আপনার ইংরেজী ভাষা জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করবে। বাংলাদেশে আমেরিকান সেন্টারও ইংরেজী ভাষা শিখতে পারবেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে ইংরেজী শিখতে গেলে আপনাকে কমপ েএইচএসসি বা তার সমমান পরীায় উত্তীর্ণ হতে হবে। তবে অন্যান্য কোচিং সেন্টারগুলোতে শিাগত যোগ্যতা শিথিলযোগ্য। এখানে ১২০ ঘণ্টা ও ৬০ ঘণ্টা এ দুই ধরনের কোর্স চালু রয়েছে। ১২০ ঘণ্টার কোর্সে ভর্তি হতে গেলে আপনাকে বছরের নির্দিষ্ট সময়ে ভর্তি পরীার মাধ্যমে ভর্তি হতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হলে ভর্তি ফি লাগবে ২০০০ টাকা এবং অন্যান্য শিার্থীদের ৰেত্রে ২৫০০ টাকা। ৬০ ঘণ্টার কোর্সে আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে ভর্তি করা হয় এবং যে কোন সময় ভর্তি হতে পারবেন। ভর্তি ফি লাগবে ৫০০০ টাকা। তবে বাইরে অন্যান্য কোচিং সেন্টারে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকার মধ্যে ভর্তি হওয়া যাবে।
কাজের সুযোগ
ইংরেজী শেখার পর বিভিন্ন ধরনের কাজ করার সুযোগ রয়েছে। বিভিন্ন টু্যরিস্ট সোসাইটির সঙ্গে যোগাযোগ করে পর্যটকদের গাইড এবং অনুবাদক হিসেবে কাজ করতে পারবেন। ইংরেজী ভাষাভাষী দেশগুলোর দূতাবাসে যোগাযোগ করে সেখানে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভাল ফল করতে পারলে রয়েছে আরও আকর্ষণীয় কাজের সুযোগ। কোচিং সেন্টারে কাস করিয়ে কিংবা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত সচিব হিসেবেও কাজ করেতে পারবেন। এছাড়া নিজেই খুলে বসতে পারেন অনুবাদ কেন্দ্র। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় অনুবাদ বিভাগে কিংবা কূটনৈতিক প্রতিবেদক হিসেবে কাজ পেয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। আর ইংরেজী ভাল শিখে আইইএলটিস কিংবা টোফেল পরীায় ভাল ফল করতে পারলে বিদেশে আকর্ষণীয় স্কলারশিপের সুযোগ রয়েছে। সরকারী কিংবা বিভিন্ন বিদেশী ফাউন্ডেশনের বৃত্তির েেত্র অন্যতম গুরম্নত্বপূর্ণ বিষয় হলো ইংরেজীতে পর্যাপ্ত দতা থাকা।

কোথায় শিখবেন

০ আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, ঢাকা
ফোন : ৯৬৬৭৯০০, এক্স-৮৫২১
০ আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম।
ফোন : ৭০৩১৭১৬৫৫২,এক্স-৪৩৪৪।
০ ভাষা শিা কেন্দ্র
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, সাভার, ঢাকা।
ফোন : ৭৭৯১০৪৫-৫১, এক্স-১২৫৮
০ মডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজ বিভাগ
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, ফোন : ০৪২১-৭২১৭৯১
এক্স-৩০৩০
০ ব্রিটিশ কাউন্সিল
৫ ফুলার রোড, ঢাকা-১০০০।
ফোন-৮৬১৮৯০৫
০ ঢাকা ল্যাঙ্গুয়েজ কাব
রোড ১০, বাড়ি-২৫, বস্নক-ই, বনানী, ঢাকা।মোবাইল-০১৭১৬৫০০২৩০।

No comments

Powered by Blogger.